সৈয়দ হকের চিত্রনাট্যে সিনেমা বানাচ্ছেন সামিয়া জামান

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : জানুয়ারি ১৯, ২০১৮

প্রয়াত সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের চিত্রনাট্যে তৃতীয় সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দিলেন সামিয়া জামান।
সামিয়া জামান গণমাধ্যমকে বলেন, সৈয়দ শামসুল হকের লেখা চিত্রনাট্যটি তিনি নিজে আমাকে দিয়েছিলেন। আমি এখনো নাম ঠিক করিনি সিনেমার। মার্চের মধ্যে সবকিছু জানাতে পারবো।
উল্লেখ্য, এ নির্মাতা এখন ব্যস্ত আছেন ‘আজব সুন্দর’ নিয়ে। ২০১৬-১৭ সালে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সিনেমাটির প্রযোজক হিসেবে কাজ করছেন তিনি। এটি নির্মাণ করবেন ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধশিশুদের নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র ‘জন্মসাথী’ নির্মাতা শবনম ফেরদৌসী।
এর আগে সামিয়া জামানের পরিচালনায় মুক্তি পায় ‘রানী কুঠির বাকি ইতিহাস’ ও ‘আকাশ কত দূরে’।

২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন সৈয়দ শামসুল হক। ১৯৫৬ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত ৩০টিরও বেশি সিনেমার কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ তিনি রচনা করেন।
১৯৫৬ সালে প্রথম ‘মাটির পাহাড়’ চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য ও গীত রচনা করেন। এরপর ১৯৬১ সালে ‘তোমার আমার’, ১৯৬৪ সালে ‘শীত বিকেল’, ১৯৬৬ সালে ‘সুতরাং’ চলচ্চিত্রের কাহিনি চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনা করেন।
১৯৬৬ সালে নিজের কাহিনি চিত্রনাট্য ও সংলাপে প্রযোজনা ও পরিচালনা করেন উর্দু সিনেমা ‘ফির মিলেঙ্গে হাম দোনো’। এরপর ১৯৬৭ সালে ‘নয়ন তারা’, ১৯৬৯ সালে ‘ময়নামতি’, ‘কাচ কাটা হীরে’ ও ‘মধুমিলন’, ১৯৭০ সালে ‘বিনিময়’ ও ‘কখগঘঙ ’চলচ্চিত্রের কাহিনি ও সংলাপ রচনা করেন।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ১৯৭২ সালে ‘অবুঝ মন’, ১৯৭৬ সালে ‘মাটির মায়া’, ১৯৮২ সালে ‘বড় ভালো লোক ছিল’ চলচ্চিত্রের কাহিনি চিত্রনাট্য সংলাপ ও গীত রচনা করেন। এই চলচ্চিত্রটি চিত্রনাট্যের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
১৯৮৩ সালে ‘পুরস্কার’ চলচ্চিত্রের কাহিনি চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনা করে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য ও সংলাপে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন সৈয়দ হক। ১৯৮৪ সালে ‘অভিযান’, ২০০৮ সালে ‘একজন সঙ্গে ছিল’ এবং সর্বশেষ নিজের ‘নিষিদ্ধ লোবান’ উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য করেন তিনি। ‘গেরিলা’ নামে সেই চিত্রনাট্যটি পরিচালনা করেন নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু।