
গাজাবাসীর জন্য ত্রাণবাহী জাহাজে ইজরায়েলের ড্রোন হামলা
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : মে ০২, ২০২৫
গাজার ফিলিস্তিনিদের জন্য খাবার ও ত্রাণসামগ্রী বহনকারী একটি জাহাজে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে দক্ষিণ ইউরোপের দেশ মাল্টার আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় এ হামলা চালানো হয়।
এই ত্রাণ জোগাড় ও পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিল আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা প্রদানকারী এনজিও দ্য ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশন (ট্রিপল এফ)। হামলায় হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।
বিবৃতিতে ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১২টার দিকে মাল্টার আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা দিয়ে চলমান অবস্থায় ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশনের ত্রাণবাহী জাহাজে সরাসরি হামলা করা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দুটি সশস্ত্র ড্রোন জাহাজটির সামনের দিকে আঘাত হানে। এতে জাহাজটির সামনের দিকে আগুন ধরে যায় এবং বড় গর্তের সৃষ্টি হয়।
বিবৃতিতে ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশন জানায়, আমাদের জাহাজটি ছিল সম্পূর্ণ বেসামরিক ও নিরস্ত্র। গাজার অসহায় ফিলিস্তিনিদের জন্য খাবার ও ত্রাণসামগ্রী ছিল সেখানে। ট্রিপল এফের কয়েকটি সদস্যদেশের প্রতিনিধিরা ছিলেন সেখানে। এ ধরনের হামলায় তাদের প্রাণহানি ঘটতে পারত। কোনো কোনো দেশের আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় বেসামরিক নৌযানকে লক্ষ্য করে আঘাত করা আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন। মাল্টার সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান, ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে যেন এ ইস্যুতে দেশটির কাছে জবাবদিহিতা চাওয়া হয়।”
মাল্টার সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাহাজের মূল ইঞ্জিন ও জেনারেটরে আঘাত লেগেছে। জাহাজটিতে আগুন ধরে গিয়েছিল, তবে মাল্টার নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড বাহিনীর সহায়তায় রাত ১টা ২৮ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জাহাজটিতে ১২ ক্রু এবং ৪ বেসামরিক যাত্রী ছিল। সবাই অক্ষত রয়েছে। রাত ২ টা ১৩ মিনিটে তাদের মাল্টার বন্দরে নিয়ে আসা হয়। জাহাজটি এখনও আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় রয়েছে এবং সেটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
হামলার ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ইজরায়েলের সেনাবাহিনী ও মন্ত্রিসভার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এএফপি। কিন্তু কেউ মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
উল্লেখ্য, প্রায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতি ভেঙে ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ফের হামলা শুরু করে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। হামলার আগে ২ মার্চ গাজায় সব ধরনের ত্রাণবাহী ট্রাকের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে ইজরায়েল। এখনও সেই অবস্থা চলছে সেখানে। সূত্র: এএফপি