হামেদ হাসানের একগুচ্ছ কবিতা

প্রকাশিত : জুন ১২, ২০১৮

প্রভু করুণায় মালা

ঘৃণা নাহি হিংসা নাহি নাহি ময়লার পাহাড়
বর্ষা দেখি বৃষ্টির সারি নষ্টের মরা পরিষ্কার"

পাপে আমি নামের সাথে শ্রেষ্ঠ অদ্বিতীয়া
ধনের চায়ে হাল্কা ভারি পাপে চলে না গাড়ি,
ঘড়ি চলে দম চলে ইচ্ছা হলে দৃষ্টির রাস্তা
অনেক চলা থামতে পারে দম অন্তর সত্তা,
অন্তরের বাড়িটিকে আলোসাজে ফুল পুণ্য
মাঠি তখন গর্ভ করে আমার শরীর হলো ধন্য।

আশির্বাদ একাকার সবার তরেই ঘরে ঘরে
মহিমা স্রষ্টার সর্ব কল্যাণ কামনা হে করুণা,
গুছাও দুঃখ অভাব অসার যন্ত্রণায় কামনা
তুমি মহা মহান হে প্রভু তুমিই তো মম প্রেমা,
আমাদের আশে আছ তুমি অসংখ্যায় মিশে
ভালোবেসে আছি তোমার পথে প্রশংসা চিত্তে।

অভাব মোদের মনে জট অন্ধ জ্ঞান কালিমা
তুমি জাগিলে মনে অন্তরে ভরা মধুর পূর্ণিমা,
চলার সাথে থেকে থামাও ভুলের অশুভ গতি
শ্রমের সাথে শিখাও মানব মুখি মমতার নীতি,
ভীতু আমি অলস হয়ে ভবঘুরে অধর্মে ঝোলা
নষ্টে শ্রেষ্ঠ আমি তবু তুমি ক্ষমায় ভাসাও ভেলা।

আমি স্রষ্টার অলঙ্কর

চলাচলের মায়ারূপ গাঁথা মালায়
সুন্দরের ছোঁয়া তাই সৃষ্টির মহিমায়,
মানুষ সুন্দরের রাকি ভাষা সুর গান
সাধনার সাথে শ্রেষ্ঠ আলো মন প্রাণ

আমি অনুভূতির মানুষ

        প্রাণের বর,
আমি প্রতিভার মানুষ
        সৃষ্টির তর।
আমি সাধারণ মানুষ
        জীবন পথে,
আমি মাটির মানুষ
        শুরু থেকে।
আমি সৃষ্টির মানুষ
        স্রষ্টা থেকে,
আমি স্বপ্নের মানুষ
        সাজের সাথে।
আমি কল্পনার মানুষ
        চিন্তার হাড়ি,
আমি ভাবনার মানুষ
        মনুষ্য ঘড়ি।
আমি সময়ের মানুষ
        বয়সের পথে,
আমি প্রশংসার মানুষ
        ভালোবাসা থেকে।
আমি নিন্দিত মানুষ
        ঘৃণার পাপে,
আমি পাপী মানুষ
        জঘন্য লোভে।
আমি দোষি মানুষ
        ভুলের কারণ,
আমি নীরব মানুষ
        অন্তর ধরণ।
আমি ভালবাসার মানুষ
        প্রেমের সুখে,
আমি প্রেমিক পুরুষ
        মিলনের স্বাদে।
আমি পৃথিবীর পথিক
        ক্ষণিক জীবন,
আমি পিপাসার বণিক
         অল্প যৌবন।
আমি রঙের নাবিক
        চারুকারু কলা,
আমি বস্তুর মানিক
        ভাষায় কথা বলা।
আমি চেতনায় মানবিক
        পরিবার বাসনা,
আমি ক্ষমার পথিক
        আন্তরিক ভাবনা।
আমি মনুষ্য সৈনিক
        সচেতন পথে,
আমি সময়ের সাক্ষি
        তৃপ্ত আলোকে।
আমি চলাচলে যৌগিক
        প্রকৃতির মাঝি,
আমি জীবনের পত্নি
        মনের কাজে।
আমি জন্মের রত্ন
        পৃথিবীর অধিকার,
আমি সুন্দরের যত্ন
        ভরসায় সুরোদ্বার।
আমি অন্তরের গৌরব
        স্বপ্নের সাগরে,
আমি আলোকিত সৌরব
        বিশ্বাসের সূর্যে।
আমি আলোছায়া বর্ণ
        পৃথিবীর খেলা,
আমি অঙ্কিত স্বর্ণ
        গ্রন্থিত মালা।
আমি বিশ্বের চুম্বক
        চৌকষ বুদ্ধি,
আমি সাহসী চৌকষ
        সুন্দর প্রীতি।
আমি ষষ্ঠীয় ইন্দ্র
        প্রজ্ঞা বুদ্ধা,
আমি শ্রেষ্ঠ মন্ত্র
        প্রদীপ্ত প্রতা।
আমি রাজ্যের যন্ত্র
        রাজার রাজা,
আমি আদিয় পন্থ
        রাজ্য কর্তা।
আমি সৃষ্টির গ্রন্থ
       শ্রেষ্ঠ দৃষ্টি,
আমি প্রকৃতির বন্ধন
        মায়ার স্মৃতি।
আমি আত্মায় বিবরণ
        মানুষ মননে,
আমি গণনার একক
        সংখ্যা পূর্ণ।
আমি বর্ণনার দশক
        একে একে যোগ,
আমি সত্যের অদ্বিতীয়
         বর্তমান রূপ।
আমি সাধ্যের বংশীয়
        সুরের যাদুকর,
আমি সত্তার সন্ধান
        প্রার্থনা প্রখর।
আমি অনন্তের সন্ধান
        স্রষ্টার  বসবাস,
আমি বিশ্বাসের বলিয়ান
        সত্য ইতিহাস।
আমি রূপের রঙধনু
         নকশা ও সাজ,       
আমি আকারে নিরাকার
        শেষ সমাচার।

প্রভু নিরাকারের আকার
       অদেখায় আছে,
প্রভুর দেখা স্বর্গে বারবার
       সবে সে ভয়ে বাঁচে।
আমরা সৃষ্টিতেই আছি
        মরে যাব চলে,
প্রাণের মরণ নাহি হবে
        থাকবে কর্ম রূপে।