রাহমান চৌধুরীর নাটক ‘ক্রীড়নক’

পর্ব ১৬

প্রকাশিত : আগস্ট ১৩, ২০২১

বাংলা একাডেমি থেকে ১৯৯৪ সালে পুস্তক আকারে নাটকটি প্রকাশিত হয়। প্রকাশের পরপরই নাটকটি দেশের সুধীমহলের দৃষ্টি কাড়ে। নাটকটার পটভূমি প্রাচীন যুগের কাল্পনিক এক গ্রীকরাষ্ট্রকে ঘিরে। থিউস রাষ্ট্রটাই কাল্পনিক, ভিতরের বাকি সার কথাগুলোর প্রায় সম্পূর্ণটাই ঐতিহাসিক। মহাত্মা আহমদ ছফা নাটকটি পাঠের পর মন্তব্য করেছিলেন, ‘বহুদিন পর আমি গ্রিক ধ্রুপদী নাটক পাঠ করার আনন্দ পেয়েছি। নাটকটা আমি ইংরেজিতে অনুবাদ করাবো। সারা বিশ্বকে আমি নাটকটা পড়াতে চাই, বাঙালিরা যে নাটক লিখতে জানে, সেটার প্রমাণ দিতে চাই।’ ছাড়পত্রের পাঠকদের উদ্দেশ্যে নাটকটি পুনর্মুদ্রণ করা হলো:

ষষ্ঠ দৃশ্য
(থিউসের সকাল। হলোফারনেসের দরবার কক্ষ। সিংহাসনে উপবিষ্ট রাজা হলোফারনেস পাশে জেকোনেত্তা। সভাসদদের মাঝে আছেন ক্রোনাস, নেস্টর ও অন্যান্য অমাত্যরা।)

হলোফার: জিউসের মন্দিরের কয়েকশো গজ দূরে একটি ঈগল খাবার ফেলে গিয়েছিল বলে, রাজদরবার ও সিনেট দুদিন বন্ধ রাখতে হবে, এটা কি ধরনের প্রহসন!
ক্রোনাস: মহানুভব রাজা, দীর্ঘদিন ধরে থিউসের লোকরা এ নিয়ম মেনে চলছে। মন্দিরের চারদিকে কোনো রকম খারাপ কিছু দেখা গেলে সে দিনটি থিউসের জন্য অশুভদিন বলে ধরে নেয়া হয়। সেই দিনটি এবং পরের দিন থিউসের সকল সরকারি কার্যাবলী বন্ধ রাখাই বিধেয়।

হলোফার: এ ধরনের ছোট খাটো ঘটনার জন্য যদি রাষ্ট্রের কাজ বন্ধ করে দিয়ে বসে থাকতে হয়, তাহলে সে ধর্মীয় আজ্ঞা আমি উঠিয়ে দিলাম। এখন থেকে কোনো দিনকেই অশুভ বলে ঘোষণা করা যাবে না।
নেস্টর: মহান রাজা, দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রিয় এবং সকলের বিশ্বাস্য কুসংস্কারের বিরুদ্ধে কোনো রকম সিদ্ধান্ত নেয়া কি ঠিক হবে?

জেকোনেত্তা: একজন রাজাকে তাহলে কতগুলো মূর্খ জনগণের বিশ্বাস মেনে চলে কাজ করতে হবে। তাতে যদি রাষ্ট্রের অমঙ্গল হয় তবুও।
ক্রোনাস: রাষ্ট্রটাই তো জনগণের। রাজা হচ্ছেন তাদের সেবক। জনগণ কি চায়, না চায় শাসককে সে ব্যাপারে গুরুত্ব দিতেই হবে।

জেকোনেত্তা: জনসাধারণই কি তবে রাজাকে শিখিয়ে দেবে তার কী কর্তব্য? রাজ্য শাসনে তাহলে রাজা এবং রাজপুরুষদের কী দরকার? কী প্রয়োজন জ্ঞানী-গুণী মনীষীদের? জনগণই তাহলে রাজ্য পরিচালনা করুক!
হলোফার: রানী জেকোনেত্তা ঠিকই বলেছে মান্যবর ক্রোনাস। মন্দিরের সব রকম কুসংস্কার এখন থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। ধর্মের যে সকল আনুষ্ঠানিকতা মানুষের অগ্রগতির বাধা সেগুলো বর্জন করাই শ্রেয়।

