তারুণ্যের চোখে ২০২০

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : জানুয়ারি ০২, ২০২০

গত বছরটি ছিল বেশ ঘটনা বহুল, আলোচনার-সমালোচনার। ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টাতে উল্টাতে এসেছে নতুন বছরের সমাপ্তি, আবির্ভাব ঘটলো আরও একটি খ্রিষ্টিয় বছরের, আঁধার কেটে এসেছে নতুন বছরের নতুন ভোর। অতীতের সব গ্লানি ভুলে নতুনের আহ্বান। তরুনরা কি ভাবছে ২০২০ নিয়ে শুনি তাদের মুখেই-

 

তুবাইশী সুলতানা

শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ওফ প্রফেশনালস 

আমি স্বপ্ন দেখি এক নিরাপদ বাংলাদেশের। যেখানে ২০২০ জুড়ে কোনো নারীকে হতে হবেনা ধর্ষিত, কোনো মায়ের কোল খালি হবেনা আর কোনো নির্মম সড়ক দূর্ঘটনায় বাসে বসে ভয়ে গুটিয়ে যাবেনা কোনো নারী। আমি চাই না কোনো রাজনৈতিক বা ধর্মীয় সংঘর্ষে বলি হোক আর কোনো নিরপরাধ মেধাবী ছাত্র। দূর্নীতির আগ্রাসনে ন্যায়ের কন্ঠ হারিয়ে যাক তা আমি আর চাই না।

 

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক দিক দিয়ে এগিয়ে গিয়েছে অনেকটা। কিন্তু দূর্নীতি এবং রাজনৈতিক কলহের কারণে আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা হয়ে পড়েছে নড়বড়ে! যার দরুন সব থেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আমাদের তরুণ সমাজ। মাদকা, বেকারত্ব, শিক্ষার মান হ্রাস, দূর্বল আইন ব্যাবস্থা ইত্যাদি সব কিছু মিলে আমাদের তরুণ সমাজ আজ ভয়াবহ হুমকির সম্মুখীন। এখনই সময় আইন ব্যাবস্থা কঠোরত করে এবং সুষ্ঠ ব্যাবস্থা প্রণয়নের মাধ্যমে অন্যায় কে প্রতিহত করা এবং নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কেননা, আমাদের মনে রাখা উচিৎ যে “একটি নিরাপত্তাবিহীন সমাজ হাজারো অপরাধ ও অপরাধীর আশ্রয়স্থল”।

 

তাই আমি চাই ২০২০ হবে ন্যায় ও সত্যের বছর। অন্যায়, দূর্নীতি আর বর্বরতাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে চাই নিরাপদ এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে।

 

 

এস এম মহসীন

শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন সবার মধ্যেই আছে। এ স্বপ্নকে বাস্তবায়নে বড় ভূমিকা রাখতে পারে আমাদের দেশের তরুণ সমাজ। আমি চাই- ২০২০ সালের বাংলাদেশে থাকবে প্রতিটি সেক্টরে তারুণ্যনির্ভরতা ছাপ।

 

আমি ২০২০ সালের বাংলাদেশ নিয়ে আকাশ কুসুম কল্পনার ছড়াছড়ি ঘটিয়ে দিয়ে আকাশ সমান প্রত্যাশা করবো না। ২০২০ সালে বাংলাদেশে একটিও ধর্ষন হবে না, হবে না কোন সড়ক দুর্ঘটনা, বা কোনরকম রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা আসবে না কিংবা অর্থনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশ একেবারেই স্বাবলম্বী হয়ে যাবে -এমন প্রত্যাশা করাটা সমীচীন হবে না। বরং আমি চাইবো ২০২০ সালে বাড়ুক মানুষের মূল্যবোধ যাতে গত বছরের চেয়ে অন্তত একটি  ধর্ষন কম হোক, আমি চাইবো সচেতনতা বাড়ুক প্রত্যেকটি যান-চালকের যাতে অন্তত সর্বনিম্ন সংখ্যক প্রাণও সড়কে না যাক। প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বের হয়ে নতুন রাজনৈতিক ভাবনায়, আন্দোলনে যোগ হোক নতুন মাত্রা,  অহিংস হোক প্রতিটি আন্দোলন এই কামনায় রাজনীতি হোক আরও সুন্দর সাবলীল!

 

বাক-স্বাধীনতা, ব্যক্তিস্বাধীনতা হোক ২০২০ সালের বাংলাদেশের অন্যতম ইশতেহার!

২০২০ সাল  দুটি অর্থবছরের যোগসূত্র।  তাই এই একটি বছরকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক প্রত্যাশা অনেক দূরুহ ব্যাপার। তবে অর্থনৈতিক মুক্তির যে স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল তার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন উহ্যই রয়ে যাচ্ছে। ২০২০ সালের তরুণ প্রজন্মের ভাবনায় সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নামক সোনার হরিণের প্রারম্ভিক পর্যায়টা অন্তত দেখতে চাই!

 

প্রযুক্তির ব্যবহার বর্তমানে দেশে ব্যপক প্রসার লাভ করছে৷ তবে বর্তমানে দেশে ৪০ শতাংশ তরুণ কোনো শিক্ষা গ্রহণ করছে না, কোনো ট্রেনিংও নিচ্ছে না এবং কোনো কর্মেও নিয়োজিত নেই৷ উন্নয়নশীল একটি দেশে কর্মহীন, দক্ষতাহীন তরুণ অকল্পনীয়৷ দেখতে হবে তরুণরা ডিজিটাল বাংলাদেশের সহজলভ্য প্রযুক্তির ফলে শুধুই কি ভোক্তা হিসেবে গড়ে উঠছে, নাকি উদ্যোক্তাও হতে পেরেছে৷ প্রযুক্তির ব্যবহার তাঁদের জীবনে, শিক্ষায়, দক্ষতার উৎকর্ষতা বৃদ্ধিতে কতটুকু প্রভাব ফেলছে কিনা তা নিয়ে ভাবার সময়ও এই বছরটিই শ্রেষ্ট সময়।

 

 

নুসরাত সুলতানা পিকন

শিক্ষার্থী ও উদ্যোক্তা(পরিপাটি)

বাংলাদেশ, লক্ষ লক্ষ আবালবৃদ্ধবনিতার স্বপ্নের দেশ। নতুন বছরে আমি আমার দেশকে এমন ভাবে দেখতে চাই, যেখানে সবাই মন খুলে যুক্তি দিয়ে নিজের দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সহ সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারবে। যেখানে বাকস্বাধীনতার অস্তিত্ব থাকবে, পূর্ন নিরাপত্তা থাকবে।

 

যেখানে উচ্চপদস্থ থেকে শুরু করে সকল স্তরের মানুষদের জবাবদিহিতা বাধ্যতামূলক থাকবে। জবাবদিহিতা চর্চার অভাবে মানুষ বৃহত্তর স্বার্থের কথা না ভেবে নিজস্ব ক্ষুদ্রস্বার্থের জন্য অনৈতিক কাজ করে, সাধারন জনগন কে বিপদগ্রস্ত করে। এই অবস্থার অবসান চাই।

 

বর্তমান প্রেক্ষাপটে, স্নাতক পাশ করেও  লক্ষ লক্ষ তরুন তরুনী বেকারত্বের সাথে প্রতিনিয়ত লড়াই করে চলছে। শিক্ষিত হয়েও অসচ্ছল জীবনের এই ভয়ংকর দু:খ দৈন্যের অবসান চাই।

 

এমন দেশের স্বপ্ন দেখি, যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থী যুগোপযোগী সৃজনশীল চিন্তার অধিকারী হয়ে দেশকে অপার সম্ভাবনার পথে  এগিয়ে নিয়ে যাবে।

 

আমি এমন দেশ চাই, যেখানে বাংলাদেশ আমদানি নির্ভর বাংলাদেশ থেকে স্বনির্ভর বাংলাদেশে রুপান্তর হবে। নিজের দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাংলাদেশ প্রচুর পরিমান পণ্য বাইরের দেশেও রপ্তানি করবে। আমি উপলব্ধি করি, আমাদের দেশে সব আছে, প্রতিটা মানুষের স্বচ্ছল ভাবে জীবন যাপনের সকল সুযোগ-সুবিধা, সম্পদ আছে। কিন্তু যা নেই তা হলো সঠিক ব্যবস্থাপনা। অঢেল পরিমান সুযোগ-সুবিধা, সম্পদ বাংলাদেশে আছে, যেদিন আমরা সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এর উপযুক্ত ব্যবহার সম্পুর্ন  আয়ত্ত করে নিতে পারবো, সেদিন  আমাদের সপ্নের বাংলাদেশ ষোলআনায় পূর্ন হবে।

