
পাক-ভারত যুদ্ধে ৪ সপ্তাহে ব্যয় ৫০০ বিলিয়ন ডলার
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : মে ১০, ২০২৫
ভারত ও পাকিস্তানের চলমান সংঘর্ষে ৪ সপ্তাহে যুদ্ধের ব্যয় ৫০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। আজ শনিবার এ খবর দিয়েছে জিও নিউজ।
ভারতের সামরিক ব্যয়
ভারতীয় বিমানবাহিনী (আইএএফ) প্রতিদিন প্রায় ১০০টি যুদ্ধাভিযান পরিচালনা করছে। যেখানে রাফাল, মিরাজ ২০০০, সু-৩০এমকেআই ও তেজসের মতো যুদ্ধবিমান ব্যবহার হচ্ছে।
প্রতিটি অভিযানের গড় ব্যয় প্রায় ৮০ হাজার ডলার, আর ৩০-৪০টি নির্ভুল নির্দেশিত অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে মাসব্যাপী ব্যয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার।
ড্রোন অভিযানে প্রতিদিন প্রায় ৩০টি হরপ, হারন ও সার্চারসহ নজরদারি ও ইলেকট্রনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ব্যবহারে ব্যয় হচ্ছে দৈনিক ১০০ মিলিয়ন ডলার, যা ৪ সপ্তাহে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার।
প্রতিদিন ১০টি ব্রাহ্মোস এবং ১০-২০টি প্রলয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা নির্ভুল এমএলআরএস ব্যবহারে খরচ হচ্ছে প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ডলার, মাস শেষে ব্যয় হচ্ছে ৪.৫ বিলিয়ন ডলার।
উচ্চমাত্রার সামরিক প্রস্তুতি বজায় রাখতে প্রতিদিন সেনা মবিলাইজেশন, জ্বালানি, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (এস-৪০০, আকাশ, বারাক-৮), এবং নৌবাহিনীর তৎপরতার জন্য প্রায় ১১০ মিলিয়ন ডলার খরচ হচ্ছে, ৪ সপ্তাহে যা পৌঁছেছে ৫.৪ বিলিয়ন ডলারে।
পাকিস্তানের সামরিক ব্যয়
পাকিস্তান বিমান বাহিনীর হামলা ও আকাশ প্রতিরক্ষা টহলে দৈনিক ব্যয় প্রায় ২৫ মিলিয়ন ডলার, যা মোট ১ বিলিয়ন ডলার। বায়রাকতার ড্রোন ও রাআদ ও হাতফ-৭ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে অতিরিক্ত ব্যয় ৪৫০ মিলিয়ন ডলার।
সীমান্ত সতর্কতা, রাডার, সাম, গোয়েন্দা ও সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্স কার্যক্রমের জন্য প্রতিদিন খরচ হচ্ছে ১৫ মিলিয়ন ডলার, যা ৪ সপ্তাহে দাঁড়িয়েছে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার।
ভারতের পরোক্ষ অর্থনৈতিক ক্ষতি
* জিডিপি ক্ষতি: ১৫০ বিলিয়ন ডলার
* আর্থিক বাজারের অস্থিরতা ও মুদ্রার অবমূল্যায়ন: ৯০ বিলিয়ন ডলার
* বাণিজ্য ও সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্ন: ৮০ বিলিয়ন ডলার
* সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) হ্রাস: ১০০ বিলিয়ন ডলার
পাকিস্তানের পরোক্ষ অর্থনৈতিক ক্ষতি
* জিডিপি ক্ষতি: ২৫ বিলিয়ন ডলার
* আর্থিক বাজার ও মুদ্রা অস্থিরতা: ১৫ বিলিয়ন ডলার
* বাণিজ্য ও সরবরাহ ব্যাঘাত: ১২ বিলিয়ন ডলার
* এফডিআই ও আইএমএফ সহায়তা ক্ষতি: ৫ বিলিয়ন ডলার
মোট ক্ষতি
দুই দেশের সম্মিলিত সামরিক ও অর্থনৈতিক ব্যয় চার সপ্তাহে দাঁড়িয়েছে ৫০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।