করোনা প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নিয়ে অস্ত্র কিনছেন মোদি

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : মার্চ ২৯, ২০২০

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দরকারি সরঞ্জামের তীব্র ঘাটতির মধ্যেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইহুদিবাদী ইসরাইল থেকে শত শত কোটি ডলারের অস্ত্র কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ভারতে যখন করোনাবিরোধী লড়াইয়ে স্বাস্থ্যসেবার জন্য একান্ত প্রয়োজনীয় মাস্ক কিংবা সুরক্ষা সরঞ্জামের মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে, তখন এ অস্ত্র কেনার সিদ্ধান্ত নিলেন মোদি।

বিবৃতিতে ভারত সরকার জানায়, ভারতকে ১৬ হাজার ৪৭৯টি নেগেভ হালকা মেশিনগান সরবরাহ করবে ইহুদিবাদী ইসরাইল। অস্ত্রচুক্তি শনিবার সই করা হয়েছে। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের প্রতিরক্ষা ক্রয় পরিষদ বা ডিএসি ইসরাইল থেকে অস্ত্র কেনার এ চুক্তি অনুমোদন করেছিল।

ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, এসব অস্ত্র সেনাদের আস্থা বাড়াবে এবং প্রয়োজনীয় যুদ্ধ সক্ষমতা দেবে। এদিকে, ইসরাইলের কাছ থেকে অস্ত্র কেনার যে চুক্তি নয়াদিল্লি করেছে তার সমালোচনায় নেমেছেন ভারতের মানবাধিকার কর্মী ও রাজনীতিবিদরা।

মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় বইছে। করোনা ভাইরাস সংকট মোকাবেলায় ভারত সরকারের লেজেগোবরে অবস্থাকে কেন্দ্র করে সমালোচনা চলছে। দিল্লিতে একজন চিকিৎসক, তার স্ত্রী ও কন্যা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর প্রকাশের পরই সমালোচনার ঝড় ওঠে।

ভারতের প্রগেসিভ মেডিকস অ্যান্ড সায়েন্টিস ফোরামের সভাপতি হারজিত সিং ভাট্টি বলেন, “স্বাস্থ্যসেবা পেশায় জড়িতরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সবচেয়ে বড় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ অবস্থায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত মাস্ক, গাউন ও হেড কভারসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করা হোক।”

মানবাধিকারকর্মী কবিতা কৃষ্ণান প্রশ্ন তোলেন, করোনা সংক্রান্ত ত্রাণ সহায়তা, চিকিৎসা অবকাঠামো, বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা এবং করোনা নির্ণয়ের পরীক্ষাসহ এ খাতকে অগ্রাধিকার দেয়ার বদলে সরকার কেনও সামরিক খাতে ব্যাপক অর্থ ব্যয় করছে?

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং বৈশ্বিক রাজনীতির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক অচিন বিনায়ক বলেন, “এটি নজিরবিহীন ও কঠোর নিন্দা যোগ্য।” সূত্র: মিডল ইস্ট আই ও আনাদোলু