ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়ে আমিরাত ও বাহরাইনের চুক্তি স্বাক্ষর

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০

ইসরাইলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্ক স্থাপন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে আরব দেশ দুটি।

এর আগে মাসে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিতে সম্মত হয় আমিরাত। এরপর গত সপ্তাহে একই পথ অনুসরণ করে বাহরাইন। দেশগুলোর মধ্যে চুক্তিগুলোর মধ্যস্ততা করে যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তিগুলোর মাধ্যমে ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরাইলকে বর্জন করে চলা আরব দেশগুলো নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এলো।

হোয়াইট হাউজে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ট্রাম্প। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার শত শত মানুষের সামনে নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিগুলো স্বাক্ষর করেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু, আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান এবং বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল লতিফ আল জায়ানি।

মিসর ও জর্ডানের পর তৃতীয় ও চতুর্থ আরব দেশ হিসেবে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিলো আমিরাত ও বাহরাইন। এর মধ্যে ইসরাইলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপনকারী প্রথম উপসাগরীয় দেশের খাতায় নাম লেখালো আমিরাত। গত মাসেই ঐতিহাসিক এ চুক্তি করার সম্মতি প্রকাশ করে দেশটি। এর বদলে ইসরাইল ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত পশ্চিক তীর অধিগ্রহণের পরিকল্পনা সাময়িকভাবে স্থগিত করে।

এদিকে, চুক্তিগুলোর তীব্র সমালোচনা করেছে ফিলিস্তিনিরা। আমিরাত গত মাসে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিতে সম্মত হওয়ার পরপরই এ সিদ্ধান্তকে ‘পেছন থেকে ছুরি মারা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন ফিলিস্তিনি নেতারা। মঙ্গলবার চুক্তিগুলোর প্রতিবাদে গাজা থেকে ইসরাইলে রকেট ছুড়েছে ফিলিস্তিনি বাহিনী।

এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি লিবারেশন অর্গানাইজেশন বলেছে, এটা শান্তি নয়। এটা হচ্ছে ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাবে আত্মসমর্পণ।

মঙ্গলবার চুক্তি স্বাক্ষরের আগ দিয়ে নেতানিয়াহুর সঙ্গে দেখা করেন ট্রাম্প। এসময় তিনি বলেন, খুব শিগগিরই আরো অন্তত পাঁচ থেকে ছয়টি দেশ ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে যাচ্ছে। যথাসময়ে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবে সৌদি আরবও।

সৌদি মন্ত্রিপরিষদ এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি ইস্যুর ন্যায্য ও সর্বাঙ্গীন সমাধানের কথা জানিয়েছে। ফিলিস্তিনিদের নিজস্ব রাষ্ট্রের দাবির প্রতি সবচেয়ে প্রভাবশালী মিত্র হিসেবে পরিচিত সৌদি আরব।

মার্কিন কর্মকর্তারা জানায়, সৌদি আরবের পাশাপাশি ইসরাইলের সঙ্গে চুক্তি করতে ইচ্ছুক অপর একটি আরব দেশ হচ্ছে ওমান। গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছেন দেশটির নেতারা। এমনকি মঙ্গলবারের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানেও তাদের রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছে মার্কিন কর্মকর্তারা। সূত্র: রয়টার্স