‘আ. লীগ সরকার একের পর এক ভুল করছে’

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : মে ১৭, ২০২১

আওয়ামী লীগ সরকার একের পর এক ভুল করছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। রোববার ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে ভার্চুয়াল নাগরিক আলোচনাসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার একের পর এক ভুল করছে। ঈদের আগে গণপরিবহন বন্ধ রাখা ছিল ভুল সিদ্ধান্ত। ঈদের সময় মহিলারা ঝুলে ঝুলে বাড়ি যায়— এত বড় অন্যায় কোনোদিন হয়নি।”

তিনি আরও বলেন, “সরকারের উচিত হবে, আন্তঃজেলা বাস ট্রেন চালু করা ও বিনা পয়সায় ঢাকায় ফেরার ব্যবস্থা করা এবং ঢাকায় ফেরা প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য করোনা টেস্টের ব্যবস্থা করা।”

জাফরুল্লাহ বলেন, “কয়েকদিন ধরে ফিলিস্তিনে নারী ও শিশুসহ মানুষ হত্যা, নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতা চলছে। তাদের হাতে সংবাদ মিডিয়াও রক্ষা পায়নি। আমরা কোনো প্রতিবাদ করতে পারিনি। একটা প্রতীকী প্রতিবাদও করিনি। মুসলিম রাষ্ট্রের কেউ কেউ ইহুদিদের নির্মতায় নীরব। এ সময়ে যদি মুসলিম রাষ্ট্রগুলো নিজেদের ঝগড়া ভুলে গিয়ে এক হয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াত, তাহলে তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেয়া যেত।”

কানাডা হতে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির সভাপতি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, “দূরদর্শী মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী মনে করতেন, ভারত শুধু ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করে আমাদের পানি বন্ধ করবে না, ভবিষ্যতে অভিন্ন আন্তর্জাতিক নদীগুলোতে বাঁধ দিয়ে পানি প্রত্যাহার করে বাংলাদেশকে মরুভূমিতে পরিণত করবে।”

জাতিসংঘের সাবেক পানি বিশেষজ্ঞ ড. এসআই খান বলেন, “একটা দেশ স্বাধীন হতে পারে, কিন্তু নিজস্ব সম্পদের ওপর অধিকার না থাকলে সে দেশ সার্বভৌম নয়। নদীতে প্রবাহ না থাকায় উপকূলীয় অঞ্চলের পানি লবণাক্ত হয়ে যাচ্ছে। অথচ ভারত বাংলাদেশকে পানিশূন্য করার পরিকল্পনা নিয়েছে। ৫৪টা অভিন্ন নদীর মধ্যে ৫২ নদীতেই ভারত বাঁধ দিয়েছে। আমাদের একটিই পথ খোলা আছে জনমত তৈরি করে, আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ করে ন্যায্য পানি আদায় করে নেয়া।”

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, “নদীর পানি পাওয়ার অধিকার আমাদের প্রাকৃতিক অধিকার। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে আমরা পাচ্ছি না।”

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, “ভাসানীর মতো একজন মজলুম জননেতা আজ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দরকার।”

এতে আরও বক্তব্য রাখেন, সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী ইমাম (নিউইয়র্ক), মশিউর রহমান জাদু মিয়ার কন্যা রিটা রহমান (নিউইয়র্ক), নিউনেশন পত্রিকার সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্রচিন্তার অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ।