সীমিত আয়োজনের হজেও অংশ নেবে ১৬০ দেশ

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : জুলাই ১৪, ২০২০

করোনা মহামারির কারণে চলতি বছর সীমিত মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে হজ। সৌদি আরবে বসবাসকারী বিভিন্ন দেশের অধিবাসী ও দেশটির নাগরিকরা এ হজ পালনের সুযোগ পেয়েছে। সব মিলিয়ে হজযাত্রীর সংখ্যা দশ হাজার।

এই সীমিত আয়োজনের হজেও সৌদি আরব ছাড়া থাকছে ১৬০ দেশের নাগরিকদের অংশগ্রহণ। সৌদি আরবের হজ মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

আগেই বলা হয়েছিল, হজযাত্রীর ৭০ শতাংশ থাকবে সৌদি আরবে অবস্থান করা বিভিন্ন দেশের প্রবাসী মুসলিমরা। অনলাইনে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া শেষে আবেদন করে এবারের হজে ১৬০ দেশের নাগরিকরা হজের অনুমতি পেয়েছে। তবে কোন দেশের কতজন সেটা বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি।

হজের অনুমতি পাওয়া ব্যক্তিদের শিডিউল অনুযায়ী অনুমতিপত্র সঙ্গে নিয়ে হজের রীতিনীতি পালন করতে হবে। এবারের হজে হাজিরা মিনার তাঁবুতে থাকবে না। মিনার নির্দিষ্ট ভবনগুলোতে তারা অবস্থান করবে। এই ভবনগুলো জামারাত থেকে মুজদালিফা যাওয়ার পথে অবস্থিত। ভবনের খুব কাছে মসজিদে খাইফ ও কংকর মারার স্থান। এখান থেকে আরাফা ও মুজদালিফা যাওয়া যায় খুব সহজে।

আগেই বলা হয়েছে, এবারের হজে কাবা শরিফ স্পর্শ ও হাজরে আসওয়াদে চুমো দেয়া যাবে না। নির্দিষ্ট দূরত্বে থেকে তাওয়াফ ও সায়ী সম্পন্ন করতে হবে। তাওয়াফের সময় দেড় মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে হাজিদের মধ্যে। নামাজের জামাতেও দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াতে হবে। সর্বাবস্থায় হজযাত্রীদের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।

সৌদি হজ মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে, হাজি ছাড়া কেউ হজের স্থানগুলোতে প্রবেশ করলে বিশাল অংকের জরিমানা দিতে। হজের অনুমতিপ্রাপ্ত ছাড়া অন্য কেউ যদি হজের পবিত্র স্থানগুলোতে প্রবেশ করে, তবে তাকে দশ হাজার রিয়াল জরিমানা করা হবে। যদি দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করা হয়, তবে তার শাস্তি হবে দ্বিগুণ।

হজ উপলক্ষে ১৯ জুলাই (২৮ জিলকদ) থেকে ২ আগস্ট (১২ জিলহজ) পর্যন্ত হজের অনুমতিপ্রাপ্ত ছাড়া অন্যকারো মক্কার মিনা, মোজদালিফা ও আরাফায় প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

চলতি বছর হজের অনুমতি পাওয়া ১০ হাজার হাজিকে বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ করে শিডিউল অনুযায়ী হজের রীতিনীতিগুলো পালন করার সুযোগ দেয়া হবে। এছাড়া হজের জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। হাজিদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী কর্তৃপক্ষ প্রদান করবে। হজযাত্রীরা বাইরে থেকে কোনোপ্রকার খাবার বা পানীয় নিয়ে হজের রীতিনীতি পালন করতে পারবে না। সব হাজির জন্য খাবার ও পানি কর্তৃপক্ষ সরবরাহ করবে।