জগলুল আসাদের প্রবন্ধ ‘করোনামলের দার্শনিকতা’

পর্ব ২

প্রকাশিত : এপ্রিল ১৫, ২০২০

এই করোনামলের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, পরিব্যাপ্ত সন্দেহ। রাষ্ট্রের চোখে সব নাগরিকই যেমন সম্ভাব্য অপরাধী, আজ সবার চোখে সবাই সম্ভাব্য ভাইরাস বহনকারী। তাই এত দূরে থাকা, এত সচেতনতা ও নিরাপত্তার আয়োজন। সন্দেহ যে বিচ্ছেদ তৈরি করেছে এর মূলে আছে আরেকটি আশা। সেটি হলো, এই বিচ্ছেদকাল চলে গেলে আবার আমরা মিলিত হবো, মুখোমুখি হবো। এই ভয়াবহতার ভয়ার্ত কালে সমাজ ও ব্যক্তির সম্পর্ক, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পর্কের বাইনারি চিন্তা অনেকটাই ধসে পড়েছে। ব্যক্তি ও সমাজ আর মুখোমুখি নেই, তেমন। সমাজই প্রধান ব্যক্তি নয়, সমজের যুপকাষ্ঠে আত্মহুতি দিতে হবে ব্যক্তিকে; বা ব্যক্তিই সব, ব্যক্তির প্রয়োজন মেটাবার মাধ্যম হিশেবে সমাজ হাজির— এমন বিপরীত দুই প্রান্তিক চিন্তা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে এই সংকটে। ব্যক্তি সমাজের কথা চিন্তা করে ঘরবন্দি থাকছে। ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে এই রোগ ছড়ায় বলে পুরো সমাজ এই রোগে আক্রান্ত হয়; তা-ই, সমাজের স্বার্থে এবং অবশ্যই ব্যক্তির নিজের স্বার্থেও সবাই একে অপরের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন ও সতর্ক থাকছে। ব্যক্তি ও সমাজের এই মিলন বিন্দু অভূতপূর্ব।

`সবাই` ঘরে থাকাই যুক্তিসংগত কেননা তা না-হলে সবাই সংক্রমিত হবে, মারা পড়বে। এতদিনে প্রায় সবাই বুঝে গেছে এটা। তবে এটি দার্শনিকভাবে বুঝতে কান্টের ক্যাটেগরিকাল ইম্পারেটিভ নামে এক নৈতিক-দার্শনিক প্রপঞ্চ আছে, যার মূল বক্তব্য হচ্ছে— আমাদের এমন কাজ করা উচিত, যে-কাজ আমাদের এই ইচ্ছাকে প্রদর্শন করবে যে, সেটি সবাই করুক, এটি সকলের জন্যে প্রযোজ্য হোক। কোনও কাজ ‘সকলেই’ করার ইচ্ছে করলে কি হবে, সেটি কান্ট বিবেচনা করতে বলেন। কোনও একটা কাজ সদিচ্ছা থেকে হতে হবে, আর সদিচ্ছাটির জন্ম হয় কোনও প্রাপ্তির আকাঙ্ক্ষা থেকে নয়, যুক্তি থেকেই জন্ম নেবে কান্টের ‘সদিচ্ছা’। একটি শাশ্বত নৈতিক নিয়ম সবাইকে মেনে চলতে হবে, যে নিয়ম উদগত হবে বিশুদ্ধ যুক্তি থেকে, কামনা বা বাসনা থেকে নয়। যেমন— সবাই প্রয়োজন অনুসারে খাবার কিনে রাখ, এটা কান্টের ‘শর্তহীন বাধ্যবাধকতা’র নীতি অনুসারে যথার্থ নৈতিক আচরণ। কিন্তু যদি বলা হয়, ‘সবাই প্রয়োজনের চেয়ে অধিক খাবার কিনে রাখো’, তবে কান্ট প্রস্তাবিত ক্যাটেগরিকাল ইম্পারেটিভের পরীক্ষায় এটি উত্তীর্ণ হবে না। কারণ সবাই সমান সচ্ছল নয়, ফলে সমাজের এক ক্ষুদ্র অংশই প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার কিনে রাখতে পারবে। তাই প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার কিনে রাখা কান্টীয় বিবেচনায় যথার্থ মোরাল ম্যাক্সিম হতে পারে না। কান্টীয় ধারণার ত্রুটির কথাও সবার জানা আছে। যেমন, সবার পরিস্থিতি ও প্রয়োজন এক না। সবার জন্যে সর্বাবস্থায় এক নীতি মেনে চলা বাস্তবতা বিবর্জিত। যাই হোক, যদি বলা হয় ‘করোনার সময় সবাইকে ঘরবন্দি থাকতে হবে’, তাহলে কিন্তু কিছুটা যুক্তির ঘাটতি ঘটবে। কারণ ডাক্তারদের ঘরের বাইরে এসে থাকতে হয় হাসাপাতালে, রোগীর সংস্পর্শে; এছাড়া পুলিশদের আসতে হবে সেই সব মানুষের সংস্পর্শে যারা ঘরে থাকতে চায় না। বিষয়টি বুঝতে সাহায্য নিতে পারি নীটশের।

নীটশে তাঁর The Genealogy of Morals এ জানাচ্ছেন, নৈতিক চিন্তা ভালো মানুষ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকে আসে না। বরঞ্চ আসে অভিজাত শ্রেণি থেকে। কারণ শ্রেণিগতভাবে নিচু শ্রেণির মানুষ থেকে আপার ক্লাস মানুষেরা নিজেদেরকে বিশিষ্ট অবস্থানে রাখে বা রাখতে চায় ৷বীরত্ব কেন ভালো? কারণ বীরত্ব রাজ-রাজরাদের গুণ। বশ্যতা কেন খারাপ? কারণ তা পরাজিতদের বৈশিষ্ট্য। এভাবে নীটশের নৈতিকতার যে উদ্ভব সম্পর্কে আলোচনা করেছেন, তা বেশ চমকপ্রদ। ভালো গুণ বলে আজ যা কিছু পরিচিত, তাকে বেশ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জিতে এসে ভালো গুণ হিশেবে প্রতিষ্ঠিত হতে হয়েছে। তো, করোনার এই দুর্যোগে বাইরে থাকার চেয়ে ঘরে থাকার বিশেষজ্ঞদের যে যুক্তি, ক্ষমতাধরদের যে ইচ্ছে, সেটিই বিজয়ী হয়ে আবশ্যক কাজ হিশেবে গণ্য হয়েছে।

তবে, ওই যে বললাম কিছু লোককে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাইরে— হাসপাতালে, প্রশাসনিক কর্মস্থলে— থাকতে হচ্ছে, এটাকে কী করে ব্যাখ্যা করা যাবে? সেক্ষেত্রে জেরেমি বেন্থাম বা জেমস স্টুয়ার্ট মিল তাঁদের ইউটিলিটারিয়ান ফিলোসোফি বা উপযোগবাদী দর্শন নিয়ে দরবারে হাজির হবেন। নৈতিক আচরণ হচ্ছে ‘সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের জন্যে সর্বোচ্চ ভালো বা সুখ’ (greatest good/happiness for greatest number) এর তত্ত্ব নিয়ে। তাদের মতে, সমাজের অধিকসংখ্যক মানুষের সুখের জন্যে কিছু সংখ্যক মানুষের আত্মত্যাগ যুক্তিসংগত ও প্রয়োজনীয়। তবে এই তত্ত্ব অপরের কষ্টকে খুব বেশি আমলে আনে না। ধরা যাক, পাঁচজন রোগীর কারো একটা চোখ দরকার, কারো একটা কিডনি দরকার, কারো একটা হৃৎপিণ্ড দরকার, কারো একটা লিভার দরকার, কারো দরকার ফুসফুস। তো, প্রতিবেশি একজন নিরীহ লোককে হত্যা করে এই পাঁচজনের প্রয়োজন মেটানো হলো। এটা কি গ্রহণযোগ্য হবে? হলে কী শর্তে, কখন?

প্রতিটি ব্যক্তির মৃত্যু ও বেদনা তো তার তার, কষ্টটুকুও যার যার নিজের। এতজন মারা গেছে, এতজন আক্রান্ত হয়েছে— এই তথ্যটুকু বাস্তবতা নয়, জাস্ট বাস্তবতা সম্পর্কে আমাদের এক ধরনের বিবরণী। তা সত্য বা মিথ্যা কোনোটাই নয়। রিচার্ড রর্টি জানান, বাস্তবতা বলতে আমাদের যা বুঝ, তা আসলে ভাষা ও বর্ণনার জগতের অন্তর্ভুক্ত৷ তিনি উদাহরণ হিসেবে এনেছেন ‘সবুজ ঘাস’ এর প্রসঙ্গ। ঘাস জানে না সে সবুজ কিনা, আর সবুজ রঙের এই ধারণা আমাদেরই ভাষিক বিষয়। ঘাসের জানা নিরপেক্ষভাবে ঘাসকে ভাষায় উপস্থিত করে আমরা বিবরণী ও ভাষায় এক বাস্তবতা তৈরি করেছি, ‘সত্যি ঘাস’ এর সাথে যার সম্পর্ক ন্যুনতম। প্রতিটি মৃত্যুই অনন্য, আমাদের বুঝ অনপেক্ষভাবেই। কারো কারো মৃত্যুতে রাষ্ট্র হয়তো অধিক বিহ্বল হয়, সব মৃত্যুকে আমরা সমান ভাবি না। সব মানুষকেও না। কেউ একটু বেশি মানুষ, কেউ-বা একটু কম। তার Contingency, Irony and solidarity গ্রন্থে রিচার্ড রর্টি বলছেন, বেশিরভাগ নিষ্ঠুরতা ও নির্মমতার জন্ম হয় What is it to be human ধরনের অধিবিদ্যিক প্রশ্ন থেকে। কারণ এই প্রশ্নগুলো আমাদেরকে প্ররোচিত করে এই র‌্যাশনালাইজেশনে যে, কিছু মানুষ less than human, সুতরাং তারা নিষ্ঠুর আচরণের যোগ্য। রর্টি জানাচ্ছেন, হিউম্যাননেসকে চিহ্নিত করবার অধিবিদ্যিক মানদণ্ডকে বাদ দিতে পারলে হয়তো মানুষকে `কম মানুষ` বা `না-মানুষ` বলে চিহ্নিত করে ‘আমনবীয়’ করে তোলা থেকে আমরা মুক্তি পাব।