 

আমরা বাংলাদশের সকল নাগরিক, আমাদের দেশের সুনিপুণ কারিগর।চলুন নতুন বছরে নিজেদের সততা, মূল্যবোধ, মানবিকতা, দক্ষতা দিয়ে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলি।

 

 

 

মিমিয়া তাবাসসুম

শিক্ষার্থী- শিক্ষা ও গবেষণা অনুষদ, চবি

আমি স্বপ্ন দেখি দারিদ্র্যমুক্ত এক বাংলাদেশের। যেখানে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাতে হবে না এ দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে। মৌলিক চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে রাষ্ট্র। মধ্যম আয়ের দেশের স্থায়িত্ব ধরে রাখবে বাংলাদেশ।

 

আরও স্বপ্ন দেখি নিরাপদ সড়ক ও নিরাপদ ইন্টারনেটের। কোনো সম্ভাবনার আলো যেন কুঁড়িতে ঝরে না যায়। অকালে যেন হারাতে না হয় কোনো প্রিয়জনকে। বিপদজনক সড়কগুলো চিহ্নিত করে নিতে হবে যথাযথ ব্যবস্থা। সেই সাথে সাইবার বুলিং এর জন্য প্রয়োজন যথাযথ আইন ও এর প্রয়োগ। ইন্টারনেটে যেন হয়রানির শিকার হতে না হয়। কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক সহিংসতার সূত্রপাত যেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু না হয় সেই বিষয়েও লক্ষ রাখতে হবে।

 

নারী-পুরুষের সমানঅধিকার থাকবে  এমন বাংলাদেশ। নারীকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে নয়,গড়ে তুলতে হবে দেশের চালিকাশক্তিরুপে। আর সেজন্য প্রয়োজন সবক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

 

সর্বোপরি ২০২০ যেন বাংলাদেশের সকলক্ষেত্রে ইতিবাচক সাফল্য বয়ে আনে সেই আশা করছি। আর তা যেন অবশ্যই আসে তরুন প্রজন্মের হাত ধরে।

 

 

শতাব্দী রায় মনীষা

শিক্ষার্থী এবং পাবলিক রিলেশনস অফিসার (পাওয়ায় টু ব্লুম)

 

বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি উন্নয়নশীল দেশ। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায়  ১৬ কোটি ৭১ লাখ মানুষের বাস। তার মধ্যে ৬ কোটিরও বেশি শিশু-কিশোর।

বর্তমানে বাংলাদেশ এখন SDG-র লক্ষ্যমাত্রা পূরণের পথে। বর্তমানে বাংলাদেশে ক্ষুধা, দারিদ্র্যের হার অনেকটা কমে এসেছে এবং স্কুলগামী শিশুর সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে লিঙ্গ বিভাজনও কমেছে। যদিও লিঙ্গ বিভাজন কমেছে "শিশুর নিরাপত্তা " পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত হয়নি। যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে শিশুরা বেশি। ২০১৯-এ ফিরে তাকালে আমরা দেখি যে, অবুঝ শিশুরাও ধর্ষণ, যৌন হয়রানি থেকে রেহাই পায়নি। আমি এমন এক দেশের স্বপ্ন দেখি যেখানে প্রত্যেকটা শিশু, কিশোর-কিশোরী নিজেরাই নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারবে। নিজেদের সাথে ঘটা অন্যায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করতে পারে এবং ঘটে যাওয়া অন্যায়ের কারণে শিশু-কিশোরীরা হীনমন্যতায় না ভোগে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা অঞ্চলের স্কুলের কিশোর-কিশোরীরা যেন তাদের বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন হয় এবং এই বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তনকে ট্যাবু মনে না করে এমন একটি দেশের স্বপ্ন দেখি। "প্রতিটি শিশু এক-একটি ফুল" । আর ফুলকে ফুটিয়ে তুলতে পারে পরিবার ও সমাজ। আর পরিবার, সমাজের সুন্দর ও কাঙ্খিত পরিবর্তন আনতে পারে তরুনরাই।

 

২০২০ হবে বৈষম্যহীন, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ বছর।

 

 

ধীমান সরকার বাপ্পী

শিক্ষার্থী- রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিএসই ডিপার্টমেন্ট

আমি চাই,প্রযুক্তি নির্ভরতা বাড়ুক! ২০২০ প্রচুক্তির বিপ্লব ঘটুক বাংলাদেশে। উন্নত দেশ হিসেবে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ুক সকল ক্ষেত্রে! তথ্যপ্রযুক্তির পাশাপাশি কৃষি ভিত্তিক শিল্ল ব্যাবস্থারও উন্নতি ঘটুক। কপিরাট আইনে আসুক সুষ্ট পরিবর্তন। শিশু তথা সকলের জন্য নিরাপদ হোক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সমূহ। প্রযুক্তির সুষ্টব্যবহারের সাথে সাথে বন্ধ হোক এর অপব্যবহার।

গুজবের বলি হয়ে যেন আর কেউ প্রাণ না হারায়। ধর্ষণ খুন  গুম তথা সমস্থ অন্যায়ের বিরুদ্ধে গড়ে উঠুক সামাজিক প্রতিরোধ।

 

 

সুলতানা পারভীন,

শিক্ষার্থী এবং লেখিকা

২০১৯ এর প্রতিটি  খবরের পাতায় পাতায় এতো নারী ও শিশুর ধর্ষণের ঘটনা পড়েছি যে এখন ২০২০ সালে একটা জিনিসই চাওয়া। যাতে আর কোন নারী বা শিশুকে এই জঘন্য অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে না হয়। ২০২০ সালে যেন দেশের নারী ও শিশু সবাই সুস্থ, সুন্দর ও নিরাপদ থাকতে পারে এই কামনাই করি। আর যারা ইতিপূর্বে এই বাজে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন তারা যেন তাদের ন্যায্য বিচার পায়। ধর্ষণ বা নারী নির্যাতনের অপরাধীরা যেন যথাযোগ্য শাস্তি পায়। কেননা, শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারলে হয়তো অপরাধটা তুলনামূলক হারে কমে আসবে।  ২০২০ সালটি হোক ধর্ষণমুক্ত বাংলাদেশ, যেখানে নারী ও শিশুরা নিজেদের স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে। নিজের মেয়েটি  ঘরের বাইরে বের হলেই যেন বাবা মায়ের বুকে একটা চাপা ভয় না থাকে যে তাদের মেয়েটি সুস্থভাবে বাসায় ফিরতে পারবে কি না। আমি চাই ২০২০ সাল নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তার আগামীর পথচলার সারথি হোক।

 

 

মুশফিকুর রহমান রিয়াদ

শিক্ষার্থী- আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ময়মনসিংহ।

৫৬,৯৭৭ বর্গমাইলে এর  পৃথিবীর ব- দ্বীপ  বাংলাদেশ হউক কৃষি ও শিল্পের সুষ্ঠ সমন্বয়।  কৃষি খাতে আরো বিনিয়োগ এবং কৃষি কাজের উপকরণের দাম কৃষকের  সার্মথ্যের মধ্যে রাখা ও সহজ শর্তে কৃষি ঋণ বিতরণ। শিল্পে আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার বাড়ানো। 

 

নদীমাতৃক দেশে স্বাধীনতার সময় ২৪০০০ কিলোমিটারের বেশি নৌপথ ছিল যা বর্তমানে ৩৮০০ কিলোমিটারে নেমে এসেছে। অধিকাংশ নদী তার ণাব্যতা হারিয়েছে প্রাকৃতিক এবং মানব সৃষ্ট কারনে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় নদী সংরক্ষণের বিকল্প নেই। শিক্ষা কাঠামোটে  গবেষণা অন্তর্ভুক্তকরন ও  বাস্তব জীবনে তা প্রয়োগ করার  ব্যবস্হা। দেশে শিক্ষিত লোক বাড়ছে অথচ কর্মমুখী শিক্ষিত লোক বাড়ছে না, ফলে সৃষ্টি হচ্ছে শিক্ষিত বেকার। তাই উচিত কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন।

 

সকলকেই  র্দূনীতির বিরুদ্ধে  এক্যবদ্ধ হতে হবে। মাদক এর কালো  ছোবল থেকে যুবসমাজকে সচেতন হতে হবে। অগ্রজদের  দিকনির্দেশনায় তারুণ্যের উদ্যম ও শক্তিতে এগিয়ে যাক লাল সবুজের দেশ বাংলাদেশ।

 

 

মাজহারুল ইসলাম রওনক

শিক্ষার্থী- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

এক মহান রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে আমাদের এই ১,৪৮,৪৬০০ বর্গ কিলোমিটারের এই দেশটি, যে উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য সামনে রেখে ৩০ লক্ষ মানুষ তাদের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন, আমরা স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও তা সম্পূর্ণ অর্জন করতে পারি নি।

 

আমাদের দেশটিকে একটি শোষন  বৈষম্য দারিদ্রতা থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য যে সংগ্রাম শুরু হয়েছিল তা এখনো আমাদের সমাজে বিধ্যমান, একজন শ্রমিক আজো তার ন্যায্য মজুরীর জন্য অনশন করতে গিয়ে মারা যায়, একজন কৃষক তার উৎপাদিত পন্যের ন্যায্য মুল্য না পেয়ে তার উৎপাদিতে পন্যে আগুন দেয়।

 

একজন বেকার তার সমস্ত যোগ্যতা থাকা সত্তেও বেকারত্বেরর অভিশাপ থেকে মুক্তি পাচ্ছে না,  স্বাধীনতার এত বছর পরেও সড়কে প্রতিনিয়ত ঝড়ছে অজস্র প্রাণ, অফিস আাদালত গুলো দুর্নীতিবাজদের আড্ডা খানায় পরিনত হয়েছে।

 

এই নতুন বছরে আমার প্রত্যাশা থাকবে একটি সুন্দর সমৃদ্ধ  দারিদ্রমুক্ত সুখী দেশের যেখানে কোন বেকার থাকবে না, কোন মানুষকে তার অধিকারের জন্য মার খেতে হবে না, কোন বিচার প্রার্থীকে বিচারের আশার আদালতের প্রাঙ্গনে দৌড়াতে হবে না, সড়কে ঝড়ে পরবে না আর কোন নীরিহ মানুষের প্রাণ, শিক্ষা গবেষনায় আমরা এগিয়ে যেতে পারব সমৃদ্ধির এক অনন্য উচ্চতায় ।

 

 

রাশেদা আক্তার ইমু

শিক্ষার্থী এবং সদস্য নগরফুল (সামাজিক সংগঠন)

যে কোনো দেশ বা সমাজের মুল চালিকাশক্তি হচ্ছে তরুণরা।। একজন তরুণী হিসেবে আমি নতুন বছরে নতুন আঙ্গিকে সাজানো বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি।। বাংলাদেশ বিগত বছরগুলোর সাফল্য ধারা বজায় রেখে নতুন বছরে দারিদ্র দুরীকরণ, কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ, নারী ও শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকরণে নতুনভাবে অগ্রসর হবে সেটাই প্রত্যাশা।।আর এগুলোর জন্য বাংলাদেশের নাগরিক শক্তি- তরুণদের সহায়তা খুব প্রয়োজন।। এই নতুন বছরে সরকারের পাশাপাশি তরুণরা আইন মেনে দেশের কল্যাণে এগিয়ে যাবে, সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াবে, সবার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করবে, সকলে সৎ ও আদর্শ নাগরিক হয়ে উঠবে এটাই প্রত্যাশা।। নতুন বছরে নতুন উদ্যোমে দেশ এগিয়ে যাবে, সমাজে কোনো সুবিধা বঞ্চিত মানুষ থাকবেনা, সকলে ঐক্যের সাথে দেশকে উন্নত করণে অংশগ্রহণ করবে এটাই কামনা।

 

 

 

নাহিয়ান রব্বানী দীপ

শিক্ষার্থী-জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়

২০২০ সাল হোক  সম্ভাবনার। জাগুক নতুন সূর্য। খরা কেটে আসুক নতুন ফসল। সম্ভাবনা ময় সকল আর্টিস্টরা ফিরে পাবে তাদের যোগ্য স্থান। সৃজনশীলতার চর্চা হোক সর্ব ক্ষেত্রে। দর্শকের চাহিদার প্রতিফলন ঘটুক নাটক সিনেমায়, ফিরে আসুক আগের জৌলুশ সৃজনশীলতা। হাত তালিতে ভরে উঠুক সিনেমা হল গুলো। আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত হোক আমাদের সিনেমা, নাটক। বাধাহীন স্বাধীন দেশের সূচনা হোক ২০২০শে, বাকস্বাধীনতার অনন্য এক উদাহরণ হোক আমার বাংলাদেশ।