কামের চেয়ে সুন্দর কিছু এ জীবনে নাই

রহমান মুফিজ

প্রকাশিত : জুলাই ১৭, ২০১৮

রূপে বা শরীরে ক্র্যাশ খাওয়া কি দোষের? আমি যদি ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট কলিন্দা গ্রাবার কিতারোভিচরে মধ্য রাইতে স্বপ্ন দেইখা পুলকিত হই, তাতে কি গ্রাবারের শরীরে অস্বস্তি বোধ হবে?

তিনি যদি অস্বস্তি বোধ করেন তাহলে আমি তার কাছে সরি। কিন্তু আমি তার ভক্ত হয়ে গেছি। শুধু শরীরের কারণেই নয়, আরো নানা কারণে। ওইরকম শরীরসমেত অনেকরেই দেখা যায়, তাদের তো ভক্ত হইতে পারলাম না।

গ্রাবারের ভক্ত হইলাম। কারণ শরীরটা দেখার আগে গ্রাবারের শিশুসুলভ চঞ্চলতা, নিজদেশের জন্য উন্মত্ত বালখিল্য উচ্ছ্বাস আমাকে স্কুলবেলায় কাছে ঘেঁষতে না পারা চঞ্চল কিশোরীর কথা মনে করিয়ে দিয়েছিল। আমার মতো এরকম অনেক পুরুষই ভক্ত হয়ে গেছেন গ্রবারের।

গ্রাবারের চুমু কামনা করছেন হয়তো অনেকে। আমিও করেছি। গ্রাবারের চুমু কামনা করার মধ্যে কাম আছে নিঃসন্দেহে। ভক্তিও আছে। হঠাৎ প্রেমে পড়ার মতো প্রচ্ছন্ন আনন্দও আছে। সে কাম, প্রেম ও ভক্তি কি তাহলে সর্বান্তকরণে পুরুষবাদ শাসিত? নাকি প্রকৃতিশাসিতও বটে?

যদি পুরুষবাদ শাসিত হয়, এবং পুরুষ হওয়ার কারণে এ কামনা আমার জন্য দোষের হয়ে পড়ে তাহলে ইশ্বরকে বলবো, তিনি যেন আমারে নারী বানায়া দেন। পুরুষবাদের কলঙ্ক যেন আমার গায়ে না লাগে। প্রয়োজনে আমারে হিজড়া বানায়া দিক। হিজড়া কোনো অর্থেই নেতিবাচক মনোভাব থেকে বলা হয় নাই।

এরপরও আমি কাম জিনিসটা সর্বদেহে মনে অনুক্ষণ অনুভব করতে চাই; সে পুরুষ হয়ে হোক, নারী হয়ে হোক, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম লিঙ্গ এমন কি প্রকৃতির অন্য যে কোনো প্রাণী হয়েই হোক। গোপনে বা প্রকাশ্যে যে কোনোভাবেই আমি কাম উদযাপনের পক্ষে। কামের চেয়ে সুন্দর ও মহত্তম কিছু এ জীবনে এখনো আবিষ্কার করতে পারি নাই।

কিন্তু সে কাম ও প্রেম যেন কোনো ধরনের আধিপত্যবাদী সংস্কার দ্বারা চালিত না হয় সেদিকে সর্বক্ষণ সজাগ থেকেছি। তাহলে প্রেসিডেন্ট কলিন্দা গ্রাবার কিতারোভিচের প্রতি আমার অটল কামনা, প্রেম ও ভক্তির ব্যাখা কী দাঁড়ায়?