ব্ল্যাস্ট ও অল্ট্রাইস্ট ম্যানিফেস্টো

রথো রাফি

প্রকাশিত : ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯

ব্ল্যাস্ট ম্যানিফেস্টো
এ ম্যানিফেস্টোটি উইন্ডহেম লুইসের সম্পাদনায় ব্ল্যাস্টে প্রথম ছাপা হয়েছিল। এর পেছনে ব্যাপক সহযোগিতা ছিল আধুনিক সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তি এজরা পাউন্ডের। আধুনিক ইংরেজি-শিল্পসাহিত্যের আন্দোলন ‘ভর্টিসিজম’র দার্শনিক ভাষ্য হিসেবেই ম্যানিফেস্টোটি প্রকাশিত হয়েছিল। আর সারাবিশ্বের প্রতিভাধর কবিদের উপর এর প্রভাব ব্যাপকভাবেই পড়েছিল। এর তুলনা মেলে কেবল ভবিষ্যতবাদী ও পরাবাস্তববাদী ম্যানিফেস্টোর প্রভাবের সাথেই।

এজরা পাউন্ড ও উইন্ডহেম লুইস ছাড়াও এ ইশতেহারে স্বাক্ষর করেছিলেন রিচার্ড আলডিংটন, আরবুথনট, এটকিনসন, গদার ব্রেজকা, ডিসমোর, হেমিল্টন রবার্টস, এইচ. স্যান্ডার্স, ই. ওয়াডর্সওয়ার্থ।

অল্ট্রাইস্ট ম্যানিফেস্টো
রাফায়েল কাঁসিনোস আসেঁসের পৌরোহিত্যে ১৯১৮ সালে স্পেনে শুরু হয়েছিল অল্ট্রাইস্ট সাহিত্য আন্দোলন, আধুনিক স্পেনিশ কবিতা আন্দোলন ‘মডার্নিজমোর’ বিরোধিতায়। এ আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন গোয়েলার্মো তোরে, হোয়ান লারিয়ে, জেরাদো দিয়াগো, আর হোর্হে লুই বোর্হেস। ১৯২২ সালে এ আন্দোলনের শিল্প-ভাবনাকে বোর্হেস একটি ম্যানিফেস্টোতে রূপ দিয়েছিলেন, নসোসট্রোস পত্রিকায় তা প্রকাশও করেছিলেন, বোয়েনস আয়ার্স থেকে প্রকাশিত হতো পত্রিকাটি।

উল্লেখ করতেই হয়, একই সালে মুভমেন্টের মূল মুখপত্র আল্ট্রার প্রকাশ অনিয়মিত হয়ে পড়ার সাথে সাথে এ আন্দোলনের ইতি ঘটে। কিন্তু পরবর্তী আরও দশ বছর বোর্হেস একাই এই ভাবনা অনুসরণ করে লেখালেখি চালিয়ে যান। আরেকটা কথা, ম্যানিফেস্টোর পেছনে যে-দেশ জড়িয়ে রয়েছে, সে-দেশের কথা মনে রেখে পড়াই শ্রেয়।

