‘পুলিশ চোদার টাইম নাই’

আরাফাত

প্রকাশিত : আগস্ট ০৪, ২০১৮

সিটিএন— এটা হলো ‘চোদার টাইম নাই’ এর শর্ট ফর্ম। আমরা স্কুল-কলেজে পড়ার সময়ে ব্যাপকহারে ব্যবহার করতাম। কারণ অনেক সময় ‘চোদার টাইম নাই’ বলার মতো অবস্থা থাকতো না। তাই শর্ট ফর্ম, সিটিএন। এখনো পর্যন্ত এটা দেশজুড়ে কথিত সুশীলদের বাইরে ব্যাপকহারে ব্যবহৃত ক্ষুব্ধ শব্দগুচ্ছ।

বিদ্রোহের ভাষা কখনোই নমনীয়-কমনীয় হয় না। ওই কিশোর বিদ্রোহীরা যে রাষ্ট্রের বিভিন্ন অংশকে লক্ষ্য করে প্রতিবাদ জানাচ্ছে, তাতে ব্যবহৃত শব্দ তারা নিজেরা আবিষ্কার করেনি। তাদের চিন্তা, ভাষাজ্ঞান ও আর্থ-সামাজিক কাঠামো থেকেই ওই শব্দের উৎপত্তি ও তার প্রয়োগ। ‘Fuck’ একটি ইংরেজি শব্দ— এটি কতভাবে ব্যবহৃত হয়, তার ইয়ত্তা নেই।

ভাষায় ওই কথিত ‘গালি’ তাই আমার কাছে স্বাভাবিকই ঠেকেছে। বন্ধুতার সম্বোধন যখন ‘চুদির ভাই’ হয়, তখন বুঝতে হবে, ওটাও সংস্কৃতিরই অংশ। এটাকে যান্ত্রিকভাবে দেখার অবকাশ নেই। আবার এ শব্দচয়নকে আবশ্যিক ধরে নেয়ারও অবকাশ নেই।

বিদ্রোহের ভাষা নন্দনতত্ত্ব মেনে নির্মাণ হয় না, এটা বুঝতে হবে। সেক্ষেত্রে কোন দ্বন্দ্বটা প্রধান, শোষক রাষ্ট্র ও তার শাসকশ্রেণির সঙ্গে ব্যাপক নিপীড়িত জনগণের দ্বন্দ্ব; নাকি বিদ্রোহে ‘অশ্লীল’ ভাষা প্রয়োগের সাথে ‘সুশীলতার’ দ্বন্দ্ব? উল্লেখ্য, ‘অশ্লীলতা’ বা ‘সুশীলতা’ কিন্তু সামাজিক নৈতিকতার বিষয়, যা বাস্তব অবস্থার সঙ্গে পরিবর্তনশীল।

আমি এটা বলছি না যে, শব্দ যাচ্ছেতাইভাবে, স্থান-কাল-পাত্র নির্বিশেষে একইভাবে প্রয়োগ করতে হবে। বরং বিভিন্ন পরিস্থিতিতে, সম্পর্কের ভিন্নতায় শব্দের প্রয়োগ বিভিন্ন রকমের হয়। তবে যখন কেউ কথিত সুশীলতার নামে বিদ্রোহের ভাষা চিনতে না পেরে যান্ত্রিকভাবে ভাষাজ্ঞান শেখাতে আসে, সেটাও আবশ্যিকভাবে পরিত্যাজ্য। তাদের সিটিএন...