কামরুজ্জামান কামুর গাজিপুরি কবিতা

প্রকাশিত : এপ্রিল ১৬, ২০১৮

হাজিসাব্রে ডাক দিমু

 

আজি কেরানীগঞ্জের দিকে
যাব নাকো
আজি আমি
না যাব সাভারে
আজি আজি করে করে
গাজীপুরে গিয়ে
হাজিসাব্রে ডাক দিমু
নিচু স্বরে

তিনি
শুধাবেন আমার কুশল যেন
কিন্তু এই যেন
যেন শব্দটিকে আমি
নাড়াচাড়া করতে করতে
ফেলে দেই

ঝনাৎ করে শব্দ হয়

সেই শব্দে ছুটে আসেন
মহাধড়িবাজ
শালবাগানে আলগা হইল
লেখক সমাজ
দশ বছর ড্যান্স মারা
সাঙ্গ হলে পরে
হাজীসাহেব ডেকে বললেন
যা রে বেটা ঘরে

রবিবারে টেকাটুকা থুইয়া
ওয়ি লৌকিক লেখক
ফেসবুকে মাইয়াগোরে
পোক মারে পোক

আজি কেরানীগঞ্জের দিকে
যাব নাকো
আজি আমি
না যাব সাভারে
আজি আজি করে করে
গাজীপুরে গিয়ে
হাজিসাব্রে ডাক দিমু
নিচু স্বরে
হে হে

মধ্যরাতের বালুচরে

এখন শুধাই যদি
তব কানে কানে
তোমার যে বড়ভাই
সব কি সে জানে

এই ধরো ট্রেনে চড়ে
আজিকার তিথি
পাড়ি দিয়ে চলে যাচ্ছো
যুগল-সম্প্রীতি

ঘরে যদি বউ আছে
বাচ্চাকাচ্চা আছে
নিচেতে বাচ্চারা খেলে
তুমি পেয়ারাগাছে

গভর্নর বলেন নাই
এ সমস্ত ছাড়ো?
বাঁকা লেজখানি কেন
তথাপিও নাড়ো?

গাজিপুরের হাজিসাবরে
চিনতে করলে দেরি
মধ্যরাতে বালুচরে
আটকে যাবে ফেরি

পাতার উৎসব

সকল বিষয়বস্তু
সকলের নয়
বন্দুক চালায় কেউ
কেউবা করে ভয়

নাবালক আছে বলেই
সাবালক কেউ
গাজিপুরের জঙ্গলে
দৌড় মারল ফেউ

তাই দেখে কাত হয়ে
তোমার রক্ষিতা
হুইয়া পড়ল শালপাতায়
আমি করব কিতা?

আমি কিছুই করব না
চেয়ে চেয়ে রবো
আদিগন্ত বড়ভাই
পাতার উৎসব

মহাশূন্য

বাঁকা রাস্তা আরও বাঁকা
হয়ে ওই চলে গেছে দূরে
কোনো এক মহাশূন্য
চিৎকারিছে ভৌতগাজিপুরে

গাজিপুরি কবিতা ২

 

শ্রীপুরের জঙ্গলের
গর্ভে তুমি
আটকা পড়ে গেছো

তখন সন্ধ্যা হয়-হয়

ঘরর ঘরর রব
শুনে তুমি
পিছনে তাকায়ে
দেখলা বাগডাসা
গোল চোখ
রশ্মি-বিকিরণ

হাড্ডি দ্বারা গড়া ঠ্যাং
আস্তে গেল খুলে
বস্তুভয় কাঁপতে রয়
সিক্ত নাভিমূলে

এসেছে তরুণ কবি

এসেছে তরুণ কবি
তাকে অর্থ দাও কীর্তি দাও
গাজিপুরে নিয়ে গিয়ে তাকে
দেখাও খাসের জমি

যেন তব বাপের সম্পত্তি তুমি
প্রদানিছো গরিবের মাঝে
অহো রে গরিব দীন অহো অহো
গাজিপুরি কবিতার ভার বহো