ব্ল্যাস্ট ম্যানিফেস্টো
ক.
১.    ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ঊর্ধ্বে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করবো আমরা।
২.   আমরা পছন্দের এক বিশ্বের বিপরীত মত থেকে শুরু করি। দুই চরম অবস্থার মাঝে স্থাপন করি সুকুমার স্পষ্টতার এক ত্রাস-সঞ্চারী কাঠামো।
৩.   উভয় দিকেই নিজেদেরকে মুক্তভাবে ঢেলে দিই আমরা।
৪.   প্রথমে আমরা একদিকে লড়িতো পরমুহূর্তেই অন্যদিকে লড়ি, কিন্তু সবসময়েই সেই এক যুক্তিতেই, আসলে না-কোনপাশে, না-উভয়পাশে, বা না-আমাদের পাশে।
৫.    ভাড়াটে সেনাবাহিনীই সবসময়ে সবচেয়ে সেরা ফৌজ।
৬.   আদিম সেনা আমরা আধুনিক বিশ্বে।
৭.    আমাদের যুক্তি না-মানুষের যুক্তি।
৮.   আমরা হিউমারকে হিউমারের গলায় সেঁটে দিই। শান্ত বানরদের মাঝে গৃহযুদ্ধ লাগিয়ে দাও।
৯.   আমরা শুধু হিউমারই চাই, যদি তা ট্রাজেডির মতো লড়াই করে।
১০.  আমরা কেবল ট্রাজেডিই চাই, যদি তা পেটের উপর রাখা হাতের পাশ-পেশিগুলোকে দৃঢ় করতে পারে, এবং হাসির বোম ফাটাতে পারে।

খ.
১. আমেরিকা এবং ওই মহাদেশ থেকে ইংল্যান্ড সম্পর্কে মানা-যায়-না এমন অনেক কথাই আমরা শুনতে পাই: ‘বেসুরো, অশৈল্পিক, দর্শনহীন এক দেশ।’
২. প্রায়-একমত আমরাও।
৩. বিলাসিতা, খেলাধুলা, প্রখ্যাত ইংরেজ হিউমার, রোমাঞ্চকর আভিজাত্য, আর শ্রেণি-মুগ্ধতা, বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী সামাজিক মর্যাদা সৃষ্টি; স্বদেশে সাক্সন বংশের গভীর  নিথর খাঁড়িগুলো ব্যাঙের কীর্তন ছাড়া পারে না কিছুই, সমস্ত জাতির মাঝে এসবই, ভুল-দৃষ্টিভঙ্গিতে, ইংল্যান্ডকে দিয়েছে অদ্ভুত স্বাতন্ত্র।
৪.   এ-কারণেই ইংল্যান্ড সময়ের ধারাবাহিকতায় এমন ভাল শিল্পী উপহার দিয়ে চলেছে।
৫.  আর এ-কারণেই এই ঘনবদ্ধ জীবনের মাংসস্তুপ থেকে, শিল্প ও ভাব আন্দোলন প্রবলতরভাবে ফেটে পড়তে পারে, অন্য যেকোন জায়গার তুলনায়।
৬.  জীবনের ‘উন্নয়ন’ শিল্পের জন্য দরকারী বা সহযোগিতামূলক, যেমন, ‘উন্নততর রুচির’ স্থাপত্য, জামা, অলংকার নির্মাণে এক উদ্ভট বিশ্বাস ।
৭.  শিল্প-স্বভাব সর্বকালেই প্রাগেতিহাসিক।
৮.  খুঁত, বিরোধ ইত্যাদির মাঝে শিল্প-স্বভাব সেই একই প্রেরণা পায়, যেমনটা পায় প্রকৃতিতে।
৯.  আধুনিক আন্দোলনের শিল্পী এক আদিম বর্বর (‘অগ্রসর’, নিখুঁত, গণতান্ত্রিক, মি. মারিনেত্তির সীমিত-কল্পনার ভবিষ্যতবাদী কোনও ব্যক্তি নয়): আধুনিক জীবনের এই বিশাল, রুনুঝুনু ভরা, সাংবাদিকতাময়, পরীর মতো অপরূপ মরুভূমি শিল্পীর পুষ্টি যোগায়, যেমনটা প্রকৃতি আরও কৌশলীভাবে আদিম মানুষকে যোগায়।
১০.  স্তেপ আর রাশিয়ার প্রবল শীত, যে-সময়ে কুঁড়ের ভেতর কৃষকরা শুয়েবসে সপ্তাহের পর সপ্তাহ কাটাতে বাধ্য হয়, স্লাভদের মাঝে যেমন অসাধারণ বোধ-ও-বোধি সম্পন্ন অন্তর্দৃষ্টির জন্ম দেয়; তেমনি মহৎ শিল্পের আবির্ভাবের সবচেয়ে যোগ্য দেশ এখন একমাত্র ইংল্যান্ড।

