আসিফ আকবরের জামিন ও রিমান্ড না মঞ্জুর

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : জুন ০৬, ২০১৮

ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরকে। আজ বুধবার বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে তাকে আদালতে আনা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে গীতিকার, সুরকার ও গায়ক শফিক তুহিনের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন আসিফ আকবর। সোমবার সন্ধ্যায় শফিক তুহিন মামলাটি করেন। মামলায় আসিফ ছাড়া আরও চার-পাঁচজন অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছেন।

 

শফিক তুহিন তার মামলায় অভিযোগ করেছেন, ১লা জুন রাত ৯টার দিকে একটি চ্যানেলের ‘সার্চ লাইট’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসিফ অনুমতি ছাড়াই তার সংগীতকর্মসহ অন্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছেন। পরে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, আসিফ তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তর করে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন।

 

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল আসিফকে মগবাজারে তার অফিস থেকে গ্রেপ্তার করে। শফিক তুহিন তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, ঘটনা জানার পর তিনি ২রা জুন রাতে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির বিষয়টি উল্লেখ করে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দেন। তার সেই পোস্টের নিচে আসিফ অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেন। পরের দিন রাত ১০টার দিকে আসিফ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন। লাইভে শফিক তুহিনের বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা বক্তব্য দেন। আসিফ লাইভে শফিক তুহিনকে শায়েস্তা করবেন বলে হুমকি দেন। পাশাপাশি ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, শফিক তুহিনকে যেখানেই পাবেন, সেখানেই প্রতিহত করবেন। আসিফের এই বক্তব্যের পর তার ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শফিক তুহিনকে হত্যার হুমকি দেন। আসিফের লাইভ লাখ লাখ মানুষ দেখেছে। তিনি উসকানি দিয়েছেন। শফিক তুহিনের মানহানি হয়েছে।

 

এরই প্রেক্ষিতে আজ (বুধবার) বেলা দুইটার দিকে তাকে আদালতে তোলার পর ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরী দুপক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আজ বুধবার সকালে আদালতে আসিফ আকবরকে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) প্রলয় রায়। রিমান্ডের আবেদনে প্রলয় রায় জানান, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। মামলার ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন এবং এ ঘটনার মূল হোতাকে খুজে বের করার জন্য আসামি আসিফকে রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। পাশাপাশি সহযোগীদের নাম ও ঠিকানা জোগাড় করার জন্য আসিফকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। এ ছাড়া এই কাজে ব্যবহার করা ইলেকট্রনিকস ডিভাইসের পরিচিতি এবং আসিফের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানার জন্য তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন।