চবিতে পিঠাপার্বণ ও হিম আড্ডা

নাঈমুল হাসান হিমেল

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৮

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) হয়ে গেল দিনব্যাপী পিঠাপার্বণ ও হিম আড্ডা। শিক্ষা ও গবেষণা অনুষদের উদ্যোগে এ আয়োজনে ছিল হরেক রকম দেশি পিঠার সমাহার। হিমের বাহু বাঁধন টুটি, পাগলা ঝোলা পাবে ছুটি` এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বুধবার দিনব্যাপী চলে পিঠা উৎসব।

বাহারি ধরণ ও নামের এসব পিঠা পিঠাপ্রেমীদের মাঝে উৎসবের সৃষ্টি করে। সারা দিন পিঠার প্রদর্শনী এবং হিম আড্ডায় এক উৎসব বিরাজ করে ক্যাম্পাসজুড়ে।

বিচিত্র নামের স্টলগুলো দৃষ্টি কাড়ে দর্শনার্থীদের। হরেক রং ও রূপের পিঠার এ উৎসব শিক্ষার্থীদের মাঝে আবেগময় আবহের সৃষ্টি করে। ব্যস্ততায় যখন মায়ের হাতের শীতের পিঠা খেতে না পারার আক্ষেপ কাজ করে, তখনই স্বল্প মূল্যের পিঠার এই পিঠা উৎসব চবির শিক্ষার্থীদের মনে এক আপার শান্তি নিয়ে আসে।

সকাল ১০ ঘটিকায় চবির সক্রেটিস চত্বরে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন শিক্ষা ও গবেষণ অনুষদের পরিচালক এম.এ. শাহেন শাহ। তিনি বলেন, নিজেদের উদ্যোগে দেশীয় পিঠার এ প্রদর্শনী শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল মেধার বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করবে। ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে তাদেরকে সাধুবাদ জানাই। ভবিষ্যতে আইইআর শিক্ষার্থীরা যে কোনও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে আমাদের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

পিঠা ঘর, আভিনা, ভিয়েন ঘর, টোনাটুনির ঘর, পিডা হাইলে আইয়ুন, পিঠালি, শীতের আড্ডা, পিঠার সাতকাহন, ঢেঁকির বৈঠকখানা, পিঠা উৎসব, পিঠার ঘর ও পৌষালি পিঠা নামের স্টলগুলোতে  প্রদর্শন করা হয় শঙ্খ পিঠা, পাতা পিঠা, নারিকেল পুলি, রস চিতই, ছাঁচ পাক্কন, পাটিসাপটা, ফুল পিঠা, ফুসকা, পানতুয়া, ম্যারা পিঠা, নারকেলের বিস্কুট পিঠা, সুজির সন্দেশ, খেজুর পিঠা, নকশি পিঠা, মাল পোয়া, মাছ পিঠা, ঝাল পিঠা, সাজের পিঠা, তাওয়া পিঠা, ভাপা পিঠা, কলসি পিঠা, টুরা পুলি, গুরা পিঠা, মধু ফুলি, খেজুরের রস, মালাই চপ, বিবিয়ানা, ডোনাট, আলুপুরি সহ ৭৪ রকমের দেশীয় পিঠার।

এছাড়া হিম আড্ডায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের এক আনন্দময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম, সহকারী অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন, সৌমেন কিশোন নাথ, মো. মনিরুজ্জামান, প্রভাষক হাসান তৌফিক ইমাম, শাহেদ সরোয়ার, অমিয়া সুলতানা ও রাজিব আহমেদ ফয়সাল।

দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মিমিয়া তাবাসসুম ছাড়পত্রকে বলেন, পিঠা উৎসবে এসে অনেক ভালো লাগলো। বন্ধু-বান্ধবদের সাথে এখানে এসে এমন অনেক পিঠা দেখলাম এবং খেলাম যার নামই আগে শুনিনি।

অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শামিম আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন আয়োজকে আমার কাছে পিঠা উৎসবের চেয়েও আনন্দ উৎসব বলে মনে হয়েছে এবং আমাদের মনে আনন্দের সৃষ্টি করেছে। এ আয়োজন আরও হবে এমন আশা পোষণ করি।