গ.
১. আমরা বেশ স্পষ্ট করেছি, আমাদের যুক্তিতর্কের ভেতর অন্ধ, উগ্র বা ছবির মতো স্বাদেশিকতার কিছু নেই।
২. কিন্তু ওই দুর্বল ইউরোপীয়বাদ, প্যারিস থেকে আসা কোনকিছুর সামনে ‘বুদ্ধিজীবীদের’ করুণ নিচতা, কসমোপলিটান আতিশয্য, যা অনেক এলাকাই জয় করে নিয়েছে- সবই প্রচণ্ড বিরক্তিকর।
৩. আমরা শুধু বিশ্বাস করি, শিল্প তার সময়ের সাথে সাথে অবশ্যই সুবিন্যস্ত (অর্গানিক) হবে, তাই আমরা বলি যে, দক্ষিণাঞ্চলের জন্য যা সঠিক ও অলঙ্ঘনীয়, উত্তরাঞ্চলের জন্য তা বেঠিক ও অকার্যকর।
৪.  আয়ারল্যান্ড থেকে পরীরা হারিয়ে গেছে (এমনকি বোকার মতো তাদের পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা স্বত্বেও) আর স্পেনে ষাঁড়-লড়াইয়ের মাঠ যাচ্ছে বিলীন হয়ে।
৫.  কিন্তু একদিকে মর্মীবাদ, আর অন্যদিকে গ্ল্যাডিয়েটর-স্বভাব, রক্ত, আর বৈরাগ্য বা সন্ন্যাস, এই দুই ধারার লোকের কাছে সবসময়েই ঠিক মনে হবে এবং সৃষ্টিশীলতার উৎস হয়ে উঠবে।
৬.  ইংরেজ চারিত্র্য হলো সুমদ্র-ভিত্তিক।
৭.  মানুষের ভেতর সমুদ্র যেসব চারিত্র্য ও গুণ সবসময়েই চারিয়ে দেয়, আমাদের জাতিগোষ্ঠী নিয়ে নানা অনুসন্ধানে দেখা যায়, সেসব তো মূলগতভাবে ইংরেজদেরই বৈশিষ্ট্য।
৮.  অধিকন্তু  সবচেয়ে সম্পন্ন শিল্পীদের মাঝে যে-অনাকাঙ্খিত সর্বজনীনতার দেখা মেলে, তা-ও এ-কারণেই।

ঘ.
১.  তাই আমরা বলি, এই জলবায়ুর শিল্প, অবশ্যই উত্তরাঞ্চলীয় পুষ্প।
২. শিল্পের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য সে-ধরনেরই হওয়া উচিত, যে-ধরনের শিল্পের জন্ম এদেশে অবিবার্য- আমরা এ বিশ্বাসই প্রচ্ছন্নভাবে ব্যক্ত করেছি।
৩. বিষয়টা আমাদের চারপাশের বৈশিষ্ট্যহীন বস্তুগত জলবায়ুর প্রশ্ন নয়। জঙ্গলের জটিলতা, নাটকীয় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বিস্তার, আমেরিকার গাছপালার বিশালতা, তাই আমাদের জন্য না-হতো যদি।
৪. কিন্তু আমাদের শিল্পকারখানা, দৃঢ় ইচ্ছে, যা এর প্রয়োজনের মুখোমুখি হয়ে আধুনিক বিশ্বের গতিমুখ নির্ধারণ করেছে, এবং যেখানে অভাব ছিল সবুজ গাছপালার, সেখানে বিস্তার ঘটিয়েছে ইস্পাত-বৃক্ষের; ঘটিয়েছে দরকারি উৎপাদনের বিস্ফার, প্রকৃতির চেয়েও বেশি বুনো-জটিলতার মুখে পড়েছে তা।