নেস্টর: মানুষ যখন কোনো ধর্মে বিশ্বাস করে, তখন সেই ধর্মের আনুষ্ঠানিকতা ও সংস্কারগুলোই তার কাছে প্রধান। ধর্ম পালন করবে আনুষ্ঠানিকতা বাদ দিয়ে তা কি করে হয় মহান রাজা?
ক্রোনাস: মহামান্য রাজা, স্মরণ করুন, কেন আমরা রোমের বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। তার লক্ষ্য ছিল গ্রীসের প্রাচীন সকল ঐতিহ্যকে থিউসে রক্ষা করা। কিন্তু আপনি ধর্মীয় ঐতিহ্যকেই আঘাত করতে চলেছেন।

হলোফার: পুরানো বিশ্বাসকে না ভেঙে নতুনকে গড়া যায় না। নতুনের রথ সর্বদাই পুরাতনকে গুড়িয়ে দিয়ে চলে যায়। ধর্মীয় ঐতিহ্য যদি রাষ্ট্রের কাজে, মানব অগ্রগতির কাজে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, সে ঐতিহ্যকে আঘাত করতেই হবে। মানুষের অগ্রগতির স্বার্থেই সব রকম সংস্কারের শেকড় টেনে ছিঁড়ে ফেলতে হবে।
ক্রোনাস: জনসাধারণ নিজে থেকে যতটুকু মঙ্গল চায় তাদের জন্য তার চেয়ে বেশি মঙ্গলের কথা ভাবা ঠিক নয়।  

জেকোনেত্তা: মান্যবর ক্রোনাস, ধর্ম হচ্ছে একটি প্রার্থনা। সেখানে অতিরিক্ত আনুষ্ঠানিকতা, হৈ হুল্লোড় এবং মিথ্যা সংস্কারের কোনো স্থানই নেই। ধর্ম ঈশ্বরকে প্রার্থনা জানানোর জন্য।
হলোফার: জেকোনেত্তা ঠিকই বলেছে। দেবতাদের প্রার্থনায় কোনো বাঁধা নেই। থিউসের সকল নাগরিকই যার যার মতো করে দেবতাদের প্রার্থনা জানাতে পারে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় কাজে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে এমন কোনো আনুষ্ঠানিকতা তারা আজ থেকে পালন করতে পারবে না।

নেস্টর: মহান রাজা, ধর্মের ওপরে রাষ্ট্রের কিংবা রাজার আধিপত্য চলে না। ধর্মের যা কিছু ক্ষতিকর, একজন রাজাকে তাও মেনে নিতে হবে।
হলোফার: ধর্ম যদি মানুষকে এভাবে অন্ধ করে রাখে, নিজের ভালো-মন্দ বুঝতে না শেখায় তাহলে পৃথিবী থেকে সকল ধর্ম, দেবতাদের সকল পূজা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত।

ক্রোনাস: দেবতাদের পূজা নিষিদ্ধ ঘোষণা করার কোনো অধিকার আপনার নেই মহান রাজা। দেবতাদের কৃপায় আমরা বেঁচে আছি। আপনি আমি আমরা সকলেই।
হলোফার: ক্ষমা করবেন মান্যবর ক্রোনাস। গত একশো বছরের বেশি সময় যখন পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের অধীন ছিলাম, খ্রিস্টান চার্চের নির্দেশে সব দেবদেবীরা নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। খ্রিস্টান চার্চের বিরুদ্ধে একজন দেবতাও মাথা তুলে দাঁড়ায়নি। মানুষ যেসব দেব দেবীকে মনে করতো বিরাট ক্ষমতাবান, খ্রিস্টান রাজত্বে তাদের আর অস্তিত্বই ছিল না। জিউস আর দিউনিসাস ছাড়া প্রায় সকল দেবতার নামও মানুষ আজ ভুলে গেছে।

ক্রোনাস: রাজা, খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে যখন আমরা লড়াই করে জয়ী হলাম, তখন নিশ্চয় দেবতারা সেই যুদ্ধে আমাদের সঙ্গে ছিলেন। না হলে আমরা থিউস ক্ষুদ্র রাষ্ট্রটি বিজয়ী হলাম কী করে?
হলোফার: মান্যবর ক্রোনাস, সত্যিকার অর্থে আমরা খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিনি। যুদ্ধ করেছি পবিত্র রোম সাম্রজ্যের নির্দয়তার বিরুদ্ধে। তাদের দমন পীড়ন শোষণের বিরুদ্ধে। থিউসের মানুষের রক্ত আর বীরত্ত্বে আমরা এ যুদ্ধে জয়লাভ করেছি। বিশেষ করে শক্তিমান গথদের দয়া আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল।

ক্রোনাস: রাজা কি বলতে চান, দেবতাদের কোনোই অবদান নেই এই স্বাধীনতা যুদ্ধে?  
হলোফার: দেবতা বলে পৃথিবীতে কিছু নেই। কখনো ছিল না। কোনোদিন আসবে না। মানুষই তার কল্পনায় দেবতাদের সৃষ্টি করেছে।

ক্রোনাস: মহামান্য, দেবতা যদি নাই থাকবে তাহলে পৃথিবী সৃষ্টি হলো কী করে? ডেলফির মন্দিরে যে দেবতারা ভবিষ্যৎ বাণী করে থাকেন, দেবতাদের সেই কণ্ঠস্বর তবে কোথা থেকে আসে?
হলোফার: মানুষ যদি দেবতাদের নামে কোনো কণ্ঠস্বর শুনে থাকে, তবে সে কোনো মানুষেরই কণ্ঠস্বর শুনেছে। জ্বরের ঘোরে স্বপ্ন দেখার মতো সাধারণ মানুষ দেবতাদের কাছে মিথ্যা সান্ত্বনা খোঁজে। ভক্তদের কল্পনা ভিন্ন আর কোথাও দেবতাদের অস্তিত্ব নেই।

নেস্টর: আমাদের মন যদি এই ধরনের দেবদেবী কল্পনা করে নিতে পারে, আর সেই দেবদেবীর কাছ থেকে যদি আমরা আমাদের কষ্টের জন্য সান্ত্বনা লাভ করে থাকি, তাতে ক্ষতির কি আছে?
হলোফার: দেবদেবীর ওপর মানুষ যতই নির্ভর করতে শেখে ততই সে নিজেকে অসহায় বলে গণ্য করে। তারা নিজেদের মনে করে ক্ষমতাহীন এবং দেবদেবীর কৃপার পাত্র।

ক্রোনাস: মানুষ সর্বদাই দেবদেবীর কৃপার পাত্র। তাদের দয়াতেই একজন ক্রীতদাস আর একজন রাজা। দেবতারাই প্রকৃতিকে পাল্টে দেয় এবং আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
হলোফার: হ্যাঁ, সেদিন রাতে আমার দূর সম্পর্কের কাকীমাকে দেখলাম প্রবল ভাবাবেগের সাথে দেবতাদের কাছে মিনতি জানাচ্ছেন, ক্রোটনে তার যাওয়ার দিনটা যেন রৌদ্রজ্জ্বল থাকে। তিনি বিশ্বাস করেন যে, তার সুবিধার জন্য দেবতারা আবহাওয়া পাল্টে দেবেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার, আমার কাকীমা যখন চাইছেন রৌদ্রজ্জ্বল দিন, তখন কৃষকদের ফসল বুননের জন্য দরকার প্রবল বৃষ্টিপাত। দেবতারা তবে সেদিন কার প্রার্থনা শুনবে, কৃষকদের না আমার কাকীমার?

ক্রোনাস: যিনি দেবতাদের নিকট প্রিয়, দেবতারা তার প্রার্থনাই শুনবেন।
হলোফার: এর অর্থ দাঁড়ায় কাকীমা যদি দেবতাদের নিকট প্রিয় হোন, তাহলে তার প্রার্থনা শুনতে গিয়ে দেবতারা সমস্ত থিউসে খরা বয়ে আনবে। এক কাকীমার মঙ্গলের জন্য সারা থিউসকে ভোগ করতে হবে দুর্ভোগ।

নেস্টর: দেবতা আছে কি নেই, কিংবা মানুষের কথা মতো সে আবহাওয়া পাল্টে দেয় কি না, সে বিচার নাই বা করলেন। স্রষ্টা বলে কিছু আছে কি না সে বিচারে নাই বা গেলাম। কিন্তু এ কথা তো সত্য, দেবদেবীর স্তুতি করতে গিয়েই মানুষ মহৎ কাব্য সৃষ্টি করেছে। যদি ধরে নেই দেবদেবীর অস্তিত্ব শুধু ভক্তের কল্পনায়, তবুও একথা সত্য যে, সেই কল্পনাকে ঘিরে হোমারের বা অন্যদের এ সব সৃষ্টির মূল্যও কম নয়।
হলোফার: নেস্টর, সব সময় লক্ষ্য করে দেখেছি আমার কাজ ও কথার বিরুদ্ধে তুমি বেশ চমৎকার যুক্তি খাড়া করো। ধর্মের পক্ষে আমিও কিছু বলতে পারি। পিণ্ডারের উদ্ধৃতি দিয়েই, ধর্ম একযোগে বিশ্বটাকে বিশৃঙ্খলতায় নিমজ্জিত হওয়া থেকে রক্ষা করেছে। কিন্তু বাক্কাসের ধর্মের অশ্লীলতা সম্পর্কে তোমার কি বক্তব্য?

নেস্টর: প্রাচীন ও বর্বরোচিত এ সকল স্থূলতা উত্তরাধিকার সূত্রেই পেয়েছি। ধর্মের ক্ষেত্রে কোনটা যে শ্লীল আর কোনটা অশ্লীল পূজারীদের পূজারীরা তা নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজী নয়। কিন্তু তার বিরুদ্ধে নতুন কিছু প্রবর্তন প্রবল বাঁধার সম্মুখীন হবে। ধর্মের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তনই পূজারীরা মেনে নেবে না।
হলোফার: পূজারীরা! মৃত্যুর পর তারা স্বর্গ লাভের আশায় মন্দিরগুলোতে গমন করে। মেঝেতে গড়াগড়ি দিয়ে তারা চিৎকার করে কাঁদে, দেবতা জিউসের কাছে সকল কৃত অপরাধের জন্য মার্জনা চায়। আর পরদিন ঘরে ফিরেই তারা আবার চাকর বাকরদের সাথে নিষ্ঠুর আচরণ শুরু করে।

জেকোনেত্তা: খ্রিষ্টধর্মই পৃথিবীতে একমাত্র ধর্ম যেখানে সকল মানুষকে মর্যাদার সাথে বিচার করা হয়। প্রভু যিশু দাসদের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ করবার জন্য মনিবদের নির্দেশ দিয়ে গেছেন।
ক্রোনাস: এবং দাসদের বলে গেছে তারা যেন নিজেদের ভাগ্য নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে। পরের সম্পদ দেখে যেন লোভ না করে। নিজ প্রভুর প্রতি যেন ভক্তি প্রদর্শন করে।

জেকোনেত্তা: নিশ্চয় দাসদের সেটা কর্তব্য। ঈশ্বরের দাস হিসাবে আমরা যেমন ঈশ্বরের সকল আদেশ মেনে চলি, আমাদের দাসরাও তেমনি আমাদের প্রতিটি আদেশ মেনে চলবে। এইতো সহজ হিসাব মান্যবর ক্রোনাস।
নেস্টর: কিন্তু কে আপনার দাসদের স্রষ্টা। পৃথিবীতে সকল মানুষ সমান, এই যদি হয় খ্রিষ্টধর্মের মূলমন্ত্র; তাহলে মানুষে মানুষে দাস আর মনিবের পার্থক্য সৃষ্টি হয় কী করে?

জেকোনেত্তা: কারণ ঈশ্বর স্বয়ং এই পার্থক্য সৃষ্টি করেছেন। তিনিই চেয়েছেন যাতে মনিবরা দাসদের সেবা লাভ করতে পারে। ঈশ্বরের ইচ্ছা ছাড়া কিছুই ঘটে না প্রিয় নেস্টর।
হলোফার: হ্যাঁ হ্যাঁ। অবশ্যই যদি সে ঈশ্বর ধনীদের ঈশ্বর হয়। জেকোনেত্তা, গ্রীক ধর্মের পরিবর্তে খ্রিষ্টধর্মের মাহাত্ম্য প্রচারের এখন কোনো দরকার নেই। নেস্টর, আমি চেয়েছিলাম ধর্মের ক্ষেত্রে একটি সংস্কার ঘটাতে। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি তা হবে বোলতার চাকে ঢিলা ছোঁড়ার মতোই। মানুষ নিজেও আসলে তার প্রগতির অন্তরায়। সাধারণ মানুষের মনের সংস্কার আর তার একগুয়েমি কোনো কোনো রাজাকে ভালো উদ্যোগ গ্রহণের পথে শৃঙ্খলিত করে রাখে।

নেস্টর: মহান রাজা, আপনার স্মরণ রাখা দরকার, আপনার সাথে জনগণে রয়েছে এক বিরাট পার্থক্য। আপনি শিক্ষার যে আলো পেয়েছেন, সাধারণ জনগণ সর্বদাই তা থেকে বঞ্চিত। সাধারণের চিন্তা পাল্টাতে হলে তাদের কাছে সর্বপ্রথম জ্ঞানের আলো পৌঁছে দিতে হবে।
হলোফার: তোমার সাথে আমি এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ একমত। শিক্ষাই হচ্ছে একমাত্র শর্ত, যা একটি রাষ্ট্রকে সার্বিকভাবে সুন্দর করে তুলতে পারে। মানুষের জন্য চাই প্রথমে কোনো রাজনীতি কিংবা রাজনৈতিক দল নয়। জ্ঞান, একমাত্র জ্ঞানই মানুষকে সঠিক পথ দেখাতে পারে।

নেস্টর: সকল জ্ঞান নয়, যার পেছনে যুক্তি আছে। বৃহত্তর মানুষের ভাগ্য পাল্টাবার বিজ্ঞান আছে।
(সেনাধ্যক্ষের ব্রাসিডাসের প্রবেশ। খানিকটা উদ্বিগ্ন ভঙ্গিতে) চলবে