স্ত্রী এবং রক্ষিতা

পর্ব ১

সরদার মেহেদী হাসান

প্রকাশিত : অক্টোবর ০৯, ২০১৮

বাদল সাহেবের শরীর ইদানীং তেমন ভালো যাচ্ছে না। বয়স প্রায় পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই। নিজের এনজিওর দিকে পুরোদমে নজর দেয়ার কারণে পরিবারের জন্য বাড়তি সময় বের করাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিজের পরিবার বলতে ঘরে সুন্দরী স্ত্রী, দুটি ছেলে ও একটি মেয়ে। বাদল প্রেম করে বিয়ে করেছিল মিতালীকে। মিতালী বয়সে বাদলের চেয়ে বছর পাঁচেকের ছোট, সেই হিসেবে মিতালীর বয়স আানুমানিক ৪৫ বছর।

মিতালীর শরীর দেখে সহজে বোঝার উপায় নেই তার ঘরে তিনটি সন্তান রয়েছে। মিতালী তার শরীরের সৌন্দর্যের প্রতি বেশ সচেতন। সে নিয়মিত ফেসিয়াল করে, মাঝেমধ্যে স্পাও করিয়ে নেয়। বড় ছেলেটির জন্মের পর মিতালী কিছুদিন বুকের দুধ খাইয়েছিল, তারপর সে কখনও অন্য দুটি বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়ানোর অভ্যাস করেনি। কারণ বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ালে বুকের সৌন্দর্যটা নষ্ট হয়ে যাবে, এই ভয়ে।

তার বুক দুটো এই বয়সেও বেশ আকর্ষণীয়, তা সে বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারে। বাইরে বেরুলে সব পুরুষেরাই হা করে তাকিয়ে থাকে তার বুকের দিকে। প্রথম প্রথম একটু আধটু লজ্জা লাগলেও এখন অতটা লজ্জা লাগে না। মিতালী স্বামীর দৃষ্টি সব সময় তার দিকে ফেরানোর জন্য বুকে স্পঞ্জের ব্রা ব্যবহার করে, যাতে বুক দুটো বেশ খাঁড়া খাঁড়া দেখায়।

হারামির বাচ্চা! তোর জন্য আমার জীবনটা শেষ করে দিলাম, তোর জন্য বাচ্চাদেরও ঠিকমতো দুধ খেতে দেইনি, তোকে কাছে পাবার জন্য কী না করেছি, তুই একটা জানোয়ার! তুই একটা কুকুর! তোরে কুকুর দিয়ে চোদানো উচিৎ... এরকম অশ্লীল খিস্তি-খেউর করা মিতালীর নিত্যদিনের কাজ। সকালে ঘুম থেকে উঠেই খিস্তি-খেউর শুরু করতে হয় এবং রাতে ঘুমাতে যাবার আগপর্যন্ত খিস্তি-খেউর কন্টিনিউ করতে হয়।

ওই যে কথায় বলে, মানুষ অভ্যাসের দাস। মিতালীর ঠিক মনে নেই, কবে থেকে সে এমনটা হয়ে গেছে। সে যখন প্রথম বাদলের ঘরে বউ হয়ে এসেছে তখন তার সংসারে ভালোবাসার কমতি ছিল না। সব সময়ই তারা ভালোবাসার জালে আটকে থাকত। এখন মিতালীর কপালে কোনো ভালোবাসা নেই। ভালোবাসা থাকবে কেন? শুয়োরের বাচ্চা সব চুষে খেয়ে নিয়েছে, এখন যা আছে তা শুধুই তলানি। শুয়োর রাত নেই, দিন নেই শুধু আমার দেহ নিয়ে কামড়াকামড়ি করেছে, অতিষ্ঠ করে তুলেছিল জীবনটাকে।

মিতালীর এমন আচরণ গা-সওয়া হয়ে গেছে তার সন্তানদের কাছে। তারা জন্মের পর থেকেই বাবা-মা`র ঝগড়াঝাটি দেখে আসছে। তারপরও বিষয়টি সন্তানেরা ভালো চোখে দেখে না। আজকে সাত সকালে ঘুম থেকে উঠেই মিতালী তার নিজের গোসল সেরে নেয়ার জন্য গোসলখানায় ঢুকেছে। বিয়ের পর থেকেই প্রতি সকালেই ঘুম থেকে উঠে নিজের গোসল সেরে মিতালী তার ঘরের অন্য সকল কাজে হাত দিত, কিন্তু সময়ের গতির বেড়াজালে মিতালীর সেই গোসলের সময়ের পরিবর্তন হয়েছে।

বিষয়টা এমন, করলে তো করি, না করলে তো করি না। গতরাতে বাদল ঘুমের মধ্যে চুপ থাকলেও মিতালী নিজের গরজেই বাদলের শরীরের উপর নিজের শরীর সমর্পণ করেছিল। গোসলখানায় ঢুকেই মিতালী একে একে শরীরের সকল পোষাক খুলে রেখে সকালের ঝর্ণার ঝিরঝির পানিতে সিক্ত করতে ঝর্ণার হাতলে হাত রেখে মোচর দিতেই আউ বলে চিৎকার করে ওঠে। বাদলটা খুবই অসভ্য। তার কোনো সময়জ্ঞান নেই। কখন যে...বাদল নীরবে গোসলখানায় ঢুকে পিছন থেকে মিতালীকে জড়িয়ে ধরেছে।

ইস, ভয় করে না বুঝি?
কেন? আমি কি আমার বউকে একটু জড়িয়েও ধরতে পারব না?
এইটা কোনো সময় হলো? সারারাত তো জড়িয়ে ধরে ছিলে।
হা হা হা হাসতে হাসতে বাদল বলে, রাতের ধরা আর এখনকার ধরা কি এক হলো?
কেন? তফাতটা কি? খালি দুষ্টামি!
হা হা হা... কেন? মজা পাচ্ছ না?

এরই মধ্যে বাদল মিতালীর শরীরটা নিয়ে দুমড়িয়ে মুচড়িয়ে ফেলতে চেষ্টা করছে। মিতালী অনেকটা চেষ্টা করছে নিজেকে বাদলের হাত থেকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য। কিন্তু শক্তির জোরে মিতালী বাদলের সাথে পেরে উঠছে না। ইস, ছাড়ো না লক্ষ্মীটি, কিছুক্ষণ আগেই না তুমি দুষ্টুমি করে আসলে। আবার কেন এমন করছো?
বাদল জবাব দেয়, তোমার সাথে আমৃত্যু দুষ্টুমি করলেও আমার দুষ্টুমি করার সাধ মিটবে না।
তাই বলে গোসলখানায়?
হ্যাঁ, গোসলখানায় সমস্যা কোথায়? মানুষ কত জায়গায় না দুষ্টুমি করে, আমি এখানে করতে পারব না?
ছি! আমার লজ্জা করছে। এই খবরদার... খবরদার বলছি, ওইখানে মুখ দেবে না। ছি! তোমার ঘেন্না করে না?
হা হা হা... ঘেন্না! তোমার শরীরের প্রতি? তোমার শরীরের প্রতি ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে মধু লেগে আছে। তাতে মুখ দিতে আমার কোনো ঘেন্না করে না।
তুমি আমাকে এত ভালোবাসো?
হ্যাঁ, বিশ্বাস হয় না?
বিশ্বাস হবে না কেন? তুমি না আমার স্বামী।

মিতালীর শরীরে পানির ফোয়ারা ঝাপটে পড়তেই শরীরে একটা ঝাকুনি অনুভব করলো। মিতালী শরীরের সমস্ত কাপড় খোলার পর দরজার সিটকানি লাগিয়ে দিল। সে নিমেশেই হারিয়ে গিয়েছিল বিয়ের প্রথম দিনের সেই স্মৃতিগুলোতে। আজকে গোসলখানায় সে একা। বাদল শোবার ঘরে অঘোরে ঘুমোচ্ছে। লোকটাকে ইদানীং মিতালীর খুব অচেনা অচেনা লাগে। জীবনের অতি কাছের মানুষটি ধীরে ধীরে অনেক দূরে সরে যেতে শুরু করছে। বাদল তো এমন ছিল না!

চলবে