শিক্ষকরা অলস, তাই শয়তান ভর করে মাথায়

কামরুল হাসান মানুন

প্রকাশিত : নভেম্বর ২৩, ২০১৮

বিবাহিত পুরুষ যখন ধর্ষক হয় তখন সেটা হয় ডাবল ক্রাইম। কারণ ভিক্টিম তখন দুজন। এক. যাকে ধর্ষণ করেছে সে এবং দুই. তার স্ত্রী যার বিশ্বাসে সে চরম আঘাত করেছে।

যখন সেই পুরুষটি শিক্ষক হয় সেটি আরো বড় ক্রাইম হয়। কারণ শিক্ষকতা পেশার অন্য একটি মাত্রা আছে। এটা অন্যসব পেশার মতো নয়। এখানে ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ক একটি ডিভাইন সম্পর্ক। এ সম্পর্ককে ব্যবহার করা মানে নৈতিকতার চরম স্খলন।

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যত যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের অভিযোগ শুনি সম্ভবত পৃথিবীর অন্য কোথাও এত অভিযোগ হয় না। হবে না কেন? কথায় আছে অলস মস্তিস্ক শয়তানের বাসা।

এতে বোঝা যায়, আমাদের শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতিতে ঝামেলা আছে। এতে বোঝা যায়, আমাদের সিস্টেম আমাদের শিক্ষকদের গবেষণায় ব্যস্ত রাখতে পারছে না। হেসেখেলে ও রাজনীতি করে দিন কাটালেই চলে। নিজের শিক্ষক পদকে ব্যবহার করে ছাত্রীদের আকর্ষণ করা সহজ।

সেটাকে ব্যবহার করে যৌন হয়রানি, ধর্ষণ করা অন্য অনেক পেশা থেকে সহজ। তাই এসব ব্যাপারে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি একান্ত কাম্য। আমাদের সমস্যা হলো, আমরা উদাহরণ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হই। যখনই কারো বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ ওঠে অমনি রাজনৈতিক বা অন্য কোনো কারণে কিছু শুভাকাঙ্খী দাঁড়িয়ে যায় যারা তাকে প্রটেক্ট করতে মরিয়া।

ফেসবুক থেকে