কাজী মোতাহার হোসেনের প্রবন্ধ ‘শিক্ষা প্রসঙ্গে’

প্রকাশিত : অক্টোবর ০৯, ২০১৯

জাতীয় অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেনের আজ ৩৮তম প্রয়াণ দিবস। ১৯৮১ সালের ৯ অক্টোবর ৮৪ বছর বয়সে ঢাকায় তিনি ইন্তেকাল করেন। ছাড়পত্রের পক্ষ থেকে তার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসেবে তার রচিত ‘শিক্ষা প্রসঙ্গে’ প্রবন্ধটি পুনর্মুদ্রণ করা হলো:

কোনো জাতি কতটা সভ্য, তা নির্ণয় করবার সব চেয়ে উৎকৃষ্ট মাপকাঠি হচ্ছে তার শিক্ষাব্যবস্থা, পাঠ্যপুস্তক ও সাধারণ সাহিত্য। এসবের ভিতর দিয়ে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা পরিষ্ফুট হয়; নৈতিক ও সামাজিক মানের পরিমাপ পাওয়া যায়; এবং কর্মক্ষমতা, চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য, এক কথায় জাতীয় আদর্শের ভিত্তি-ভূমির সঙ্গে পরিচয় ঘটে। জাতীয় ঐতিহ্য অবশ্যই অতীতের উপর প্রতিষ্ঠিত এবং বর্তমানের চেষ্টায় পরিপুষ্ট হয়। তাছাড়া এর ভবিষ্যৎ স্থায়িত্ব ও উন্নতির জন্য শিশু, কিশোর ও নওজোয়ানদের উপযুক্তভাবে প্রস্তুত করে দিতে হয়। এই শেষোক্ত কাজটি বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার উপরেই সর্বাধিক নির্ভর করে। তাই শিক্ষা ব্যবস্থার এত গুরুত্ব।

মায়ের পেট থেকে পড়েই শিশুর শিক্ষা আরম্ভ হয়। কিন্তু এরও আগে পিতামাতার মনোবৃত্তি, পারস্পরিক সম্পর্ক, দৈহিক দোষগুণ প্রভৃতির প্রভাব কিছুটা উত্তরাধিকার সূত্রে শিশুর উপর বর্তে। এই কারণে বয়স্কদেরও বিশেষ শিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। দুঃখের বিষয় আমাদের দেশে এই ধরনের শিক্ষার অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। ফলে, অনেক দম্পতিকেই সারাজীবন শিশুর পরিবেশ-সৃষ্টি এবং বাল্যশিক্ষার ব্যবস্থায় অসংখ্য ভুল করে শেষ জীবনে পস্তাতে দেখা যায়। বাল্য-শিক্ষার ব্যবস্থাও আমাদের দেশে সন্তোষজনক নয়। উন্নত দেশে দুই থেকে পাঁচ-ছয় বছর বয়সের শিশুর শিক্ষায় প্রচুর অর্থ ব্যয় করা হয়। এই বয়সে অনেক শিশু স্কুলে একত্রে জড়ো হয়ে খেলাধূলা করে, নক্সা আঁকে, কাঠের বা মোটা-কাগজের টুকরো জোড়া দিয়ে অনেক রকম প্যাটার্ন বা আকৃতি তৈরি করে; চিত্র-বিচিত্র বইয়ের ছবি দেখে, কাঠের অক্ষর দিয়ে খেলা করতে করতে শব্দ তৈরি শেখে, বস্তু গণনা করতে করতে সংখ্যার ধারণা লাভ করে, আশপাশের সাধারণ জিনিস ও পশু-পাখির নাম শেখে, মজার মজার ছড়া আবৃতি করে।

এই ধরনের ক্রিয়া-কলাপের মধ্যে দিয়ে সহজে ও স্বাধীনভাবে তাদের আপন-আপন স্বাভাবিক বৃত্তিগুলোর চর্চা হতে থাকে। শিক্ষক বা শিক্ষয়িত্রীরা ধৈর্য ধরে অনেকটা অলক্ষ্যে প্রত্যেকটি শিশুর বিশেষ প্রবণতা লক্ষ্য করে সেইসব দিকে ওদের বিকাশ লাভের সুযোগ করে দেন। এইভাবে, বেত ও ধমকের সাহায্য ছাড়াই শিশুরা আনন্দের সঙ্গে শিক্ষা লাভ করে। আমাদের দেশে এর কতকটা নকল আরম্ভ হয়েছে। আমরা বিলেতি পদ্ধতির স্কুলে কোমলমতি ছেলেমেয়েদের পাঠিয়ে ইংরেজি বোল শেখাচ্ছি, আর এইসব ছেলেমেয়ে ইংরেজির মাধ্যমে শিক্ষালাভ করে নিজেদেরকে দেশের লোকের থেকে স্বতন্ত্র বলে ভাবতে শিখছে। এতে উক্ত স্কুলসমূহের পরিচালকদের অর্থাগমের সুবিধে হচ্ছে বটে, কিন্তু ছোট ছোট ছেলেরা দেশের লোকের কাছে পর বনে যাচ্ছে।

