ফারুক আফিনদীর একগুচ্ছ কবিতা

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৮

মহামিলন

এসেছি পাথর হয়ে!
প্রেমের আচ্ছাদনে ঢেকো
আমার সকল লজ্জা অপ্রেম
কসম প্রিয়, মহামিলন দিনের

গোসল

অবশেষে
কালো যৌবনাকে
আষ্টেপৃষ্ঠে আলিঙ্গন
চুম্বনের প্রবল চিৎকার
নগ্ন
গোসল

ছবি

সময়ের সাড়া চলে গেলে
ছায়াটিও চলে যায়

পড়ে থাকে শুকনো তুলি

পাতাঝরা

তবুও, হারায় না শ্রী-প্রকৃতি
অমলিন ছবিখানি
গানখানি ঝরে রে মন
মনে পবনে

তেমনি এ মর্ম রে
তুলির ছোঁয়াখানি

ঝরাপাতা
কেঁদো না
বসন্ত ডাকছে

কালো জামা

একটা কালো জামার দিকে আঙুল মেলে ধরে বললেন, ওই দেখো, জংলার ভেতর থেকে প্রেত আসছে
ধেয়ে
ঠেকাও, ঠেকাও
বেঁধে
পাল
আমি আছি
তোমার
পিছে।

আর
একজনের ব্যবহারিক ভাষা এই
ওহে লোকসকল, আইসো...

আর তার ভেতরে যেসব কথাবার্তা চলে। যদি শোনো পিঠটাতে কান পেতে। শুনবে এক ভূতুরে বাচন। দেখবে, অন্ধকারে উড়ছে ভয়াল সাদা বস্ত্র  

আর যখন শয্যায় তারা যায়, শুয়ে শুয়ে বলে কিছু খাঁটি ভাষা— একটুখানি গান
মুখে হয় তো একখানা খিলিপান।

এর পর হিসেব মেলায়, দর্জিকে দেবে কত দাম

তখন কালো বস্ত্রে ছেয়ে যায় সবুজ গ্রাম।

সাক্ষি পশ্চিম আমার

সময় সাক্ষি
সাক্ষি এই হাওয়া, সূর্য

ওই বধির পশ্চিম...

একটি সবুজ পাখি ও একটি সদ্য ফুটে ওঠা লাল ফুল যখন কথা বলছিল এই মর্মে,
পৃথিবীর সবচেয়ে ভাষাহীন, সবচে’ সহজ ভাষায়—

আমাদের জন্য একটি আনন্দনগর অনাগত আনন্দনগরের আদলে তৈরি হবে একদিন
সহজ সাধ নিয়ে এসেছি আমরা,
দুটি প্রাণের একটি ভাষা
একটি বাসা
দুটি দিকের একটি দিগন্ত
একটি সময়
একটি চন্দ্রের টানে ফুলে ওঠা সমুদ্র
উপকূলে প্রাণের জোয়ার, নিতান্ত নিজের নয়
নিজেদের কাজ

সময়ের জন্য।

সব পণ্ড করে যাও ভস্ম করে যাও, সব পাঁপড়ি, পালক—
সময় সাক্ষি
হে ‘চির দেশহীন’ দুর্বৃত্ত

সাক্ষি
পশ্চিম আমার।