স্লাভোয় জিজেক তাঁর Pandemic বইয়ে জানাচ্ছেন, করোনাকাল উদোম করে দিচ্ছে কিছু বৈষম্য। কিছু মানুষ নিষ্কৃয় হয়ে ঘরবন্দি, আর কিছু মানুষকে অতিকর্মভারে জর্জরিত হয়ে সেবা দিতে হচ্ছে। যেমন, হাসপাতালের চিকিৎসক বা রাস্তায় পুলিশ বা গণসেবকদের। বিশেষত, যারা ডাক্তার তাদের অনেকেই প্রায় অভুক্ত থেকে, অনেকসময় প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়াই দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তাদের অবসর নাই, বিশ্রাম নাই, একদা যেমন গার্মেন্টস শ্রমিক বা গাড়ি-শ্রমিকদের দেখেছি। তো, অতি কর্মহীনতা যেমন ক্লান্তি আনে, অতি কর্মময়তাও তা-ই। কর্মের পরই তো দরকার বিশ্রামের। তবে বিশ্রামই যদি কাজ হয়, তা হয়ে ওঠে একঘেয়ে ও ক্লেশকর।

পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থা শ্রম বা কাজকে খুব মহান করে দেখায়। এক্ষেত্রেও নীটশের সহায়তা নিয়ে বলা যাবে, যারা অপরের শ্রমে-ঘামে বেঁচে থাকে তাদের কাছেই শ্রমশীলতার মোরালিটি মর্যাদার। উইলিয়াম মরিস আজ থেকে একশো ছত্রিশ বছর আগে একটি বক্তৃতা করেছিলেন শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে, যেটি পরে প্রকাশিত হয় Useful labour vs Useless toil নামে। শ্রমের মর্যাদা ও গুরুত্ব নিয়ে মালিক বা বিত্তবানদের বয়ান এত বিশ্বাস করার দরকার নাই বলে তিনি কর্মজীবিদের সতর্ক করেন। কাজ হয় দুই রকম, ভালো আর খারাপ। ভালো শ্রম হচ্ছে সেই শ্রম যাতে আছে আশা। কাজের পর বিশ্রামের আশা (Hope of rest), উৎপাদনের আশা (hope of product), কাজের ভেতরে আনন্দের আশা (Hope of pleasure in the work itself)। যে কাজে আশাহীনতা থাকে, থাকে উদ্বেগ, সে কাজ কাজ হিশেবে বিবেচ্য নয়। বিশ্রামই প্রথম। বিশ্রাম অনুপ্রেরণা দেয় আগামী কাজের আর মুছে দেয় বিগত শ্রমের ক্ষত। নিজের সমস্ত দক্ষতা, দেহ ও মনোযোগের সংযোগে যে কর্মেনিরত থাকে, তার স্মৃতি ও কল্পনার তার সঙ্গী থাকে। বিগত যুগের সহস্র মানুষের দক্ষতা, জ্ঞান ও শ্রমশীলতার উত্তরাধিকার সে। মানব প্রজাতির একজন হিশেবে সে সৃষ্টি করে, উৎপাদন করে। তার উৎপন্ন পন্য তাকে বিষ্মিত করে, সে তাকায় তার দিকে, বুঝে যায় সে মানুষ, যন্ত্র নয়। এই বিশ্রাম আর সৃষ্টি ও কর্মের আনন্দ ছাড়া, আর সবই শ্রমদাসত্ব। কর্ম পরিবেশ কর্মের আনন্দ বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়। যারা কাজ করছে হাসপাতালে তাদেরকে বিশ্রাম আর অন্তত স্বস্তিদায়ক কর্মপরিবেশ দিতে হবে, তারা যে শ্রমদাস নয়, মানুষ— এই সম্মান ও অধিকার দিতে হবে। এটা নৈতিকতা।

