অলঙ্করণ: পাপিয়া জেরীন

অলঙ্করণ: পাপিয়া জেরীন

স্ত্রী এবং রক্ষিতা

পর্ব ৫

সরদার মেহেদী হাসান

প্রকাশিত : অক্টোবর ২০, ২০১৮

ডান কাতে মেয়েটি ঘুমিয়ে রয়েছে। ডান হাতের তালুর উপর মাথা এবং কোমরের উপর বাম হাতটি রেখে গভীর ঘুমে সে আচ্ছন্ন। তাকে দেখতে পরির মতো লাগছে। ধেৎ তেরি... মাথার উপরের সিলিং ফ্যানের প্যানপ্যানানি মোটেও ভালো লাগছে না বাদলের। কিন্তু ফ্যানের বাতাসের মৃদু দুলুনিতে মেয়েটির মুখের উপর আচ্ছাদিত চুল বেশ লাগছে তার। মেয়েটি এত সুন্দর কেন!

মেয়েটিকে এত নিখুঁতভাবে তৈরি করেছেন বিধাতা। কোত্থাও কোনো খুঁত রাখেননি। ফ্যানের বাতাসের দুরন্তপনায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে বুকের ওড়নাটি। মন্দ লাগছে না... ভি কার্ট কামিজে তার বুকের সৌন্দর্য পাগল করে তুলছে বাদলকে। নিঃশ্বাসের মৃদু দুলুনিতে মেয়েটির বুক দুটি বেশ লাগছে। ইশ, পরশু মেয়েটির ওই বুক দুটি নিয়ে সে অমানবিক অত্যাচার করেছে। আজকেও মেয়েটির উপর ঝাপিয়ে পড়তে লোভ হচ্ছে।

কিন্তু বিবেকটার জন্য পারছে না। বিবেকটা একটা শয়তান। যখনই বাদল কোনো খারাপ কাজ করতে যাবে তখনই ওই বিবেকটা পিছন থেকে টেনে ধরে। ‘বাদল, তোর ঘরেও কিন্তু এই মেয়ের বয়সের কন্যা রয়েছে।’ ইশ, বাদল তার নিজের দু’হাতের মুষ্টি নিয়ে কঠিনভাবে মোচরাচ্ছে। আর মনে মনে বিবেকের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করছে। কেন তাকে বিবেক বাধা দেয়? তার শরীর তো বাঁধ মানতে  চায় না। তার তো প্রচুর ক্ষুধা।

‘কেন, তোর বাসায় বউ নেই?’ তোর বিবেকের গুষ্টিরে চুদি। বাসায় বৌ থাকলে কি অন্য মেয়েরে চোদা যায় না? বাদল দেখেছে, আগে তার বিবেক যখনই খারাপ কাজ বাঁধ সেধেছে, তখনই সে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করেছে। তাতে কাজ হয়, বিবেক পালিয়ে যায় এবং সে খারাপ কাজে ঝাপিয়ে পড়তে পারে। কিন্তু আজকে সে কোনোভাবেই বিবেককে তাড়াতে পাড়ছে না। বিবেক তাকে পেয়ে বসেছে। বিবেক ফন্দি পেতেছে। ইদানীং তার মেয়েটি সাবালক হওয়ায়, যখনই সে নারীঘটিত কোনো বিষয়ে এগুতে চায় তখনই বিবেক তার কন্যাকে তার সামনে এনে দাঁড় করিয়ে দেয়। এই এক বড় ঝামেলা বাদলের কাছে।

মেয়েটির ঠোট... আহা! মনে হচ্ছে একখুনি কামড়ে খেয়ে ফেলি। ওই দিনের কামড়ানোর দাগ এখনও মেয়েটির ঠোঁটে রয়ে গেছে। আজকে মেয়েটির ঠোঁটে লিপস্টিক নেই। ওইদিন লিপস্টিক ছিল। আহা! কী যে ঘ্রাণ লিপস্টিকের! ওরে, শরীর আর বাঁধ মানতে চায় না। সব কিছু তছনছ করে ফেলতে চায়। শরীরের ভিতর ঢুকে যেতে চায়। ওরে বিবেক, তুই দূরে সরে যা। আমাকে আমার কাজ করতে দে।

‘লিপস্টিকের ঘ্রাণ তোর এত ভালো লাগে? তাহলে যা, তোর মেয়ে বাড়িতে ঠোঁটে লিপস্টিক মেখে বসে আছে। যাহ, তারে গিয়ে...’ ছিঃ ছিঃ এটা হয় নাকি? বিবেকের বেশি বাড়াবাড়ি। বাদল তার কন্যাকে জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসে। এই তো কিছুদিন আগেও মেয়েটি বাদলের বুকের মধ্যে লুটুপুটি করে ঘুমিয়ে থাকতো। সারাটাদিন বাবা বাবা ছাড়া কিছুই বুঝত না মেয়েটি। ইদানীং একটু বাপ-মেয়ের দূরত্ব বেড়েছে। ছেলেমেয়েগুলো তাকে সবসময় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। মিতালীর সাথে তার প্রতিদিনের ঝগড়াকে তারা ভালো চোখে দেখে না। ছেলেমেয়েগুলো দিন-দিন বড় হয়ে যাচ্ছে।

মেয়েটির কামিজের  ভি কার্টটি তুলনামূলক বেশি বড় হওয়ায় তার বুকের অনেকটা অংশ বেরিয়ে আছে। ইদানীং বেশ চল আছে এই লম্বা কাটের। বেশ ভালোই লাগে বাদলের। মেয়েটি ফর্সা হওয়ায় ভি কার্টের ফাঁক দিয়ে বুকের খোলা অংশটি বাদলকে বারবার কামনার আগুনে ঝাপিয়ে পড়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। ‘কিরে, তোর মেয়ে ওইদিন ওড়না ছাড়া ভি কার্ট কামিজ পরায় বকা দিয়েছিলি, আজকে তারই বয়সী আরেক মেয়েকে দেখে জিভেয় জল আসছে কেন?’

আরে ধুর, এইটা কি আমার মেয়ে?
তোর নিজের মেয়ে নয়, কিন্তু তোর মেয়ের বয়সী।
সবসময় এত তর্ক করলে ভালো লাগে না। মেয়ের ভালোমন্দ দেখার দায়িত্ব বাবা-মার। আমার মেয়ে উল্টাপাল্টা ড্রেস পড়বে আমি কিছু বলব না? সেতো দিন দিন বড় হচ্ছে। এখন তো তাকে পোষাক আশাকের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। আমার মেয়েকে আমি বকা দিতে পারব না?
অবশ্যই পারবি। কিন্তু অন্য মেয়েদের প্রতিও তোর দায়িত্ব আছে।
আরে রাখ তোর দায়িত্ব। এরই মধ্যে অন্তত এক লক্ষ টাকা খরচ করে ফেলেছি মেয়েটির পিছনে। সেই টাকার সুদ তোলব না? অবশ্যই তুলবো। তার শরীরের সব রস নিংড়ে খেয়ে ফেলব। এখন থেকে মেয়েই শুধুই আমার। সে শুধু আমার ভোগের জন্যই এখানে থাকবে। গত দুদিন তাকে ভোগ করছি না শুধু তোর কারণে। তুই অদৃশ্য। সামনে পেলে তোরে গুলি করে মারতাম।

চলবে