Zhou Lu`র আঁকা পোস্টার/মাও

Zhou Lu`র আঁকা পোস্টার/মাও

সংঘর্ষ একটা ইউনিভার্সাল ট্রুথ

রিফাত বিন সালাম রূপম

প্রকাশিত : ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭

দশ হাজার বছর ধরে মানুষসহ অন্যান্য সকল প্রাণী যে রোমাঞ্চকর কাজটি করে চলেছে, সেটা হচ্ছে তথ্যসরবরাহ। কোষের মাধ্যমে তথ্যসরবরাহ করা!
দুনিয়াতে প্রাণের অস্তিত্ব, অভিযোজন ক্ষমতার একটা প্রকাশ মাত্র। প্রাণীদের এই অভিযোজন ক্ষমতা এসেছে দশ হাজার বছরের জমাকৃত তথ্যের কারণে। এখানে টিকে থাকতে যা যা লাগে, একটা কোষ সেই তথ্য সরবরাহ করে চলেছে আরেকটা কোষে। যেন পরের প্রজন্ম টিকে থাকে। প্রতিনিয়ত সে তথ্য একটা স্তর থেকে আরও ওপরের স্তরে গিয়ে সমৃদ্ধি ঘটাচ্ছে নিজের। ফলে আরও প্রতিকূল পরিবেশেও প্রাণী টিকে আছে। অন্তত অতীতের চেয়ে বর্তমান দুনিয়ার ভৌগলিক পরিস্থিতি ব্যাপক প্রতিকূল।
সৃষ্টি`র এই সহজ সমীকরণ শুধু প্রাণের ক্ষেত্রেই নয়, বরং রাজনীতি থেকে অর্থনীতি, এমন কি ধর্মের বিকাশের ক্ষেত্রেও যথার্থ। তাই আমরা দেখি, সর্বকনিষ্ঠ ধর্ম সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত। অন্তত আগের ধর্মগুলো থেকে, কারণ আগের ধর্মের সামগ্রিক ধারা থেকেই পরের ধর্মের বিকাশ। অর্থাৎ একটা নতুন ধারণা ক্রমাগত পরিস্থিতির সাথে সংঘর্ষ করে আরো সমৃদ্ধ হচ্ছে, হয়েছে।
দুনিয়ার ইতিহাস বলছে, সংঘর্ষ-ভায়োলেন্স ছাড়া কোনও রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। বিশেষ করে যখন সেটা নতুন একটা তত্ত্বীয় বিষয়। সেটা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সংঘর্ষ একটা ইউনিভার্সাল ট্রুথ...
মানব মুক্তির প্রশ্নে তো সংঘর্ষ আরও বেশি জোরালো। আরও বেশি যুক্তিযুক্ত। কারণ কেউ শান্তভাবে, শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়নি। এটাই আমাদের হাতে থাকা একমাত্র ঐতিহাসিক সত্য!
মোজেস থেকে কিউবা কিংবা চীন বা রাশিয়া... একই তথ্য বয়ে চলেছে গত হাজার বছর ধরে। যার সব শেষ উদাহরণ মাও কিংবা চীন। তাই, রাজনৈতিকভাবে সংঘর্ষ ছাড়া, শান্ত হয়ে, নির্বাচন করে একটা নতুন ব্যবস্থা স্থাপন করার "সম্ভাবনা"র চেয়ে সংঘর্ষ করে একটা নতুন ব্যবস্থার স্থাপনের "সম্ভাবনা" হাজার গুণ বেশি। আর যখন মার্ক্সবাদের প্রশ্ন আসে, তখন এই বিজ্ঞান আরও বেশি যুক্তিযুক্ত। মার্ক্সবাদ ধর্ম না। মার্ক্সবাদ একটা বিজ্ঞান। যার শেষ সমৃদ্ধ তথ্যের নাম মাওবাদ। তাই এই নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বিজ্ঞান নিজেই অস্বীকার করে। কারণ বিজ্ঞানে অতি-আবেগি হয়ে "নির্বাচন" কে "বিপ্লব" বলার সুযোগ নেই। দুইটা দুই মেরুর ধারণা। নির্বাচন করে বিপ্লব করার ধারণা স্রেফ একটা অ-বিজ্ঞান।
দশ হাজার বছর ধরে এই তথ্যটা আমরা বয়ে চলেছি কোষ থেকে কোষে...