রুনা লায়লার আজ ৬৮তম জন্মদিন

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : নভেম্বর ১৭, ২০২০

উপমহাদেশের বরেণ্য সংগীতশিল্পী ও সুরকার রুনা লায়লার আজ ৬৮তম জন্মদিন। ১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেটে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা আনিতা সেন ওরফে আমেনা লায়লা ছিলেন সংগীত শিল্পী।

তার মামা সুবীর সেন ভারতের বিখ্যাত সংগীত শিল্পী। রুনার যখন আড়াই বছর বয়স, তার বাবা রাজশাহী থেকে বদলি হয়ে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের মুলতানে যান। সে সূত্রে রুনার শৈশব কাটে পাকিস্তানের লাহোরে। ১৯৬৬ সালে লায়লা উর্দু ভাষার হাম দোনো চলচ্চিত্রে উনকি নাজরোঁ সে মোহাব্বত কা জো পয়গম মিলা গান দিয়ে সংগীতাঙ্গনে আলোচনায় আসেন।

১৯৬০ এর দশকে তিনি নিয়মিত পাকিস্তান টেলিভিশনে পরিবেশনা করতে থাকেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সালে তিনি জিয়া মহিউদ্দিন শো-তে গান পরিবেশন করতেন এবং ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেয়া শুরু করেন। ১৯৭৪ সালে তিনি কলকাতায় সিলেটি গান সাধের লাউয়ের রেকর্ড করেন।

একই বছর মুম্বাইয়ে তিনি প্রথমবারের মতো কনসার্টে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এসময়ে দিল্লিতে পরিচালক জয়দেবের সাথে রুনার পরিচয় হয়, যিনি তাকে বলিউড চলচ্চিত্রে এবং দূরদর্শনের উদ্বোধনী আয়োজনে গান পরিবেশনের সুযোগ করে দেন। এক সে বাড়কার এক চলচ্চিত্রের শীর্ষ গানের মাধ্যমে তিনি সংগীত পরিচালক কল্যাণজি-আনন্দজির সাথে প্রথম কাজ করেন।

এই গানের রেকর্ডিংয়ের সময় প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী লতা মুঙ্গেশকর তাকে আশীর্বাদ করেন। তিনি ‘ও মেরা বাবু চেল চাবিলা’ ও ‘দামা দম মাস্ত কালান্দার’ গান দিয়ে ভারতজুড়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। রুনা লায়লা চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত শিল্পী নামের চলচ্চিত্রে চিত্রনায়ক আলমগীরের বিপরীতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেন। শিল্পী চলচ্চিত্রটি ইংরেজি চলচ্চিত্র দ্য বডিগার্ড-এর ছায়া অবলম্বনে চিত্রিত হয়।

রুনা লায়লা তিনবার বিয়ে করেন। প্রথমবার তিনি খাজা জাভেদ কায়সারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দ্বিতীয়বার তিনি সুইস নাগরিক রন ড্যানিয়েলকে বিয়ে করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি বাংলাদেশি অভিনেতা আলমগীরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার এক কন্যা তানি লায়লা। দুই নাতি জাইন ও অ্যারন।

দীর্ঘ সংগীত জীবনে রুনা লায়লা ভূষিত হয়েছেন নানা পুরস্কারে। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার। এছাড়া ভারত থেকে পেয়েছেন সায়গল পুরস্কার। পাকিস্তান থেকে অর্জন করেছেন নিগার, ক্রিটিক্স ও গ্র্যাজুয়েটস পুরস্কারসহ জাতীয় সংগীত পরিষদ স্বর্ণপদক। নব্বইয়ের দশকে গিনেস বুকে স্থান পান এই শিল্পী।