বইমেলায় মোহাম্মদ অংকনের ৪ বই
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪
অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশ হয়েছে তরুণ লেখক মোহাম্মদ অংকন’র নতুন চারটি বই। মেলার প্রথম দিন থেকে বইগুলো প্রকাশনীর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।
প্রকাশকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ‘ভালোবেসে দুঃখ ছুঁয়েছি’ শিরোনামে কাব্যগ্রন্থ বের হয়েছে লেখাচিত্র প্রকাশনী থেকে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন শফিক মামুন। ২২০ টাকা মলাটমূল্যে বইটি ৫৫৫ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।
শিশুতোষ গল্পগ্রন্থ ‘গুল্টু ও ছোটাভূত’ বের হয়েছে এ এইচ প্রকাশনী থেকে। এটিরও প্রচ্ছদ করেছেন শফিক মামুন ও অলঙ্করণ করেছেন প্রীতিলতা চক্রবর্তী। ১৫০ টাকা মলাটমূল্যের বইটি ১৪৫ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।
কিশোর গোয়েন্দা উপন্যাস ‘গুল্টু গোয়েন্দা’ বের হয়েছে রৌদ্রছায়া প্রকাশনী থেকে। প্রচ্ছদ করেছেন শফিক মামুন ও অলঙ্করণ করেছেন শাহ্ আলম। ২৫০ টাকা মলাটমূল্যের বইটি ৫৫৫ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশু-কিশোর ‘চার কিশোরের অভিযান’ গল্প বের হয়েছে শব্দকথা প্রকাশন থেকে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন দেবাশীষ আচার্য্য। ২০০ টাকা মলাটমূল্যের বইটি ৪০৫ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়াও ‘অ্যা কমপ্লিট রুটিন অব অ্যা চাইল্ড’ শিরোনামে বাংলা ও ইংরেজিতে লেখা বই দুটো লেখাচিত্র প্রকাশনী থেকে দ্বিতীয় মুদ্রণে বের হয়েছে। বই দুটি ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ’র স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।
নতুন বই প্রকাশের বিষয়ে মোহাম্মদ অংকন বলেছেন, ‘প্রতি বইমেলায় আমার একাধিক বই প্রকাশ হয়। সেই ধারাবাহিকতা এবারও বজায় আছে। এটা সম্ভব হয়েছে পাঠকের ভালোবাসা ও সমর্থন পাওয়ার কারণে। পাঠকরা আমার নতুন বইগুলো বরাবরের মতো সাদরে গ্রহণ করবেন বলে প্রত্যাশা করছি। সেই সঙ্গে প্রকাশকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যে, তারা আমার প্রতি ভরসা রেখেছেন।’
উল্লেখ্য, এবারের বইমেলার নতুন চারটি বইসহ মোহাম্মদ অংকন’র প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা দাঁড়ালো ২১-এ।
মোহাম্মদ অংকন বর্তমান লেখকদের মধ্যে পরিচিত মুখ। শৈশব-কৈশোরে লেখালেখিতে হাতেখড়ি। নিয়মিত লিখছেন দেশ-বিদেশের পত্রপত্রিকা, ম্যাগাজিন ও সাময়িকীতে। সাহিত্যের সব শাখাতেই আছে সমান দক্ষতা।
নাটোরের চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেছেন মোহাম্মদ অংকন। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র হওয়ার পরও লেখালেখির সূত্রে ঝুঁকে পড়েন সাংবাদিকতায়। দৈনিক মানবকণ্ঠে সাব-এডিটর হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এখন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কম্পিউটার বিভাগে কর্মরত আছেন।