ফারাক্কা বাঁধ ও কোটাপদ্ধতি

মতিন মোহাম্মদ

প্রকাশিত : মার্চ ১৭, ২০১৮

গোটা দেশের ছাত্রসমাজ ফুঁসে উঠেছে বিদ্যমান কোটাপদ্ধতি বাতিলের দাবিতে। অনেকদিন পর ছাত্রসমাজ একটি যৌক্তিক দাবিকে সামনে রেখে আন্দোলনে উন্মুখ হয়েছে। এরইমধ্যে তাদের দাবির সাথে দেশের কিছু বুদ্ধিজীবীও একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। তাদের ভাষ্য হলো, কোনও ভাবেই কোটাপদ্ধতি আর চলমান রাখা উচিত নয়। তারা এও বলছেন যে, এটি সংবিধান নির্দেশিত মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।

বর্তমানে ভিন্ন টকশোতেও কোটাপদ্ধতির যৌক্তিকতা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হচ্ছে। মজার বিষয় হলো, ফারাক্কা ও কোটাপদ্ধতি চালুর ব্যাপারে একটি অভিন্ন নীতি লক্ষ্য করা যায়।

তা হলো, ১৯৭৫ সালে পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালু করেছিল ভারত সরকার। কিন্তু ২০১৮ সালে এসেও সেই বাঁধ দেশটি বন্ধ করে দেয়নি। ফারাক্কা বাঁধ এখন বাংলাদেশের জন্য মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে সাময়িকভাবে বাংলাদেশে কোটাপদ্ধতি চালু করেছিলেন (তথ্যসূত্র: যমুনা টিভি)। আজ ২০১৮ সালে আমরা অবস্থান করছি। কোটাপদ্ধতির সেই সাময়িক ফরমান এখনও চলছে! এই কোটাপদ্ধতি এখন মেধাবীদের জীবনের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমাদের বুঝতে হবে যে, এই কোটাপদ্ধতি এখন পর্যন্ত টিকে রাখা হয়েছে কার স্বার্থে? এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়, সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে এখনও কোটাপদ্ধতি টিকে রাখা হয়েছে। কোটার মাধ্যমে জাতির মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করা হচ্ছে। বিভক্ত করা হচ্ছে জাতিকে। কোটার ধ্বজাধারীরা এখনও সেই ব্রিটিশদের ডিভাইড অ্যান্ড রুলস্ নীতি অনুসরণ করছেন। তাই যে কোনও সচেতন নাগরিকের উচিত, বিদ্যমান কোটাপদ্ধতির বিরুদ্ধে সরব হওয়া।