আমাদের নিজেদের বাল্যশিক্ষার কোনো প্রকার ব্যবস্থা না থাকাতেই দেশের বড়লোকেরা বহু অর্থব্যয় করে এই ধরনের শিক্ষার সহায়তা করবার একটা মস্ত অজুহাত পেয়েছেন। আসল কথা, যতদিন আমরা মাতৃভাষাকে সম্মান দিতে না পারব, যতদিন আমরা বিদেশী ভাষাকেই উচ্চ চাকুরীর সোপান বলে জানব, যতদিন আমাদের কাজে দেশীয় ঐতিহ্যের চেয়ে বৈদেশিক চাকচিক্যই অধিক মনোহর বলে বোধ হবে, ততদিন পর্যন্ত শিক্ষা-সংস্কার নিরর্থক হয়েই থাকবে। শিশুর সাত-আট বছর বয়সে সাধারণত সংখ্যার ধারণা, সময়ের ধারণা এবং সাধারণ ব্যাপারে কার্য-কারণ সম্বন্ধেরও কিছু ধারণা জন্মে। ইতিপূর্বে জবরদস্তি করে তার কৌতূহলী বৃত্তি নিস্তেজ করে দেওয়া না হলে, এই বয়সেই এর প্রথম পাঠের সূচনা করায় ক্ষতি নেই। অবশ্য এ সময় মাতৃভাষায় হস্তলিখন, এবং ক্রমশ: ১ থেকে ১০, ২০, ৪০ বা ১০০ পর্যন্ত সংখ্যার ধারণা এবং লিখন-পদ্ধতি শেখান যেতে পারে।

এ বয়সে স্মৃতিশক্তি প্রখর থাকে। তাই সাত থেকে বার বছর বয়সের মধ্যে চার-পাঁচ খানা সহজ সাহিত্য পুস্তক, খানিকটা ইতিহাস, ভূগোল, জ্যামিতি এবং অমিশ্র ও মিশ্র যোগ-বিয়োগ, গুণ-ভাগ, লঘুকরণ, ভগ্নাংশ, দশমিক, ঐকিক নিয়ম বেশ ভাল করে শেখান যেতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে নামতা, ভাল ভাল বাংলা কবিতা আবৃত্তি, সঙ্গীত প্রভৃতি মুখস্থ করান উত্তম ব্যবস্থা। সঙ্গীত, নামতা প্রভৃতি সমবেত কণ্ঠে উচ্চ স্বরে বারংবার অভ্যাস করালে উচ্চারণের ত্রুটি শোধরানোর সাহায্য হয়, আর অল্প সময়েই কাজ হয়। আজকাল পাশ্চাত্য শিক্ষাপ্রাপ্ত অনেক মহাশয় ব্যক্তি পশ্চিমের অনুকরণে বলতে শুরু করেছেন, না বুঝে মুখস্থ করান সেরেফ আহাম্মকী। একথা অনেক বিষয়ে প্রযোজ্য হলেও সর্বত্র খাটে না। শিক্ষার ক্ষেত্রে বুঝাবার আবশ্যকতা আছে স্বীকার করি কিন্তু সে বুঝ কাজে খাটাতে হলে অনেক অভ্যাসের দরকার।

আমি দেখেছি, আজকালকার অনেক বি-এ, এম-এ ক্লাসের ছাত্র ১৩ কে ১৫ দিয়ে গুণ করলে কত হয় তাও পুরো পাঁচটি লাইন অঙ্ক কষে এবং দুটো দুটো কসি টেনে তবে বের করে। কিন্তু ঐ পর্যায়ে শিক্ষিত বা ওর চেয়ে অনেক অল্পশিক্ষিত প্রাচীন লোকে এক নিমেষেই উক্ত গুণফল বলে দিতে পারে। এতে প্রমাণ হয় না যে বর্তমান বি-এ, এম-এ’র চেয়ে ঐসব প্রাচীন ব্যক্তি অঙ্কশাস্ত্রে অধিক বিশারদ। কিন্তু এ কথা নিশ্চয়ই বলা যায় যে আজকাল ছেলেবেলায় আবশ্যক মত নামতা মুখস্থ না করার ফলে সারা জীবন ভরে অনেক সময়ের অপব্যয় হয়ে যাচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা আবশ্যক যে, সাত থেকে বারো বছর বয়সের মধ্যেই ইসলামী শরা-শরিয়তের কতকগুলো অত্যাবশ্যক বিষয় মুখস্থ করার এবং বাকি কয়েকটি বিষয় সম্বন্ধে সাধারণ ধারণা জন্মিয়ে দেওয়া উচিত। আমার মনে হয়, দশ বছর বয়স পর্যন্ত মাতৃভাষা ছাড়া অন্য কোনও ভাষা বা তার বর্ণমালা শেখান উচিত নয়। এগার ও বারো বছর বয়সে আরবী বর্ণমালা এবং আমপারা শেখান দরকার।

বর্তমানে ইংরেজি ভাষার উপর যতটা জোর দেওয়া হচ্ছে তা অযৌক্তিক বলে মনে হয়। বলা বাহুল্য, মাতৃবভাষার দাবি সর্বাগ্রে ও সাধারণ ছাত্র সেকেন্ডারী স্কুলের শেষ তিন বছরে ইংরেজি বর্ণমালা এবং সহজ বাক্যরচনা মোটামুটি শিক্ষা করবে। এই পরিকল্পনা অনুসারে শেষ স্কুল পরীক্ষাস্তর পর্যন্ত যেতে যেতে সাধারণ সকল ছাত্রই দুই বছর আরবী বর্ণমালা ও দীনিয়াৎ শিক্ষা করবে, আর অপেক্ষাকৃত পরিণত বয়সে তিন বছর ধরে ইংরেজি বর্ণমালা ও বাক্য রচনা শিক্ষা করবে। শেষের তিন বছরে যতটা ইংরেজি শিখবে তা মোটামুটি বর্তমান নবম শ্রেণির শিক্ষার মত ত হবেই তার চেয়ে ভালও হতে পারে।

ইউনিভার্সিটিতেও মাতৃভাষাই হবে শিক্ষার বাহন। তা হলে উচ্চশিক্ষার সহায়তার জন্য ইংরেজি জানবার প্রয়োজন হবে না, তবে যারা রাষ্ট্রদূত হবে, বা বিজ্ঞানের উচ্চশিক্ষা লাভ করবে, তাদের জন্য প্রয়োজন মত ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, জার্মান, চীনা, রাশিয়ান প্রভৃতি বিবিধ ভাষা শিক্ষার ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক।

আমাদের বর্তমান দাস-মনোবৃত্তির পরিবর্তন হলেই পাঠ্যপুস্তকের বিষয় নির্ধারণ এবং তালিকা প্রণয়নের কাজ সুচারুরূপে চলতে পারবে। আমাদের দেশ আবহমান কাল থেকেই কৃষিপ্রধান রয়েছে, আরও বহুকাল যাবৎ এমনই থাকবে। অথচ কোন ঋতুতে কোন ফসলের চাষ হয়, কি কি ফল জন্মে, এসব উৎপন্ন দ্রব্য কোথায় যায়, উৎপাদনের পরিমাণ  এবং উৎকর্ষ বাড়ান যায় কিনা, এসব জীবন-সংশ্লিষ্ট জরুরী  বিষয়ের আলোচনা প্রাথমিক বা মাধ্যমিক পর্যায়ে আদৌ দেখা যায় না। মনে হয় যেন এসব এমন জিনিস যা পাঠ্যপুস্তকে স্থান পাবারই যোগ্য নয়। ইংরেজ আমলে আমাদের শিক্ষার ভিতর দিয়ে সর্বসাধারণকে তাচ্ছিল্য করবার যে মনোবৃত্তি গড়ে উঠেছে, আসলে এ ব্যাপারটি তারই এক উৎকট প্রকাশ। বর্তমানে অবশ্যই এ অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে, গতর খাটান পরিশ্রমের মর্যাদা দিতে হবে, আর দেশের জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে।

এতক্ষণে সেকেন্ডারী এডুকেশন পর্যন্ত পঠনীয় বিষয়াদি সম্বন্ধে সাধারণভাবে কিছু বলা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তক সম্বন্ধে বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয়, যে শ্রেণির জন্য পুস্তক লিখিত হচ্ছে তা সেই শ্রেণির মধ্যম রকম ছাত্র বা ছাত্রীর বোধগম্য হওয়া চাই। এদিক দিয়ে অনেক অনুমোদিত পাঠ্যপুস্তকই সত্যি সত্যি অনুমোদনীয় নয়। এই শোচনীয় অবস্থা দূর করতে হলে আমাদের বর্তমান অবস্থায় কী যে করা দরকার, তা বেশ একটু ঘোরালো হয়ে উঠছে। নৈতিকতার মান নেমে পড়ার ফলে, এবং কতকটা পাঠ্যপুস্তকের লেখক এবং বিচারকের বুদ্ধির ভ্রমে, অযোগ্য পুস্তকও যোগ্য বলে চালান হচ্ছে। বিশেষ করে বইয়ের ভিতরে কি আছে, তার চেয়ে রং চং কেমন, কাগজ, নক্সা প্রভৃতি কেমন, এইসব বাহ্য বিষয়ের উপরেই যেন অধিক গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে। অবশ্য, শিশুর বই আকর্ষণীয় হওয়া দরকার। কিন্তু তাই বলে শুধু বাইরেরটাই নয়, বিষয়-বস্তু এবং বর্ণনার সরসতার দিকেও নজর রাখা উচিত। তা ছাড়া আমাদের দেশে ছাপা-বাঁধাই এবং কাগজের উৎকর্ষ কি পরিমাণ সম্ভব, সেটাও বিচার্য।

