সময় হলো অসময়ে

মো. খালিদ সাইফুল্লাহ ফয়সল

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮

“প্রিয় জামিল,

শুনুন,

আপনাকে আমার কিছু কথা বলার আছে। আপনি কি জানেন আপনি একটা মধ্যম শ্রেণীর পাগল? কিছুদিনের মধ্যে আপনি উচ্চ শ্রেণীতে পদোন্নতি পাবেন, তখন রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক কন্ট্রোল করতে হবে।

শুনুন, জরি মেয়েটার কন্ঠ খুব মিষ্টি। আমি আবার তাকে ফোন দিয়েছিলাম, কথা বলতে বলতে বেশ ভালো লেগেছে এবং ঠিক করেছি মাঝে মাঝে ফোন দিবো। এমনটা করলে পাত্রীপক্ষ আপনার কাছ থেকে পাত্রী দিবে না। আচ্ছা বলুন না আপনি বিয়ে করছেন কবে? আপনার বিয়েতে আমি একটা নীল শাড়ি পড়বো। সেটা আপনি কিনে দিবেন, কী দিবেন না?”

দেশে নতুন ভোর। শীতকালীন কুয়াশাচ্ছন্ন জনমানব ভরতি শহর। প্রায় সবকটি পত্রিকায় খবর বেরোয়, গোপনে দেশান্তরী হলেন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী মোহসেনা জাহান।

নিজের ব্যক্তিগত পাঠ প্রতিক্রিয়া থেকে বলবো যে, নোমান ভাইয়ের দ্বিতীয় বই ছিলো এটি। আর, প্রথমটির মতো এটিও নতুন নতুন চরিত্রের মিশ্রণে গড়ে উঠেছে।

বইয়ের প্রথম অংশ শুরু হয়েছে.......পত্রিকা হাতে নিয়ে জুলফিকার মনে খারাপের অবস্থা নিয়ে, তার আর কোন যাওয়ার জায়গা রইলো না। ম্যাডামের সিদ্ধান্তে বেশ হতবার লোকটি, আর কয়েকটি ধৈর্য ধরলে কেসটা জিতে গেলে বেণুকে পেতেন তিনি।

রাগে কটকট করতে করতে জুলফিকার ফোনটা কেটে দেয়, মন খারাপ সাংঘাতিক আকার ধারণ করেছে। ম্যাডামের প্রতি তীব্র ভালোবাসা অনুভব করছে লোকটি, ম্যাডামের গানগুলো বড্ড কাছের করে নেওয়া জুলফিকার এখনো মর্মাহত।

কয়েকটি চরিত্রকে ঘিরে জমে উঠা উপন্যাসের ঘটনাগুলো পাঠক হৃদয়ে বেশ সমাদৃত হয়েছে, তাই সাহিত্যপ্রেমীদের “সময় হলো অসময়ে” বইটি পড়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি.........।।

একুশে বইমেলা ২০১৮