ইরফান শেখের গদ্য ‘পুরান বই বাজারের ফিরিস্তি’

এক শিহরণ উপভোগ করলাম... এই এক অন্যরকম আনন্দ। এতে কোনো অহংকার নেই... কোনো গৌরব নেই। খুবই সহজ সরল এক আনন্দ। সত্যিকারের আনন্দ এইটাই বোধহয়, যা ত্রাণ দেয়ার মাঝে কোনোদিন খুঁজে পাইনি।

ছোট্ট অথচ কী সাজানো একটা শহর বগুড়া! সে শহরে কখনো কখনো রাত নামতো না। বিশেষত আমাদের কাছে, যখন সে রাত আড্ডারঙা হতো। সে আড্ডা পথে, ফুটপাতে, এলেবেলে।

যারা গুণের `সততা`র বিপরীতে আল মাহমুদের `অসততা`র বয়ান তৈয়ার করতে লাগছেন, তাদের বক্তব্য এত সত্য না। গুণদার পলিটিকাল ক্যারিয়ারেও অন্তত সচকিত হওয়ার মতন বৈচিত্র্য আছে।

ঝুলন্ত ইটের চাপে নাকি তার বদাটা প্রায় এক হাত লম্বা হয়া গেছিল। এর পর থেইকা শুক্কুরের নতুন নাম হইছিল `বদা শুক্কুর`। পরের প্রজন্মের ছেলেমেয়েরাও তারে বদা শুক্কুর নামেই চিনতো।

সেলিব্রেটি তো অনেকেই থাকেন। সবার মৃত্যুতে কী এমন শোকের চাদরে মুড়ে যায় চারপাশ? রোনাজারি শোনা যায় ফেসবুকের নীল দুনিয়ায়? আমরা সেলিব্রেটি দেখি সাধারণত দুই ধরনের।

একটা বিষয় নিয়ে মনে এক ধরনের খারাপ লাগা রয়েই গেছে। জানি না কোনোদিন আর বিষয়টা সামলে গিয়ে রিজল্ভ করতে পারবো কিনা। ২০০৪ সাল। রিপন আমাদের মোহাম্মদপুর বাসায় এলো আমার কাছে একটা চাকরির জন্য।

আজকের কিশোররা এসব কিছুই দেখে না, উপভোগ করে না। তারা আইপ্যাড আর কমপিউটার গেমস নিয়ে ঘরের চার দেয়ালে নিজেদের শৈশব-কৈশোরের দুরন্ত সময়টাকে উপভোগ করতে পারছে না প্রকৃতির সঙ্গে।

শৈশবের গাঁয়ে মানুষে মানুষে যে সম্প্রীতি বন্ধন দেখতাম তার ছিটেফোঁটাটাও আজ আর অবশিষ্ট নেই। থাকবেই বা কেমন করে! এতদিনে অশিক্ষা, দারিদ্র্য, ক্ষুধার অভিশাপে পৃথিবীর পেট ক্রমে ফুলেফেঁপে ওঠেছে।