মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুতে কবি-লেখকদের শোক

প্রকাশিত : ডিসেম্বর ০১, ২০১৭

না ফেরার দেশে চলে গেলেন মেয়র আনিসুল হক। ৩০ নভেম্বর রাত লন্ডনের স্থানীয় সময় (বিকাল ৪.২৩ মিনিট) বাংলাদেশ সময় ১০.২৩ মিনিটে লন্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান (ইন্না ইলাইহি... রাজিউন)।
তার জন্ম চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী জেলায়, ১৯৫২ সালে। তার শৈশবের বেশ কিছু সময় কাটে তার নানাবাড়ি ফেনী জেলার সোনাগাজীর আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে।
তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
১৯৮০ থেকে ১৯৯০-এর দশকে টেলিভিশন উপস্থাপক হিসেবে তিনি পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনের আগে বিটিভিতে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার মুখোমুখি একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন। এরপর ২০০৫ থেকে ২০০৬ সালে বিজিএমইএ`র সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০০৮ সালে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই`র সভাপতি নির্বাচিত হন।
২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আনিসুল হক আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র পদের জন্য মনোনয়ন লাভ করেন। এবং বিজয়ী হন। মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মেয়র পদে বহাল ছিলেন।
আনিসুল হকের স্ত্রী রুবানা হক। তাদের তিন সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে নাভিদুল হক বোস্টনের বেন্টলি ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যবস্থাপনায় উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন বর্তমানে মোহাম্মদি গ্রুপের পরিচালক ও দেশ এনার্জি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে কাজ করছেন।
এদিকে আনিসুল হকের মৃত্যুতে বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কবি-লেখকেরা প্রকাশ করছেন শোক। ছাড়পত্রের পাঠকদের জন্যে এসব শোকবার্তা তুলে ধরা হলো:

কবি ও গল্পকার মুজতবা আহমেদ মুরশেদ লিখেছেন:
আনিস ভাই, কেমন জানি লাগছে। বুকের ভেতর কীজানি একটা কষ্ট। অপ্রকাশিত। গলার কাছে ঢোক গিলে রাখা কান্না। কেমন জানি লাগছে।
বিটিভির ঈদ আনন্দ মেলায় আমাদের প্রজন্মের সাথে আপনার পরিচয়। কী জানি এক অমোঘ নিয়তির মোতো আপনার কথা আর হাসিতে আকর্ষণ ছিলো। চুম্বকের মোতো টেনেছেন আমাদের।
চলেই গেলেন! তাহলে সত্যিই চলে গেলেন!
খুব কান্নায় ভেঙে যেতে মন চাইছে, আনিস ভাই। আপনার স্কুল আমারো স্কুল। দিনাজপুর জেলা স্কুল। এ নিয়ে একদিন কথা হলো, সাথে দিনাজপুরে মুক্তিযুদ্ধেরর গল্প। সে সময়টায় আপনারা আমাদের শহরে।
কী যে করি, চোখদুটো বারম্বার মুছেও শুকিয়ে নেয়া যাচ্ছে না! কী যে করি...
বুকটা কে যেনো খাঁমচে ধরে আছে।

বিশিষ্ট লেখক শাকুর মজিদ লিখেছেন:
আমরা একজন সুশিক্ষিত নগরপিতা হারালাম। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।

কথাসাহিত্যিক মাহবুব মোর্শেদ লিখেছেন:
আদুল্লাহ আবু সায়ীদ যে ধরনের আলোকিত মানুষ গড়তে চেয়েছিলেন সেই ধরনের মানুষ ছিলেন আনিসুল হক। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ আমাদের মেকিয়াভেলি, কিন্তু আনিসুল হক পুরো প্রিন্স হতে পারলেন না।

কবি সোহেল হাসান গালিব লিখেছেন:
বরিশালের মেয়র হিরন এবং ঢাকার মেয়র আনিসুল হক... দুজনেই গত হলেন। দুইটি স্বপ্নভঙ্গ।

কবি শাখাওয়াৎ টিপু লিখেছেন:
মৃত্যুই নির্মম সত্য। একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কিভাবে জয়প্রিয় হয়ে ওঠেন আনিসুল হক তার বেহতর উদাহরণ। সদালাপী ও স্মার্ট একজন মানুষ ছিলেন তিনি। দেখা হয়েছিল বেশ কয়বার। কথা বলতেন হাসি মুখে। প্রাণ খুলে।
বিদায় মেয়র। শান্তিতে থাকুন। শোক আর শ্রদ্ধা।

কবি পলাশ দত্ত লিখেছেন:
আনিসুল হকের মৃত্যুতে নাগরিকেরা বেদনাহত। কেন? তাদের মেয়র আনিসুল মরে গেছেন। যার ভেতরে কিছু আশার আলো দেখেছিল ঢাকার মানুষ। মানুষের সেই ব্যথা বুঝবার, ধরবার ও প্রকাশের মন, মনন ও ধীসম্পন্ন কোনো মিডিয়া নাই দেশে!

প্রচ্ছদশিল্পী কাব্য কারিম লিখেছেন:
তিনি তখন FBCCI এর প্রেসিডেন্ট ।আমি তখন বাড়ি থেকে পালিয়েছি । সাথে ছিল এলাকার এক বড় ভাই যিনি কিনা স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার ছিলেন। বড় ভাই বিবিধ উদ্দেশ্য নিয়ে ঢাকা এলে আমি তার সাথে বিনে পইসার সঙ্গী হই। এর মধ্যে একদিন প্রেসিডেন্ট মহোদয় এর সাথে বড় ভাই সাক্ষাত করবেন ( উদ্দেশ্য আর না বললাম