কী হবে ব্যক্তিজীবনের গল্প বলে: বাপ্পা মজুমদার

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : মে ২৪, ২০১৮

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী, সুরকার, সংগীত পরিচালক বাপ্পা মজুমদার এবং নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী মেহবুবা মাহনুর চাঁদনী ভালোবাসে বিয়ে করেছিলেন ২০০৮ সালে। ২০১৭ সালের ৯ অক্টোবর চাঁদনী ও বাপ্পার ডিভোর্সের আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০১৮ সালের ৯ জানুযারি তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। তবে তারা দুজনে আলাদা ছিলেন এক বছরের একটু বেশি সময় ধরে। কয়েকদিন আগে হঠাৎ করে বাপ্পা মজুমদার ও উপস্থাপক তানিয়া হোসাইনের সম্পর্কের কথা জেনে অনেকেই অবাক হন। ভক্তদের মনে জেগে ওঠে অনেক প্রশ্ন। রাজধানীর পশ্চিম পান্থপথে তানিয়ার মায়ের বাসায় দুই পরিবারের উপস্থিতিতে ১৬ মে তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়। আংটিবদল অনুষ্ঠানের পর বাপ্পা তার সাবেক স্ত্রী ও বর্তমান সম্পর্ক নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। এ লেখায় পুরো ঘটনায় তিনি তার অবস্থান চমৎকারভাবে তুলে ধরেন।

অনেক বছর একসাথে থেকে, থাকার চেষ্টা করে অবশেষে হার মানতে হয়েছে আমার আর চাঁদনীর। আমরা পারিনি আমাদের সংসার নিয়ে বাকি জীবন কাটাতে। কোনো অভিযোগ কিংবা অসম্মান আমার চাঁদনীর প্রতি নেই, এমনকি চাঁদনীরও আমার প্রতি কোনো অসম্মানবোধ আছে বলে মনে করি না। যা হয়েছে তা ভাগ্যের লিখন মনে করি।

মানুষের জীবনে এমন অনেক কিছু হয় যা হওয়ার কথা থাকে না। ব্যক্তিগত বিষয়গুলো জীবনের অংশ মনে করে জীবনের সাথেই রেখে দেয়া ভালো। আমাকে আমার সকল ভক্তরা আমার কাজ দিয়ে চেনেন, আমি আমার কাজ নিয়েই থাকতে চাই, বাঁচতে চাই সবার মাঝে। কি হবে ব্যক্তিজীবনের গল্প জনে জনে বলে? অন্যের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমি কখনোই আগ্রহী না যেমন ঠিক, তেমন আমার ব্যক্তিগত জীবনও কারো সাথে খুব একটা শেয়ার করা আমার বৈশিষ্ট না। তবে সময়ের কারণে আজ আপনাদের জানাতে হচ্ছে।

তানিয়া আমার বন্ধু। দারুণ একজন বন্ধু। তানিয়ার সাথে আমার যোগাযোগ এবং ভালোলাগাও। এর সূত্র ধরেই অতিসম্প্রতি আমি আমার ভাবনা তানিয়াকে জানাই, তানিয়াও তার ভাবনা আমাকে জানায়। আমরা আমাদের পরিবারের সান্নিধ্য ছাড়া জীবনে চলতে চাই না। তাই দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে একান্তই পারিবারিকভাবে আমাদের বাগদান হয়। আগেই বলেছি, ব্যক্তিগত বিষয়গুলো আমি বরাবরই নিজের ভেতর রাখতে চাই। যেখানে পরিবার ইনভল্ব সেখানে আর অপরিষ্কার কোনো চিত্র নেই। বাকিটা পরিবেশ আর পরিস্থিতি। আপনারা প্রার্থনা করবেন। আমার জীবনের সমস্ত ভালো মন্দ অধ্যায়ে আপনারা সাথে ছিলেন, বাকি জীবনেও থাকবেন সেই কামনা করি।