বইমেলায় পাঠক, প্রকাশকেরা স্বস্তিতে

ওমর সাঈদ

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৮

অমর একুশে গ্রন্থমেলার নবম দিন আজ। শুক্রবারের বিশেষ আয়োজন শিশু প্রহরের মধ্যে দিয়ে সকাল ১১টা থেকে শুরু হয় আজকের বইমেলা। শুরু থেকে পাঠকের আনাগোনা বেশ চোখে পড়ার মতো ছিল। গতকাল ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে যে পাঠকশূন্যতা বইমেলায় বিরাজ করছিল, তা অনেকটাই কেটে গেছে বলে প্রকাশকদের ভেতরে এসেছে স্বস্তি।

আজকের মেলায় উৎসুক জনতার উপস্থিতিতে মোটামুটি বইয়ের বিক্রিও হয়। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মেলায় শিশুপ্রহর ঘোষণা করা হয়। এ সময় মেলার সোহরয়ার্দী উদ্যানে জমে ওঠে শিশু চত্বর। নানা বয়সের শিশুরা রং বেরঙের নতুন বই আর তাদের জনপ্রিয় কার্টুন সিরিজ সিসিম্পুরের চরিত্র হালুম ইক্রি সিকু ও টুকটুকির সাথে আনন্দে মেতে ওঠে শিশু চত্বরে।

বাংলার শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি ও বাংলা ভাষার জন্য শহিদদের আত্মত্যাগ সম্পর্কে সন্তানদের জানাতে দুই সন্তান নিয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে মিল্টন এসেছেন বইমেলায়। ছাড়পত্রকে তিনি বললেন, আমি সরকারি চাকরিজীবী। সপ্তাহের অন্যান্য দিনগুলোতে সময় না পেয়ে শুক্রবারের ছুটিতে বইমেলায় সন্তানদেরকে নিয়ে এসেছি। কিন্তু বইমেলায় আগের সেই পরিবেশ আর পাচ্ছি না। পশ্চিমা আগ্রাসন দিন দিন যেভাবে আমাদের সংস্কৃতি দখল করতে চাইছে, তা রুখে দিতে বাংলা ভাষাকে আরও বেগবান করে তোলার কোনও বিকল্প নেই।

কী রকম? জানতে চাইলে তিনি বলেন, জায়গায় জায়গায় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো ইংলিশের পাশাপাশি বাংলাকে রাখে। আমার কথা হলো, বাংলার পাশাপাশি আপনারা ইংলিশকে রাখুন।

রাজধানী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বইমেলায় এসেছে পাঠকরা। মেলার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে চলছে একের পর এক নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও বিভিন্ন শিল্পীদের নিয়ে বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

একুশে বইমেলা ২০১৮