হাজিদের তাঁবু

হাজিদের তাঁবু

মিনায় হাজিরা, শুরু হলো হজের মূল কার্যক্রম

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : জুলাই ২৯, ২০২০

মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে শুরু হয়েছে হজের মূল কার্যক্রম। এবার এক হাজার হাজি এরই মধ্যে মক্কা থেকে ইহরাম বেঁধে মিনায় অবস্থান করছে। মিনায় পৌঁছে এবাদত বন্দিগীতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে হজযাত্রীরা।

নিয়ম অনুযায়ী, পবিত্র নগরী মক্কা থেকে সাত কিলোমিটার দূরে মিনায় এ দিন জোহরের আগেই হজে অংশগ্রহণকারীদের সবাইকে মিনায় পৌঁছানোর কথা। সেখানে তারা পাঁচ ওয়াক্ত (জোহর, আসর, মাগরিব, ইশা ও হজের দিন ফজর) নামাজ আদায় করবে।

মহামারি করোনার মধ্য দিয়ে ব্যাপক স্বাস্থ্য সতর্কতা ও নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ১৪৪১ হিজরির পবিত্র হজ শুরু হলো। সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় যথাযথ নিরাপত্তার মাধ্যমে হজে অংশগ্রহণকারীদের মক্কা থেকে এরই মধ্যে মিনায় নেয়া হয়েছে।

মিনায় গিয়ে অবস্থানকারী হজ পালনকারীরা বৃহস্পতিবার সকাল সকাল আরাফাতের ময়দানে গিয়ে অবস্থান নেবে। সেখানে তারা সকাল থেকে দিনভর ইবাদত-বন্দেগি ও রোনাজারিতে সময় অতিবাহিত করবে। সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করবে তারা।

মক্কা থেকে সাত কিলোমিটার দূরে প্রায় ২৫ লাখ লোকের জন্য তাঁবু স্থাপিত শহর মিনায় এবার স্বল্প সংখ্যক হজপালনকারীরা অবস্থান নেবে। মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে এবার সীমিত পরিসরে অল্পসংখ্যক লোক হজে অংশগ্রহণ করছে।

এ বছর হজের উদ্দেশ্যে মক্কায় আসা নির্বাচিত হজপালনকারীদের আগে থেকেই তাপ পরীক্ষা করে আলাদা আলাদা স্থানে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের ব্যাগপত্র জীবাণুমুক্ত করার কাজ সম্পন্ন করেছে। স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কর্মীরা পবিত্র নগরী কাবা শরিফের চারদিকে জীবানুমুক্তকরণ করতে বিশেষভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেছে।

এবারের হজে অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তায় এবং কাবা শরিফের পরিচ্ছন্নতায় কাবা শরিফের চারদিক ঘেরাও করে দেয়া হয়েছে। কোনো হজপালনকারীকেই কাবা শরিফ স্পর্শ করতে দেয়া হবে না। যথাযথ দূরত্ব বজায় (১.৫ মিটার তথা ৫ ফিট) রেখে তাওয়াফ, নামাজে অংশগ্রহণ ও সাঈসহ হজের সব কার্যক্রম পালন করতে হবে।

মিনায় পাথর নিক্ষেপসহ সব কাজের সময় মাস্ক ব্যবহার ও দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক। মিনায় পাথর নিক্ষেপের নুড়ি হজ কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যাগের মাধ্যমে সরবরাহ করবে। এবার অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে হজে অংশগ্রহণের বিষয়টি বাছাই করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় সৌদিতে বসবাসকারী ১৬০ দেশের লোক হজ পালনের সুযোগ পায়।