স্ত্রী এবং রক্ষিতা

পর্ব ৩

সরদার মেহেদী হাসান

প্রকাশিত : অক্টোবর ১১, ২০১৮

দ্রুত সকালের নাশতা সেরে বাদল উঠে পড়ল টেবিল থেকে। হঠাৎই প্যান্টের পকেটে থাকা মোবাইলটি নির্লজ্জের মতো বেজে উঠলো। বাদল মোবাইলটা পকেট থেকে বের করে তার চোখের সামনে তুলে ধরতেই তার নজর পড়ল মিতালীর উপর। মিতালী খাবারের টেবিলে বসে তার দিকে তাকিয়ে আছে। সে পরিস্থিতি বুঝে মোবাইলটা রিসিভ না করে পুনরায় পকেটে ঢুকিয়ে রাখল।

মিতালী: রিক্তা ফোন দিয়েছে?
বাদল: না।
মিতালী: তবে কে?
বাদল: অফিস থেকে।
মিতালী: অফিসের ফোন? ফোন ধরলে না কেন?
বাদল: এমনি।
মিতালী: আমার কাছে লুকিয়ে লাভ কি? সোজাসাপ্টা বললেই তো হয়, রিক্তা ফোন দিয়েছে।
বাদল: না-আ-আ...
মিতালী: ওই বেশ্যা মাগীর কাছে তুমি কি পাও? ওই বেশ্যাডা তোমার জীবনডারে খাইয়া ফেলছে।
বাদল চুপচাপ। সে বুঝতেছে, এখন কিছু বলা মানেই মিতালীর অগ্নিময় চেহারার দর্শন তাকে দেখতে হবে। এতে মিতালীর চাইতে তারই বেশি ক্ষতি হবে। বাদল মিতালীর কথায় কোনো উত্তর না দিয়ে সোজা তার রুমে গিয়ে ঢোকে। অন্যদিকে মিতালীর ডিজিট্যাল খেস্তিখেউর চলছে, খানকির পোলা, আমার কথার উত্তর দেস না কেন? ওই ক্যালকিচুদি মাগীর ভিতর তুই কি পাইছোস?... যতক্ষণ এনার্জিতে কুলায় ততক্ষণ খিস্তিখেউর করে চলল মিতালী।

বাদল রেডি হয়ে মাথা নিচু করে অফিসের কাজে বেড়িয়ে পড়ল। আজকে তার রিক্তার উপর প্রচণ্ড রাগ হচ্ছে। কী দরকার ছিল? এই সকালে ফোন দেয়ার? মাঝে মাঝে মেয়েটা বাদলকে বেশ অস্থির করে তোলে। রিক্তা বাদলের বউ নয় কিন্তু বউয়ের চেয়ে কমও নয়। প্রায় ১৫ বছর ধরে সে রিক্তার বাসায় যায়। রিক্তার বয়স এখন ৩০ বছর। প্রথম যেদিন বাদল রিক্তাকে দেখেছিল তখন রিক্তার বয়স ছিল ১৫ বছর। সেই দিনটার কথা মনে হলে বাদলের শরীর এখনো শিরশির করে ওঠে। কী যে তৃপ্তি পেয়েছিল তার শরীরটা,
রিক্তার শরীরটা কাটা মুরগীর মতো ছটফট করছিল। কী যে শান্তি... আহ! যতই ছটফট করে রিক্তার নরম দেহ ততটাই চেপে বসে বাদলের শরীর তার উপর। বসবে না কেন? ছোট্ট একটা মেয়ে, বয়স সবে ১৫ বছর। ১৫ বছরের মেয়েটিকে দেখে নিজের সকল হিতাহিত জ্ঞান লোপ পেয়েছিল। ওইদিন মাসীর ফোন পেয়েই বাদলের শরীর গরম হয়ে গিয়ে ছিল।

মাসী: বাদল? তুমি কই?
বাদল: হ্যাঁ মাসী বলো, আমি অফিসে।
মাসী: ভালো খবর আছে।
বাদল: মাল পাইছো?
মাসী: হ পাইছি, কিন্তু রেট বেশি দিতে হবে।
বাদল: আরে ধুর, টাকার কথা চিন্তা করো কেন? মালটা এখন কোথায়?
মাসী: আমার বাসায়?
বাদল: কচি তো?
মাসী: আরে, কচি মানে, স্কুলে পড়ে।
বাদল: স্কুলে পড়ে! বয়স কত?
মাসী: কত আর  হবে? ১৪-১৫ বছর হবে। স্কুল ড্রেসপরা অবস্থায় আছে মেয়েটি। তুমি নিজে এসে ড্রেস খুলে মেয়েটিকে গ্রহণ করো।
বাদল: বলো কী! আমি এখুনি আসছি।
মাসী: শোনো শোনো, ৫০ হাজার টাকা সঙ্গে নিয়ে আইসো।
বাদল: এত টাকা!
মাসী: আরে মিয়া কি কও? যে পোলাডা প্রেমিক সাইজা তারে এখানে বিক্রি করে দিয়ে গেল, তাকে তো টাকা দিতে হবে।
বাদল: আচ্ছা আচ্ছা, টাকা নিয়ে আসছি।

আজকে বাদল ৫০ হাজার টাকার সুদসহ উসুল করে ছাড়বে। সে আজ বাসায় ফিরবে না। সারারাত মেয়েটিকে ভোগ করবে। এরই মধ্যে সে মেয়েটির শরীর রক্তাক্ত করে ফেলেছে। মেয়েটি নিথর হয়ে পড়ে রয়েছে খাটে উপর। শরীরের সকল পোষাক ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রয়েছে খাটের নিচে। উলঙ্গ হয়ে পড়ে রয়েছে মেয়েটির শরীর, দুপায়ের সংযোগস্থল থেকে গড়িয়ে পড়ছে রক্ত। আজকে বাদল পশু হয়ে গেছে। এই মেয়েটির বয়সী একটি মেয়ে তার ঘরে রয়েছে। কিন্তু তারই মতো একটি ছোট্ট মেয়েকে সে পশুর মতো ভোগ করলো।
মেয়েটির সাথে যুদ্ধ করতে করতে সে হাঁপিয়ে উঠেছে। ছোট্ট শরীর, কোনোদিন শরীরে কোনো পুরুষ মানুষের হাত পড়েনি। তাই সে অনেকটা ভয় পেয়েছিল। কিন্তু বাদল তো ছাড়ার পাত্র নয়। সে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে এক রাতের জন্য। সে বহুদিন ধরে মাসীকে বলে রেখেছিল, কচি আনকোড়া মেয়ে এলেই প্রথমে তার চাই। যত টাকা লাগবে সে দেবে। একদিকে টাকা অন্যদিকে নারীর শরীর। মেয়েটার নামটা কি? কি করে শুনবে? সে তো এসেই ক্ষুধার্ত হায়েনার মতো ঝাপিয়ে পড়ছিল মেয়েটির শরীরের উপর, ছোট্ট শরীরটা পেয়ে সে পাগল হয়ে গিয়েছিল। বিছানায় শুয়ে থেকে কাঁতরাচ্ছে মেয়েটি। বাদলের ভিতরের লুকায়িত পশুটি পুনরায় জেগে উঠেছে। একটি রক্তাক্ত মেয়ের প্রতি তার কোনো দয়ামায়া নেই। তার মনের ভিতর কামনার আগুন দাউদাউ করে জ্বলছে। বাদল বহুদিন পর এমন কচি একটা মেয়ে পেয়েছে। মুখের সামনেই ক্ষতবিক্ষত নগ্ন মেয়েটি শুয়ে রয়েছে। কোনো প্রকার দ্বিধাগ্রস্থ না করেই নিজের শরীরের কামনা মিটানোর জন্য ঝাপিয়ে পড়ল মেয়েটির উপর। মেয়েটি বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করলেও নিস্তার পাচ্ছে না। সে তার ছোট্ট শরীরটাকে বাদলের শক্ত বাহুর বন্ধন থেকে ছাড়িয়ে নিতে পারছে না। মেয়েটি হাউমাউ করে কাঁদছে, আমাকে ছেড়ে দিন, আমি আপনার মেয়ের মতো...

ঠকঠক... ঠক... দরজায় কড়া নারার শব্দ।
বাদল: কে?
আমি মাসি, দরজা খোলো।

চলবে