যারা কর্ম থেকে ছুটি নিয়ে ঘরে আছেন, তারা অবকাশের নতুন সুযোগ পেয়েছেন। যারা কিছুটা স্বচ্ছল তাদের কথা বলছি। পারিবারিক জীবনের সান্নিধ্য ও সম্পর্ককে আরো নিবিড় করবার সুযোগ এসেছে। পরিবার নামক শক্তিঘরকে নবায়নের সম্ভাবনা তৈরি করছে করোনা, অনেকের জন্যে। যাদের দাঁড়াবার ও দেখবার সময় ছিল না এতটুকু, তারা জীবনের এই মন্থরতা উপভোগ করছেন। পারিবারিক জীবনে নারীর প্রাত্যহিক কাজে পুরুষের অংশগ্রহণ বাড়ছে। আবার, জীবনে সচলতা এলে নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যেই এই অভিজ্ঞতা কল্যানকর হবে। শিশুরা বদ্ধ অবস্থায় থাকলেও পিতামাতার সার্বক্ষণিক সান্নিধ্যে তারা নতুন জীবনের আস্বাদ লাভ করছে। স্কুলের দানবীয় চাপ না থাকায় অনেকটাই তারা নির্ভার। এই বিশ্রাম দরকার ছিল। ‘অপর’ এর পরিস্থিতির প্রতি ক্রমবর্ধমান সংবেদনশীলতা জন্ম দেয় সংহতির। রিচার্ড রর্টির বয়ানে, Solidarity is not discovered by reflection but created. It is created by increasing our sensitivity to the particular details of the pain.

কিন্তু অন্য একটি ভয়ানক বাস্তবতা আছে। অনেকের আয়-রোজগার না থাকায় ধীরে ধীরে বাড়ছে ক্ষুধা। অনেকের ক্ষেত্রে তা, WHO এর ভাষায়, হিডেন হাংগার। ফলাফল হিশেবে অনেকে ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে আসছে রাস্তায়, খাদ্যের অন্বেষণে। পর্যাপ্ত খাবারের রাষ্ট্রীয় বা সামাজিক বরাদ্দ রাখা না গেলে অপরাধ বাড়বে। ফ্রয়েড কথিত Displaced/transferred agression হতে পারে। কার কাছে যাবে, কে সহায়তা করবে, কাকে দায়ী করবে ভেবে না পেয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে, হয়তো কারো বাড়ি, কারো ঘর বা ত্রাণের গুদাম তারা লুট করবে! পাড়ার সাতে-পাঁচে না-থাকা মানুষটিও পরিস্থিতির চাপে, চারদিকের অব্যবস্থাপনায় ও হুল্লোড়ে, হান্নাহ আরেন্ড কথিত Banality of evil এর স্মারক হয়ে, চিন্তাহীন ও আটপৌরে ভঙ্গিতে অংশ নেবে সেই খাদ্য অন্বেষণের আগ্রাসী তৎপরতায়। অন্যদিকে, পুলিশ বা প্রশাসনও হয়তো এগিয়ে আসবে লাঠিসোঁটা নিয়ে, সাইজ করতে। ফলাফল...। সমাজের সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে (worst-off) চিন্তায় রেখে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় তাতে জাস্টিস থাকে বলে এংলো-আমেরিকান, অর্থাৎ Analytical Philosophy এর পুরোধা ব্যক্তি জন রাউলস (John Rawls) বলে গেছেন। তার এক বিখ্যাত মত, inequalities in the distribution of... goods are permissible only if they benefit the least well-off positions of society. খুব দরকার লক-ডাউনে ও কুয়ারেনটাইনে থাকা সকলের খাদ্যের ব্যবস্থা করা, বিশেষত, দৈনন্দিন খেটে খাওয়া ও সঞ্চয়-বঞ্চিত মানুষদের।

পরবর্তী পর্বসমূহে করোনাত্তোর জমানায় নৈতিক দর্শনের আরো কিছু বিষয়, রাষ্ট্র ব্যবস্থায় রূপান্তর, আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, বিজ্ঞান-দর্শন ও এসব বিবেচনা মাথায় রেখে ইসলামি দর্শনচিন্তা নিয়ে আলাপ তুলবার চেষ্টা করব, ইনশাআল্লাহ। চলবে

লেখক: প্রাবন্ধিক ও শিক্ষক