পাগলামির ইতিহাস

রিফাত বিন সালাম

প্রকাশিত : মে ২৯, ২০১৯

ফুকো সাহেব পাগলামির ইতিহাস লিখেছিলেন পাগলদের অধিকার দেয়ার জন্য, তার জন্যই তার মহান গবেষণা। অন্তত তার বক্তব্য থেকে সেই সিদ্ধান্ত টানা যায়। তবে ওই গবেষণাকে আমরা কিভাবে নেব, সেটা এখনো তর্কের বিষয়। ফুকোর পাগল ছিল ইতিবাচক অর্থে, কিন্তু বর্তমান দুনিয়ার মানুষ যে ধরনের পাগলামি করছে তারও ইতিহাস লেখা উচিত। কোনো মহান দার্শনিক সেই ইতিহাস লিখলে, মানুষ তার নিজের রূপ নতুন করে আবিষ্কার করবে, নিশ্চিত। গত দুই শতাব্দীতে দুনিয়া যেমন আধুনিকায়ন হয়েছে, পাশাপাশি বেড়েছে নানা বিকৃতি। যুদ্ধ, সাম্প্রদায়িকতা, প্রযুক্তি নিয়ে উন্মাদনা।

দুনিয়ার কর্তা অর্থাৎ মার্কিন দেশে এমন এক প্রধানমন্ত্রী বসেছেন যাকে স্বাভাবিক বলা যায় না। এই ‘পাগল’ নেতিবাচক অর্থে। আমাদের দেশও এক্ষেত্রে এগিয়ে। সম্প্রতি কৃষিমন্ত্রীর ধান নিয়ে বক্তব্য তার বড় প্রমাণ, বাকিদের কথা তো এখন বলাও বিপদজনক। মিথ্যা বলা বা দায় অস্বীকার করারও তো একটা ধরন আছে। স্বাভাবিক ধরন থাকে। কিন্তু এই দেশের মন্ত্রীরা সেইসব নিয়ম ভেঙে এতই উদ্ভট যুক্তি দেয় যা চূড়ান্ত পাগলামি। আর এই পাগলরাই আমাদের শাসন করছে। শুধু আমাদের না, সারা দুনিয়া একই দিকে ছুটছে।

ইতিহাসে আগে এমন ঘটছে কি না, তা আমার জানা নাই। আমরা কি সবাই পাগল হয়ে যাচ্ছি! নাকি মানুষ মাত্রই ধ্বংস প্রিয়? এই পাগলামি মানুষের নিজের ভেতরের প্রাথমিক সত্তা, নাকি তার অর্থনৈতিক চাহিদার কারণেই এই পরিস্থিতি? এই প্রশ্নও জটিল হয়ে উঠছে।

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ আগের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। মানুষ্য সৃষ্ট এই গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের মাত্রা জলবায়ু পরিবর্তনে নতুন বিপদ শঙ্কা হিসেবে দেখছেন বিজ্ঞানীরা। ৩০ লাখ বছরে নাকি এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা। একই সাথে দুনিয়ার প্রায় অর্ধেক প্রাণী হাওয়া হয়ে গেছে। যুদ্ধ, লুটপাট, দখল যেন খুব স্বাভাবিক!  মানব জাতির ইতিহাস আবার নতুন করে লেখা জরুরি।