হায়রে মা

আশিকুজ্জামান টুলু

প্রকাশিত : জুন ১৪, ২০১৮

টোরান্টোর ৩৫ নং ওয়ার্ডে টানা ১৫ বছরে কাউন্সিলর পদে নিযুক্ত জ্যানেট ডেভিস আসন্ন টরন্টো সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে লড়ছেন না। ফিরে যাচ্ছেন তিনি তার মায়ের কাছে, স্কটল্যান্ডে।

যারা নেমসেক দেখেছেন, নিশ্চয়ই মনে আছে যখন ইরফান খান মারা যায় এবং পরবর্তীতে টাবু ও ইরফানের ছেলে কালপেন বিয়ে করে নিজের সংসারে ব্যস্ত হয়ে যায়, টাবু আমেরিকা থেকে ফিরে আসে ওর মায়ের বাড়ি কলকাতায়। এসে ও একটা ছোট্ট নাচের স্কুল খোলে, এবং বাচ্চাদের নাচ শেখানো শুরু করে।

ঠিক স্যামন মাছের মতো–
সমগ্র সমুদ্রের তলদেশে,
দেশ মহাদেশ পেরিয়ে শেষে,
যে জায়গায় জন্মায়,
ঠিক সেই জায়গায় ফিরে এসে,
আত্মহুতি দেয়।

জীবনের কত ব্যস্ততা, কত কার্যক্রম, কত প্রকল্প। একে একে একদিন সব শেষ হয়। কখন যেন বয়সটাও বেড়ে যায়। স্বামী বা স্ত্রীর প্রতি কর্তব্য, বাচ্চাদের প্রতি কর্তব্য, একসময় সবকিছুরই ইতি টানা হয়। সব খেলা শেষ হলে মনের ভিতর কোনও একসময় হারিয়ে যাওয়া বাড়ি নামক স্মৃতির বোঝা মনকে টানে। মনে জেগে ওঠে একটা কথা, আমি বাড়ি যাব, আমি মায়ের কাছে যাব।

সারাজীবন এতকিছু করার পর যখন টায়ার্ড হয়ে যায়, আবার সেই ছোট্টবেলার মতো মায়ের কাছে ফিরে যায়, আর বুড়ো থুরথুরে মাও ঠিক সেই আগের মতো কোলে তুলে নেয় আর বলে, কিরে, ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করিস না, এত শুকিয়ে গেছিস কেন?

ওদের কত শান্তি যে, ওদের ফিরে যাওয়ার জায়গা আছে, মা আছে। হায়রে মা!

লেখক: কণ্ঠশিল্পী