পশ্চিমবঙ্গের ‘ঐহিক মৈত্রী সম্মাননা’ পেলেন কবি জুয়েল মাজহার

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : নভেম্বর ২০, ২০১৯

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যপত্রিকা ‘ঐহিক’র পক্ষ থেকে ‘ঐহিক মৈত্রী সম্মাননা-২০২০’ পেয়েছেন বাংলাদেশের কবি জুয়েল মাজহার।

মঙ্গলবার দুপুরে তাকে এ সম্মাননার প্রস্তাব দেন ঐহিকের সম্পাদক তমাল রায়। এতে সম্মতি জানান তিনি। এসময় তমাল রায়ের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ‘ঐহিক বাংলাদেশ’র সম্পাদক কবি মেঘ অদিতি ও কবি সুব্রত সরকার।

ঐহিক সম্পাদক তমাল রায় বলেন, “আশির দশক থেকে আজ পর্যন্ত অগণিত কবিতা, অনুবাদ, ও কবিতা বিষয়ক গদ্য— অর্থাৎ সামগ্রিক সৃষ্টিকর্মের জন্য জুয়েল মাজহারকে এ সম্মাননা দেয়া হলো। সাহিত্যে আঞ্চলিক ভাষার নিপুণ ব্যবহার, প্রান্তিক মানুষের জীবনযাপনের স্পর্শ ও অনুবাদ সাহিত্যের সাবলীলতায় বিশ্বসাহিত্যকে মাতৃভাষায় পড়ার বিরল সুযোগ করে দিয়েছেন তিনি। তাকে সম্মান জানাতে পেরে ‘ঐহিক’ পরিবার আনন্দিত ও সম্মানিত।”

জুয়েল মাজহার ছাড়াও ‘ঐহিক মৈত্রী সম্মাননা-২০২০’ পেয়েছেন বাংলাদশের আরেক কবি আশরাফ আহমেদ। ২০২০ সালের ৬ ও ৭ ফেব্রুয়ারি কলকাতা বইমেলার মিডিয়া সেন্টারে জুয়েল মাজহার ও আশরাফ আহমেদের হাতে সম্মাননা উপলক্ষে বিশেষ স্মারক ও উত্তরীয় তুলে দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন জুয়েল মাজহার। আশির দশক থেকে শুরু করে চার দশক ধরে একনিষ্ঠভাবে সাহিত্য সাধনা করে চলেছেন তিনি। তার উল্লেখযোগ্য বইগুলো হচ্ছে, ‘দর্জিঘরে একরাত’, ‘মেগাস্থিনিসের হাসি’ ও ‘দিওয়ানা জিকির’। অনুবাদ কবিতার বই, ‘কবিতার ট্রান্সট্রোমার’ ও ‘দূরের হাওয়া’।

এর আগে গত বছর ‘জীবনানন্দ পুরস্কার-২০১৯’ লাভ করেন জুয়েল মাজহার। চলতি বছরের অক্টোবরে কবি জীবনানন্দ দাশের শহর বরিশালে আড়ম্বরপূর্ণ সাহিত্য সমাবেশে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সম্মাননা গ্রহণ করেন কবি।  

ঐহিক পশ্চিমবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ একটি সাহিত্যপত্রিকা। ১৯৯০ সালে যাত্রা শুরু করা এ পত্রিকা ২০১৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করে।