এ প্রসঙ্গে আর একটি কথা এই যে, যাঁরা সিলেবাস প্রণয়ন করেন, তাঁদের আমরা বিশেষজ্ঞ বলেই মানি; তবু অঙ্ক ও বিজ্ঞানের সিলেবাসে এবং অন্যত্রও সচরাচর এমন সব প্রসঙ্গ থাকে য নানা কারণে ত্রুটিপূর্ণ। সিলেবাসের পৃষ্ঠা কখনই বিশেষজ্ঞদের বিদ্যা প্রকাশের ক্ষেত্র বলে গণ্য হতে পারে না। আমার মনে হয়, যেসব কারণে ভাল পাঠ্য পুস্তক প্রণেতাও অনেক সময় উৎকৃষ্ট বই লিখতে সাহস পান না, তার একটি বড় কারণ সিলেবাসের অযৌক্তিকতা। সিলেবাস যতই রদ্দি হোক না কেন, তার অনুগত না হলে উৎকৃষ্ট বইও খারিজ হয়ে যাবে। তাই, বাধ্য হয়েই অনেক কটোমটো বা অপ্রধান খুঁটিনাটি বিষয়ের অবতারণা করে পাঠ্যপুস্তককে রীতিমত ভয়াবহ করে তুলতে হয়। দুঃখের বিষয়, এ ব্যাপার কিসে শোধরাবে, তার নির্দেশ দিতে পারছিনে। হয়ত এজন্য ধীরস্থির শিক্ষাবিদদের কনফারেন্স ডাকার প্রয়োজন, কিন্তু প্রকৃত ধীরস্থির বা সুস্থচিত্ত শিক্ষাবিদ বেছে বার করবে কে? বর্তমান সামাজিক অবস্থায় শিক্ষা সম্পর্কে এই একটা প্রবল অন্তরায়ের সৃষ্টি হয়েছে বলতে হবে। অধিকন্তু পাঠ্যপুস্তকের বোর্ড এমন কতকগুলো নিয়ম করেছেন যার ফলে মর্যাদাসম্পন্ন লোকের পক্ষে পাঠ্যপুস্তক লেখা সম্মান-হানিকর হয়ে পড়েছে।

উচ্চশিক্ষা সম্বন্ধে প্রধান কথা এই যে, মাতৃভাষার মাধ্যমে অবিলম্বে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য পরিভাষা সৃষ্টি হচ্ছে। সে-পরিভাষাও কালক্রমে আরও পরিবর্তিত করবার প্রয়োজন হবে। তাই মনে হয়, চলতে চলতে পথ সৃষ্টি করে নিয়েই আমাদের অগ্রসর হতে হবে। অন্যদেশের লোক দয়া করে এসে আমাদের দেশে রাশি রাশি উন্নতি বর্ষণ করবে না, নিজেদেরকেই উদ্যোগী হয়ে দেশের উন্নতির জন্য আপ্রাণ পরিশ্রম করতে হবে। তাতে নিজের উন্নতি হবে, দেশেরও উন্নতি হবে। দশজনকে সঙ্গে নিয়ে উঠতে না পারলে প্রকৃত উন্নতি হবে না, দেশের সঙ্গে নাড়ীর যোগ স্থাপিত হবে না। কাজে কাজেই নিজেদের প্রাণের ভাষায় শিক্ষা লাভ করতে হবে, দেশের লোককে আপন ভাবতে হবে, তবেই উন্নতি। আমরা বিদেশীর সঙ্গে অবশ্যই সম্পর্ক রাখব, কিন্তু তাই বলে নিজের দেশে নিজেরাই বিদেশী বনে যেতে রাজী নই। যে শিক্ষা আমাদের দেশের লোককে ঘৃণা করতে শেখায় বা তাদেরকে শোষণ করবার প্রবৃত্তি জোগায়, সে দুষ্ট শিক্ষা থেকে আমাদের শতহস্ত দুরে থাকা দরকার। সংক্ষেপিত