ঙ.
১. আমরা এই দেশি-শিল্পের চরিত্র নির্ধারণের আগেই নিচের কথাগুলো পষ্টভাবে তুলে ধরি।
২. ইংল্যান্ডের ইতিহাসের সবচেয়ে মুক্ত ও সবচেয়ে সপ্রাণ যুগে, তখনকার প্রধান শিল্প তার সাহিত্যের সাথে অনেক দিক দিয়েই ফ্রান্সের মিল ছিল।
৩. শিল্পী হিসেবে চসারতো ভিলোর একেবেরেই চাচাত-ভাই।
৪. শেকসপিয়ার আর মন্তাইন একই সাহিত্যকে রূপ দিয়েছেন।
৫. কিন্তু শেকসপিয়ার তার কল্পনা-প্রতিভায় মর্মীবাদ, উন্মাদনা আর কমনীয়তার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন, যা উত্তরাঞ্চলের অনন্যতা, এবং সমপরিমাণেই কমিক ও ট্রাজিকের জন্ম দিয়েছেন।
৬. বর্বরতার ভেতর সংস্কৃতির আকস্মিক বর্ষণই হিউমার।
৭.  ছলাকলা-শূন্যতার বন্যায় বিদ্যুতায়িত অবস্থাই মেধা।
৮. বিশৃঙ্খলাই ধারণাকে আক্রমণ করে, এবং নাইট্রোজেনের মতো বিদীর্ণ করে।
৯. স্বতন্ত্র ব্যক্তিই মানবতার সাজ-পড়া, যেমনটা ঘটে শিশু নিজের চেয়ে অনেক বড়ো জামা পড়ে থাকলে।
১০. ট্রাজিক হিউমার উত্তারঞ্চলের জন্মগত অধিকার।
১১. উত্তরাঞ্চলীয় যেকোন মহৎ শিল্প এই ঘাতক এবং আগ্নেয় বিশৃঙ্খলায় ঘৃতাহুতি দেবেই।
১২. ফ্রান্সের সাথে কিছু ঐশ্বর্য্য ভাগ করে নেয়ার মাঝে মহৎ ইংরেজ শিল্পের লজ্জার কিছু নেই, এই ভাগাভাগি আগামিতে জার্মানির সাথেও হতে পারে, যে-দেশের সাথে এলিজাবেথিয়ানরা এমন ভাগাভাগি আগেও করেছিলো।
১৩. কিন্তু তা আর কখনোই শেকসপিয়ারের অধিক ফরাসি হবে না, যিনি সবচেয়ে বেশি ক্যাথলিক আর আশ্চর্য ইংরেজ।

চ.
১. আধুনিক বিশ্বের, কি চেহারায় কি চেতনায়, প্রায় পুরোটাই এঙ্গলো-সাক্সন প্রতিভার অবদান।
২. মেশিনারী, ট্রেন, বাস্পীয়-ইঞ্জিন, যা-ই আমাদের সময়কে বহিরঙ্গে বিশিষ্ট করে তোলে, অন্যখানের চেয়ে এখানেই অনেকবেশি উদগত হয়েছিলো।
৩. জামাকাপড়, আচারআচরণ, যান্ত্রিক-আবিস্কারের ভেতর দিয়ে জীবন, অর্থাৎ, ইংল্যান্ড ইউরোপকে প্রভাবিত করেছে, ফ্রান্স যেমনটা করেছে শিল্পক্ষেত্রে।
৪. কিন্তু জীবন-ব্যবস্থাপনায় ব্যস্ত থাকায়, শিল্প সম্পর্কে সচেতন হওয়ার ক্ষেত্রে শে সবার পেছনে পড়েছে, যা মানুষের এই নতুন রীতি আর ইচ্ছেরই এক জীবনবিধান।
৫. মেশিনারি সবচেয়ে সেরা পার্থিব-মাধ্যম: প্রসঙ্গক্রমে বলতে হয়, সংকীর্ণ এবং প্রাচীন বাস্তবতাকে এ এক ঝটকায় দূরে ঠেলে দেয়।
৬. ইংরেজ-জাতি নিজেদেরকে যেমন সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছে, যান্ত্রিক উদ্ভাবনার মাধ্যমে ঠিক তেমনি সমস্ত গোলার্ধকে মূল দ্বীপদেশে নিয়েও এসেছে।
৭. বলা যাবে না যে, জঙ্গলের জটিলতা, নাটকীয় গ্রীস্মমণ্ডলীয় বিস্তার, আমেরিকার গাছপালার বিশালতা, আমাদের জন্য নয়।
৮. কারণ, মেশিনারি, কারখানা, নতুন ও বিশাল ভবন, ব্রিজ, এমন আরো কাজের রূপ-কাঠামো, এসবই আমাদের চারপাশে স্বাভাবিকভাবে পেয়েছি।

ছ.
১. প্রকাশের নতুন সম্ভাবনার দিকে একবার এই চেতনা বর্তমান জীবনে দেখা দিলে, অবশ্যই, ইউরোপের আর-কারো চেয়ে তা ইংরেজদের অধিক বৈধ সম্পত্তিতে পরিণত হবে।
২. মূলগতভাবে এটা তাদের, তাই প্রবলতর এবং সরাসরিভাবে তাদেরকে প্রভাবিতও করা উচিত।
৩. এই নগ্নতা ও দৃঢ়তার স্রষ্টা তারাই, আর রোমান্সের ভয়ংকর শত্রু হওয়াই তাদের মানায়।
৪. রোমান্স, লোকজন আসলে সবসময়েই এর রক্ষক, সমর্থক।
৫. দৃষ্টান্তস্বরূপ, খেলার “আবিস্কার”, মেশিন, বিমান, ইত্যাদি নিয়ে বর্তমানে ল্যাটিনদের ভবিষ্যতবাদী অতি-উৎসাহের মাঝে সবচেয়ে রোমান্টিক ও আবেগী “আধুনিকদেরই” দেখা মেলে।
৬. ফ্রান্স কিংবা ইতালির দ্বিতীয় সারির লোকজনই কেবল নিখাদ বিপ্লবী।
৭. অন্যদিকে, ইংল্যান্ডে, দ্রোহের ভেতর কোন ইতরতা নেই।
৮. কিংবা, বরং কোন দ্রোহই নেই, এ আসলে স্বাভাবিক অবস্থা।
৯. উত্তর বা দক্ষিণ অঞ্চলের বিদ্রোহীরা প্রায়শই একবারেই বিপরীত জাতের।
১০. গভীর ঐতিহ্যবাহী ফরাসী শিল্পীর সবচেয়ে ঘনিষ্টজন হলো ইংল্যান্ডের কোন মহান বিপ্লবী ইংরেজ।

অল্ট্রাইস্ট ম্যানিফেস্টো
১.  গীতিকবিতার উপাদানকে আদিম/মৌল উপাদান,  উৎপ্রেক্ষায় (মেটাফর)  হ্রাস করা।
২.  অদরকারী মধ্যবর্তী বাক্যসমূহ, সংযোজক-শব্দকণা, এবং বিশেষণ ছেটে ফেলা।
৩.  আলংকারিক উপাদান, স্বীকারোক্তিবাদ, আনুষঙ্গীকরণ বা পূর্ণ তথ্যজানানো, প্রচারণা, দূরান্বয়ী-অস্পষ্টতা এড়িয়ে চলা।
৪.  এক দৃশ্যের ভেতর দুই বা ততোধিক দৃশ্যের সংশ্লেষ ঘটিয়ে ব্যঞ্জনা বাড়িয়ে দেয়া।