ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

রাজনীতিবিদদের প্রথমেই টিকা না দেয়ার কারণ জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : জানুয়ারি ২৪, ২০২১

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথমেই রাজনীতিবিদ টিকা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মীদের দেয়ার কথা উল্লেখ আছে। এ কারণে প্রথম দফায় অনেক রাজনীতিবিদ ভ্যাকসিন নিতে ইচ্ছুক হলেও দেয়া যাচ্ছে না। তবে পর্যায়ক্রমে রাজনীতিবিদ ও বয়স্ক ব্যক্তি থেকে শুরু করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী অন্যান্য আগ্রহীদেরকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে।”

তিনি আরো বলেন, “সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ে করোনার মতো জীবনঘাতী ভাইরাস প্রতিরোধে টিকা না নেয়ার কোনো কারণ নেই। ভ্যাকসিন প্রয়োগে সরকার কাউকে বল প্রয়োগ করবে না। সবাই নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী স্বাধীনভাবে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবেন।”

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “ভারতের দেয়া অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রেজেনেকা ভ্যাকসিন বিশ্বের সবচেয়ে সহনশীল ও কার্যকর হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। এই ভ্যাকসিন ভারত ও ইউকেতে পরীক্ষা শেষেই দেশে এসেছে। অন্যান্য ভ্যাকসিনের তুলনায় আমাদের দেশের আবহাওয়ায় এই ভ্যাকসিন সবচেয়ে বেশি মানানসই। তবে যেকোনো ভ্যাকসিন প্রয়োগে সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতেই পারে।”

তিনি আরো বলেন, “বর্তমানে সরকার দেশব্যাপী ৯ ধরনের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করছে। সেখানেও ছোটখাটো কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। ভ্যাকসিন প্রয়োগে কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তার জন্য স্বাস্থ্যখাতের টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ভ্যাকসিন পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে টেলিমেডিসিন সেবার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এখন থেকে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে দেশের সরকারি ও বেসরকারিভাবে অ্যান্টিবডি টেস্ট করা যাবে।”

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “২০ লাখ ভ্যাকসিন ভারত সরকার উপহার হিসেবে এরই মধ্যে দিয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী সোমবার আরও ৫০ লাখ ভ্যাকসিন দেশে আসবে। এই ৭০ লাখ ভ্যাকসিন দেশে রাখা ও বিতরণের সব প্রস্তুতি এরই নিয়েছে সরকার।

অনির্ধারিত এই সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর।