ভারতীয় বাহিনীর হামলায় কাশ্মীরে আহত অনেকের মৃত্যু

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯

ভারতের সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর ৫ আগস্ট থেকে কারফিউ জারি করে কাশ্মীরিদের ওপর চালানো ভারতীয় বাহিনীর দমন-পীড়নে আহতদের অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাচ্ছে।

অনেকে মনে করছে, ভারতীয় বাহিনী পরিকল্পিতভাবেই কাশ্মীরে দমন-পীড়ন চালায়, যাতে ঘটনাস্থলে কেই মারা না যায়।

বর্বরতার শিকার ১৭ বছরের ছাত্র আসরার আহমেদ খানের মৃত্যুতে কাশ্মীরের শ্রীনগরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ৬ আগস্ট আসরার তার বাড়ির সামনের রাস্তায় বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলছিল। এ সময় কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই সেনাবাহিনীর টহল দল তাদের ওপর ছররা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। কাঁদানে গ্যাসের ছোট সিলিন্ডারটি আসরারের মাথার ওপর বিস্ফোরিত হয়। তখন থেকেই সহপাঠীদের সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি ছিল সে। এক মাস মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে সম্প্রতি সে মারা যায়।

তার বাবা ফেরদৌস আহমেদ খান সাংবাদিকদের হাসপাতালের রিপোর্ট দেখিয়ে বলেন, “আমার নিরপরাধ ছেলেকে ভারতীয় বাহিনী বিনা কারণে গুলি করে হত্যা করেছে। আসরারের ডেথ রিপোর্টে স্পষ্ট লেখা আছে, ছররা গুলি ও টিয়ারগ্যাসের শেলের আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে।”

এদিকে কাশ্মীরের ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা লে. জে. কেজেএস ধিলন বলেন, “পাথরের আঘাতে আসরারের মৃত্যু হয়েছে। ভারতীয় বাহিনীকে লক্ষ্য করে কাশ্মীরিদের নিক্ষেপ করা পাথরই তার মাথায় আঘাত লেগেছে।”

ভারত সরকারের দাবি, কাশ্মীরে কারফিউ জারির পর দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে কেউ মারা যানি। এছাড়া ২৯ আগস্ট শ্রীনগরে দোকানি গোলাম মোহাম্মদকে মটরসাইকেলে করে এসে তিন বন্দুকধারী গুলি করে হত্যা করে। এ সময় দোকানে তার স্ত্রীও বসে ছিল।

এসব ঘটনা এতদিন যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় প্রকাশ পায়নি। এখন একে একে প্রকাশ পাচ্ছে। এ কারণে কাশ্মীর উপত্যকায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে।