অলঙ্করণ: পাপিয়া জেরিন

অলঙ্করণ: পাপিয়া জেরিন

ডৌল

চয়ন খায়রুল হাবিব

প্রকাশিত : জানুয়ারি ০৫, ২০১৮

ডৌল হচ্ছে জুলেখা কাব্যনাট্য ট্রিলজির দ্বিতীয় পর্ব। প্রথম পর্ব ছিল, জুজু: জুলেখার জুয়াচাক্কি। যাতে স্বপ্ন এবং সমাকালীন বাস্তবতায় জুলেখা এক সাইকাডেলিক অভিযাত্রি। এটি প্রকাশিত হয় ২০১০ সালে। জুজুতে বেশ কিছু চরিত্র। কিন্তু ডৌলে সাকুল্যে দুজন, জুলেখা ও ইউসুফ। যাদের পারস্পরিকতাকে সংলাপের পাশাপাশি সূত্রধরের মুখে অনেকগুলা কাব্যিক বয়ানে বেঁধেছি। কিছুদিন আগে ডৌলের প্রথম দুটি অঙ্ক শেষ করলাম। পাঠকের উদ্দেশে অন্তবর্তী বয়ানের খণ্ডাংশ নিবেদিত হলো:

কে এই জুলেখা? কে এই ইউসুফ?
প্রেম না কি ভ্রান্তিবিলাসে আমি এক বেয়াকুফ?
একবার মনে হয় আমিও ইউসুফের জন্য দিওয়ানা!
পরক্ষণে জুলেখার সোহাগে কাতর মানবিরুপি ময়না!

নতুন বুলি শেখার উত্তেজনায় আমার পাখনা বেহাল
জুলেখা ইউসুফ একত্রে আমার ভিতর মিসমার হামেহাল
হাজার বছর অপেক্ষার পর যেরকম বিসুভিয়াস
পলকে ধ্বংসায় পম্পেই তারপর লকলকায়ে ছাড়ে তপ্ত লাভাশ্বাস!

লাভাস্রোত, সেটা তো প্রাকৃতিক স্বভাবে দহনের অপেক্ষায় ছিল!
আমাদের মধ্যেও কি এরকম অবিরাম এক জুলেখা-ইউসুফ লাভাস্রোত যুগলবন্দি?
যুগলে কাউকে পেলে সে তৃপ্ত, নয় তো সে আসমানি উসিলায় আঁটে রক্তপাতের ফন্দি!
প্রেমের প্রাকৃতিক যাত্রাপথে কেন জিব্রাইল দেবদূত ইউসুফকে ধমকালো?

একেকটা আসমানি ধমক আমাদের টানে চেহারাবিহিনতায়!
মুখোশ মুখে সেঁটে থাকে চুম্বকমতো;
কখনো সে সুখি, কখনো দুক্ষি, কখনো উন্মত্ত;
ধড় আর মুণ্ডু দুখানে এক বিস্তীর্ণ একাকিত্ব!

যেই মুহূর্তে সঙ্গ চাই তাকে বলা হয় আত্মার শয়তানি!
আর যখন নিসঙ্গতায় আত্মঘাতী হতে চাই,
তাকে বলা হয় সমাজের সাথে নাফরমানি!
দেহের তাড়না এবং আত্মার কামনা আমি কোন মুখোশে লুকাই?

ডৌল কাব্যনাটকের খণ্ডাংশ