রেজা ঘটকের গদ্য ‘বইমেলার ডায়েরি’

পর্ব ২

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২৪

অমর একুশে বইমেলা তিন দিন হয়ে গেছে। কিন্তু এখনও বইমেলার মাঠ প্রচণ্ড নোংরা! যে সকল প্রকাশকগণ এখনও স্টল নির্মাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হোক। বইমেলার পরিবেশ দূষণের জন্য এরাও অনেকটা দায়ী। লিটলম্যাগ চত্বরে এখনও যারা সাইনবোর্ড টানায়নি, তাদেরও কালো তালিকাভুক্ত করা হোক।

বাংলাদেশের সকল প্রকাশক ও লিটলম্যাগ সম্পাদকগণ খুব ভালো করেই জানেন যে, মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা শুরু হয় ১ ফেব্রুয়ারি থেকে। তার আগে যারা স্টল নির্মাণ করতে পারেনি, তাদের বইমেলার মাঠে থাকার কোনো প্রয়োজন দেখি না। বরং বইমেলার পরিবেশ নষ্ট করার জন্য এরকম যারা আছেন, তারা অনেকটাই দায়ী।

বাংলা একাডেমিকে অনুরোধ করব, দয়া করে বইমেলার মাঠ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। বইমেলার মাঠে বিভিন্ন কর্নারে ময়লা ফেলার জন্য বক্স রাখার ব্যবস্থা করুন। হাজার হাজার মানুষ ময়লা নোংরা একটা পরিবেশে ঘোরাঘুরি করছে, বিষয়টি মোটেও স্বস্তিদায়ক নয়। বইমেলার মাঠে লটারির বাইরে অনেক প্রকাশক কীভাবে স্টল পেল, বিষয়টি তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। নম্বরবিহীন অনেক স্টল বইমেলায় দেখা যাচ্ছে!

সারা বছর কবি-সাহিত্যিকরা চা খায়। কেবল বইমেলার সময় বাংলা একাডেমি তাদের জোর জবরদস্তি করে কফি খাওয়ানোর চেষ্টা করে। এই বিড়ম্বনা কেন! এই বিষয়টি কোনো বছরই আমার পছন্দ নয়। কেন বইমেলায় কয়েকটি চা কর্নার রাখলে কি বইমেলা অশুদ্ধ হয়ে যাবে। বইমেলায় বিভিন্ন প্রান্তে অন্তত চার-পাঁচটি চা-কর্নার চালু করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

পুরো ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে অমর একুশে বইমেলা হোক সবার প্রাণের মেলা। নিজে বই কিনুন এবং প্রিয়জনকে বই উপহার দিন। বই হোক আপনার সার্বক্ষণিক সঙ্গী। সবাইকে অমর একুশে বইমেলার শুভেচ্ছা...

৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

লেখক: কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা