ইরফান শেখের গদ্য ‘পুরান বই বাজারের ফিরিস্তি’

রাত প্রায় দেড়টা। গ্রান্ড এভিনিউ থেকে ই-ট্রেনে উঠলাম। এক্সপ্রেস ই-ট্রেন এত রাতে লোকল লাইনে চলছে। কামড়াগুলি খালিই অনেকটা। আমি একটা সিটে বসলাম। প্রায়ই ফাঁকা। আমার পাশে একজন স্পানিশ।

যতক্ষণ না আপনি আপনার নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার মনই আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করবে। এবং এটার পরিণাম কখনোই ভালো হয় না। সুতরাং, আপনার নিজের মনকে আগে নিয়ন্ত্রণ করুন। নিজের নিয়ন্ত্রিত মনই আপনার সবচে বড় শক্তি।

আমরা যে স্বপ্ন দেখি তা মূলত বিক্ষিপ্তভাবে দেখি। কিন্তু অনেক স্বপ্নই কখনো কখনো অনেকের জীবনেই বাস্তবে পরিণত হতে দেখা যায় বা ভবিষ্যতে মিলে যায়। অনেকে আবার স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিতেও পারদর্শিতা দেখান।

চৈত্র যাই যাই করছে, কাঠফাটা রোদ্দুরের দেখা নেই; এখন আর আগের মতো গরম পড়ে না! পড়লে এমন চৈত মাইস্যা রাতেও কাঁথাকম্বল টানতে হতো না! প্রকৃতি যেমন বদলেছে বদলে গেছে, মানুষের সনাতন জীবনধারাও!

দৌলতদিয়া ঘাটের কাছেই ছাপড়া ঘরে নিদারুণ সঙ্কট নিয়ে জীবন যাপন করছে প্রায় দুশো পরিবার। বিদেশি জার্নালিস্টদের নিয়ে ওখানে পৌঁছানোর পরপরই কে আগে, কে পরে পরিমরি করে ছুটে এলো

আজ চৈত্রের খররোদের দাবদহে বসে শৈশবের আড়ং দেখি স্মৃতির সেলুলয়েডে, কি ছিল আর কি হারিয়েছি আমরা!

করোনা ভাইরাসের এই ভয়াবহ কালে ব্যক্তি উদ্যোগে যেসব দাতারা রিলিফ কার্যক্রমে এগিয়ে এসেছেন তাদেরকে একটা লম্বা স্যালুট দিয়ে এখনই বেঁধে ফেলা উচিত।

আমার হাতে এখন মাত্র আটশো টাকা আছে। কারো কাছে আমার মতো মানুষ হাত পাততেও পারবে না। কিন্তু ভয়াবহতা আমায় ডাকছে। কী হবে, তার কিছুই জানি না। তবুও ভাবছি আমার মতো হাজার জনের কথা।