
জরুরি বৈঠকে শাহবাজ শরিফ
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : মে ১০, ২০২৫
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির (এনসিএ) বৈঠক ডেকেছেন। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির স্থল, আকাশ ও নৌ বাহিনীর জন্য যৌথ কৌশল প্রণয়নে এনসিএ ভূমিকা রাখে। তবে এর আরও গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের দেখভাল করা এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
এনসিএ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদন বিষয়কমন্ত্রীও এ সংস্থার সদস্য। এই কমিটিতে জয়েন্ট চীফ অব স্টাফ, ৩ বাহিনীর প্রধান, স্ট্র্যাটেজিক প্লানস ডিভিশনের (এসপিডি) ডিরেক্টর সদস্য হিসেবে রয়েছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্র ও শনিবার সকালের মধ্যে উত্তরের বারামুল্লা থেকে গুজরাটের ভুজ পর্যন্ত ২৬টি স্থানে ড্রোন দেখা গেছে। এসব সন্দেহভাজন সশস্ত্র ড্রোন বেসামরিক ও সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার চেষ্টা করেছিল।
বারামুল্লা, শ্রীনগর, অবন্তীপোরা, নাগরোটা, জম্মু, ফিরোজপুর, পাঠানকোট, ফাজিলকা, লালগড় জাট্টা, জয়সলমীর, বারমের, ভুজ, কুয়ারবেত ও লক্ষী নালার কাছে ওই ড্রোনগুলো দেখা গেছে।
ফিরোজপুরের একটি বেসামরিক এলাকায় একটি ড্রোন থেকে হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় স্থানীয় অনেক বাসিন্দা গুরুতর আহত হয়। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং নিরাপত্তা বাহিনী এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে।
ভারত জানিয়েছে, তাদের সামরিক বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এবং এ জাতীয় সব হামলা ড্রোন প্রতিরোধী ব্যবস্থাপনা দিয়ে মোকাবিলা করা হচ্ছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সীমান্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের বাড়ির ভেতরে থাকার এবং এলাকায় জারি করা সুরক্ষা নির্দেশাবলী মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে।
ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ এর প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তানও অভিযান শুরু করেছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে, ‘অপারেশন বানিয়ান মারসুস’। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ দাবি করেছে, ভারত নতুন করে তাদের ৩টি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এর জবাবে ভারতের পাঠানকোট, উধমপুরসহ বিভিন্ন সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে তারা। সূত্র: বিবিসি