২৩৩ যাত্রীর জীবন বাঁচিয়ে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক পেলেন রুশ পাইলট

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : আগস্ট ১৭, ২০১৯

পাখির ঝাঁকের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর ভুট্টাক্ষেতে জরুরি অবতরণ করে ২৩৩ আরোহীর জীবন বাঁচান রুশ পাইলট দামির ইয়ুসুপভ। তার এ কাজের জন্য জাতীয় বীরের মর্যাদা দিয়ে দেশটির সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদকে তাকে ভূষিত করা হয়েছে।

৪১ বছর বয়সী দামির বুদ্ধিমত্তায় উড়োজাহাজটি ইঞ্জিন বন্ধ অবস্থায় ভুট্টাক্ষেতে অবতরণ করে। এ সময় বিমানের চাকাগুলোও খোলেনি। ফলে আলতোভাবে উড়োজাহাজটি ল্যান্ড করে। এ কারণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাকে জাতীয় বীর ঘোষণা করে শুক্রবার তার হাতে দেশটির সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক তুলে দেন।

গত সপ্তাহে উরাল এয়ারলাইন্সের এ-৩২১ এয়ারবাসটি মস্কো থেকে ক্রিমিয়ার সিমফেরোপলে যাচ্ছিল। উড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই একঝাঁক চিলের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উড়োজাহাজটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়।

এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানায়, উড়োজাহাজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং এটি আর ফ্লাইট পরিচালনার অবস্থায় নেই। এয়ারবাসটিতে ২৩৩ যাত্রী ও বিমানকর্মী ছিল। পাখিগুলোকে ধাক্কা মারার পর এয়ারবাসটির ইঞ্জিন সেগুলোকে ভেতরে টেনে নেয়। পাইলট সঙ্গে সঙ্গে জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন।

এক যাত্রী জানায়, উড়োজাহাজটি আকাশে ওঠার পর প্রচণ্ডভাবে কাঁপতে শুরু করে। পাঁচ সেকেন্ড পরেই উড়োজাহাজটির ডানদিকে বাতি ফ্লাশ করতে শুরু করে এবং পোড়া গন্ধ বেরোয়। এরপর এয়ারবাসটি অবতরণ করলে প্রত্যেকে বেরিয়ে ছুটে পালায়।

পাইলট দামির ইয়ুসুপভ বলেন, “আমি শুধু আমার দায়িত্ব পালন করেছি, এর বেশি কিছু করিনি।” সূত্র: আরব নিউজ