নায়করাজের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : আগস্ট ২১, ২০১৯

ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাকের আজ দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। পাঁচ দশক ধরে চলচ্চিত্রে তার উপস্থিতি দেশীয় চলচ্চিত্রকে করে সমৃদ্ধ। স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন একাধিকবার জাতীয় পুরস্কার। ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

নায়করাজ নামে তিনি সুপরিচিত ছিলেন। চলচ্চিত্র পত্রিকা চিত্রালীর সম্পাদক আহমদ জামান চৌধুরী তাকে নায়করাজ উপাধি দিয়েছিলেন। ভারতের কলকাতায় জন্ম নেয়া রাজ্জাক সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন এবং ১৯৬৬ সালে ১৩ নম্বর ফেকু ওস্তাগার লেন চলচ্চিত্রে একটি ছোটো চরিত্রে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে।

তিনি জহির রায়হানের ‘বেহুলা’ চলচ্চিত্রে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করেন। ষাটের দশকের শেষের দিকে এবং সত্তরের দশকেও তাকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের প্রধান অভিনেতা হিসেবে বিবেচনা করা হতো।

অভিনয় জীবনে তিনি বেহুলা, আগুন নিয়ে খেলা, আগুন, জিঞ্জির, এতটুকু আশা, নীল আকাশের নীচে, জীবন থেকে নেওয়া, ওরা ১১ জন, অবুঝ মন, রংবাজ, বদনাম, কালো গোলাপ, অংশিদার, আনার কলি, লাইলি-মজনু, আলোর মিছিল, অশিক্ষিত, ছুটির ঘণ্টা এবং বড় ভালো লোক ছিলসহ তিনশোর বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। পাশাপাশি ১৬টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন।

২০১৫ সালে বাংলাদেশ সরকার সংস্কৃতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য তাকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে। ১৯৭৬, ১৯৭৮, ১৯৮২, ১৯৮৪ ও ১৯৮৮ সালে তিনি মোট পাঁচবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৩ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তাকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়।

এছাড়া তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য বাচসাস পুরস্কার, মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন।