অলঙ্করণ: পাপিয়া জেরিন

অলঙ্করণ: পাপিয়া জেরিন

রুদ্র হাসানের একগুচ্ছ কবিতা

প্রকাশিত : জানুয়ারি ১১, ২০১৮

রসায়ন

মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে করে, ঠাটায়া দুইটা চুম্মা দিয়া দেই তোর আপেল গালে
তাইলে বুঝবি ভালোবাসা কারে কয়!

মাঝে মধ্যে মনটা কয়, তোর চুলের ঝুঁটি ধইরা খুইলা ফালাই
তারপর কানে-কানে না বলা কথা কই, আর মনের মাধুরী মিশায়া
বেণী বাইন্দা দেই
তাইলে বুঝবি
কতটা তুই আপনার।

অসহায় সময়

শীতের ভালোবাসার দাপটে কুঁকড়ে গেছে পুরো শহর
জানালার কাচে কুয়াশার আস্তরণ
ভেতর-বাহির জুড়ে
মানুষের স্বয়ংক্রিয় কাঁপন

একচিলতে ওম চায়
কেউ মানুষে-মানুষে
কেউ কম্বল কিংবা আগুনে
আর প্রকৃ‌তি ফুটপাতের এক কোণে বসে
ঠাট্টার দৃ‌ষ্টি‌তে তা‌কি‌য়ে দেখছে,
সৃ‌ষ্টির সেরা জীবের অসহায় সময়।

যন্ত্রণার স্মৃ‌তিগু‌লো

তোমার সুখ-স্মৃ‌তিগু‌লো  ঠিক সাগরের ফেনার মতো
যা সৈক‌তে আসতে না আসতেই মিশে যায় নোনাবালির বুকে

যন্ত্রণার স্মৃ‌তিগু‌লো শতভাগ ফরমালিন যুক্ত
রক্তে রক্তে বিষময় ক্ষয় প্রতিনিয়ত
সয়ে সয়ে হার মেনে যাই
মরেও যাব কোনও একদিন

আমি নিশ্চিত
তবু তোমার যন্ত্রণারা হার মানবে না
মরবেও না কখনো।

ছাই

প্রতিদিন গাছের অঙ্গ‌চ্ছেদ করে ফুলকে জীবন্ত কবর দিয়ে
তার সুবাসে নিজেকে এবং ঘরময় সুবাসিত করে রাখবো
তোমার মতো এতোটা নির্দয় আমি নই
তাই তোমার উপহার দেয়া ফুলদানিটা
আজ সিগারেটের অ্যাস্ট্রে বানালাম
ফুলের কবরস্থান না করে সিগারেটের শ্মশান হয়ে থাক।