আত্মজীবনের আয়না

সরোজ মোস্তফা

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৮

ব্রাত্য রায় পাঠ ও মননের দীর্ঘ পরিচর্যায় আত্মজীবনের আয়নাকেই লিখতে এসেছেন। একটা লড়াকু জীবন তার। প্রতিদিনের জীবিকায় অনবরত দৌড়চ্ছেন। ক্লান্তি ও অক্ষমতার উচ্চারণ পেরোতে পেরোতে রাতের টেবিলে তিনি লিখতে বসেন। এই লেখালেখি তার শান্তি ও আশ্রয়ের জায়গা। রোদের জীবনে দৌড়নোর আগে একটু বিশ্রাম নেয়া। কথাশিল্পের বর্ণনাময় জগতে তাকে আমরা স্বাগতম জানাই।

প্রত্যাহিক জীবনে একটি শিশু তার শৈশব থেকে যৌবন পর্যন্ত যেসব সামাজিক-অসামাজিক নির্যাতন ও নিপীড়নের স্বীকার হয়, তার কতটা সে মানতে পারে আর কতটা সে মানতে পারে না। তার একটি মনোদৈহিক পরিনাম হচ্ছে নাম পুরুষ। শৈশবে বয়োজ্যেষ্ঠ স্বজনের কামতাড়িত আদর দিয়ে শুরু করে যৌবন পর্যন্ত, সমাজবাসী একেকজন যৌনতাড়িত পুরুষ কীভাবে অন্যপুরুষের প্রতি চক্ষু ও বাসনায় তাকায় কিংবা বাসনা চরিতার্থ করে; তারই একটি আখ্যান নাম পুরুষ।

ধারাবাহিকতার বিপরীত স্রোতে ভাসমান বিক্ষুব্ধ এক যুবক তখন সমাজ দেশের সীমানা ছেড়ে নোম্যান্স ল্যান্ডে আশ্রয় গ্রহণ করে। জৈবনিকতার একটা ধারালো আখ্যান নোম্যান্স ল্যান্ড।

প্রথম পুস্তকে একজন লেখকের চোখ চেনা যায়। বোঝা যায় লেখকের গন্তব্য ও মনন। ব্রাত্য রায় লিখতে এসেছেন। সিজনাল লেখক তিনি নন। গ্রন্থকে যারা ভিজিটিং কার্ড হিসেবে দেখেন কিংবা গ্রন্থের মালিক হবার জন্য যারা লিখতে এসেছেন, তাদের থেকে কয়েকশো মাইল দূরে এই লেখকের বসবাস। একটা জামার ভেতরে একটা জীবনই তিনি যাপন করেন। সেটা ব্রাত্য রায়ের লেখক জীবন। আসুন পাঠক, চৈতন্য স্টল থেকে নোম্যন্স ল্যান্ডকে বাড়ি নিয়ে যাই। লেখকের আখ্যানে খুঁজে দেখি পরিচিত জীবন।