জাতিসংঘ রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করল মিয়ানমার

সেনাশাসকদের সরাতে সাহায্য চাওয়ায় নিজেদের জাতিসংঘ রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করার কথা জানিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীনরা।

রাষ্ট্রদূত ক্যাও মোয়ে তুন শুক্রবার জাতিসংঘের অধিবেশনে বলেন, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগপর্যন্ত সেনাদের সহযোগিতা করা কারও উচিত হবে না।

ক্যাও মোয়ে তুন আরও বলেন, অবর্ণনীয় ও সহিংস পন্থায় জাতিগোষ্ঠী সংখ্যালঘুর বিরুদ্ধে হামলা তারা চালিয়েছে, যা মানবতা ও যুদ্ধাপরাধের শামিল। আমরা আগেকার দিনে ফিরে যেতে চাই না। মিয়ানমারের জনগণ প্রতিবাদের মাধ্যমে বিশ্বকে তাই জানিয়েছে।

কয়েক দশক ধরে জনগণকে দমন ও শোষণ করার জন্য সেনাবাহিনীকে দোষারোপ করেন রাষ্ট্রদূত তুন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণে তিনি সামরিক সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করতে, তাদের স্বীকৃতি না দিতে এবং সহযোগিতা না করার জন্য বিশ্ব সমাজের প্রতি আবেদন জানান।

ক্যাও মোয়ে তুনের এই ভাষণের পর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাকে বরখাস্তের ঘোষণা দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসে সেনাবাহিনী। গ্রেফতার করা হয় অং সান সু চিসহ তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) শীর্ষস্থানীয় নেতাদের। অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে।