স্ত্রী এবং রক্ষিতা

পর্ব ১৬

সরদার মেহেদী হাসান

প্রকাশিত : জানুয়ারি ০৯, ২০১৯

হা হা হা... স্ত্রী! তুমি আমাকে বিয়ে করবে? রিক্তার এমন প্রশ্নে বাদল কিছুটা হতভম্ব। সে বলে, আরে রাখো তো। বিয়ে আবার কিসের? তোমাকে বউয়ের চেয়েও বেশি ভালোবাসবো। বাদলের কথায় রিক্তা অতটা বিচলিত নয়। সে জানে, বাদলের মুখ থেকে বিয়ে করার বিষয়ে কথা বের কথা যথেষ্ট কঠিন, তারপরও সে চেষ্টা করে যাবে। এখানে বেশ্যা হয়ে মরার চেয়ে বাদলের লাত্থিগুতা খেয়ে, স্ত্রীর সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকাই ভালো।

দু’দিন ধরে বাদল রিক্তার ঘরেই আছে। বাদল এ দু‘দিনে তার শরীরটা তছনছ করে ফেলেছে। এক মুহূর্তও নিশ্বাস ফেলার সময় দিচ্ছে না। লোকটির শরীরে এত কাম আসে কোথা থেকে? রিক্তার ভাবান্তরের শেষ নেই। মোবাইলের শব্দ বাজতেই রিক্তা বাদলের ফোনটি তুলে নিয়ে কানে দেয়। হালো কে?

ওই খানকি, বেশ্যা কোথাকার, তুই ফোন ধরেছিস কেন? তুই আমার সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করে রেখেছিস, তুই আমার বাদলরে চুরি করে রেখেছিস। আমার কি নেই? তোর যা আছে! তোরে আমি কুকুর দিয়ে...

হইছে? তোর কথা শেষ হইছে?? মাগী মরিচ বাইট্টা ওইখানে লাগাইয়া দিমু। কি ভাবছোস? আমি তোর ভাতাররে ভাগাইছি? তোর ভাতার আমারে ভাগাইছে, আমি তার শরীর নিয়ে পড়ে থাকি না, তোর ভাতারই আমার শরীর নিয়ে পড়ে থাকে। আমারে গালি দিস কেন? তোর ভাতাররে কঅ... খানকি চোদা...

রিক্তার মুখ থেকে এক নিশ্বাসে এতগুলো কথা শুনে হজম করাই কষ্ট হচ্ছে মিতালীর। তার ভালবাসার মানুষটি চোখের সামনে দিনকে দিন সরে যাচ্ছে। সে এখন কি করবে? ডুকরে ডুকরে কেঁদে ফেলে মিতালী।

রিক্তা মনের ক্ষোভে হাপাচ্ছে। কী করবে বুঝতে পারছে না। বাদল বাথরুমের দরজা খুলে ঘরে ঢোকে। কি, হাঁপাচ্ছো কেন?
তোমার বউ ফোন দিছিল।
অ আচ্ছা। তা কি বলেছে যে হাঁপাচ্ছ?
আমার চৌদ্দগুষ্টি তুলে গালি দিয়েছে।
হা হা হা... গালি দিয়েছে?
হা হা হা করে হাসছো কেন? তোমার বউ গালি দিল আর তুমি হাসছো?
আরে তুমিও তো আমার বউ, দুই বউয়ে চুলাচুলি... হা হা হা

বাদলের মুখে এত হাসির ফোয়ারা দেখে তাতে হাসির সুর মেলাতে থাকে রিক্তাও। তুমি তোমার বউকে ভয় পাও?
হা হা হা... না পাওয়ার কোনো কারণ আছে?
ভয় পাও, তাহলে আমার এখানে আসো কোন সাহসে?
সাহস? সাহস তো তুমি নিজেই।
মশকরা করো? বিয়ে করার মুরদ নেই, বউ চোদাও?
কি বলিস? বিয়ে করতে পারব না মানে? তোকে আমি বিয়ে করব তবে এখন নয়।
আমার এখানে থাকতে ভালো লাগে না। আমাকে এখান থেকে অন্য কোথাও নিয়ে যাও।
যাব.. যাব, নিয়ে যাব। ঢাকার পল্লবীতে আমার একটা অফিস নেয়া আছে। সেইটা আগামী মাসে ছেড়ে দিয়ে ধানমন্ডিতে অফিস নিয়েছি। আমি তোমাকে পল্লবীর ওই বাসাতে নিয়ে রাখব।

রিক্তা তার কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না। সে কি সত্যি সত্যি শুনছে? আনন্দে তার নাচতে ইচ্ছে করছে। সে বলল, তুমি সত্যিই আমাকে এখান থেকে বের করে নিয়ে যাবে?
হাঁ, নিয়ে যাব। সমস্যা কি?
কবে নিয়ে যাবে? কবে? রিক্তা অস্থির এই বিষবাষ্পের বেড়াজাল থেকে বের হবার জন্য। সে কি সত্যি সত্যিই এখান থেকে বের হতে পারবে?

চলবে