বিক্রির শীর্ষে বাংলা একাডেমি

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৮

প্রতি বছরই বইমেলায় বিক্রির শীর্ষে থাকে বাংলা একাডেমি প্রকাশিত বই। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। যতক্ষণ বইমেলা চলে, একাডেমির বিক্রয় কেন্দ্রে পাঠকের ভিড় লেগেই থাকে। এ পর্যন্ত একাডেমির প্রকাশনা সংখ্যা প্রায় ছয় হাজারের কাছাকাছি। এগুলোর মধ্যে এখনও পাওয়া যায় হাজার দেড়েক। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন ও পুনর্মুদ্রিত প্রায় একশো বই। পুরনো বইতে বিশেষ ছাড়ের সুযোগ বিদগ্ধ ও রুচিশীল পাঠক ছাড়তে চায় না। তাই একাডেমির বইয়ের কাটতিও বেশ ভালো।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারাগারের দিনলিপিভিত্তিক প্রকাশনা `কারাগারের রোজনামচা` এবার পাঠকের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে। মেলার এখনও কয়েকদিন রয়েছে। এরই মধ্যে বাংলা একাডেমির বিক্রি প্রায় অর্ধকোটি টাকা।

এ প্রতিষ্ঠানটির সাতটি বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে গ্রন্থমেলার দুই প্রাঙ্গণে। এর মধ্যে দুটি প্যাভিলিয়ন, চার ইউনিটের দুটি, একাডেমির শিশু-কিশোর উপযোগী বইয়ের জন্য একটি স্টল। একাডেমির সাহিত্য মাসিক `উত্তরাধিকারের` জন্যও রয়েছে আলাদা একটি স্টল। মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, “বরাবর মেলায় বাংলা একাডেমি ৩০ শতাংশ ছাড়ে বই বিক্রি করে, তবে এবার বিক্রি করছে ২৫ শতাংশ ছাড়ে। এরই মধ্যে বাংলা একাডেমি ৪২ লাখ টাকার বই বিক্রি করেছে।”

গত বছরের অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে চলতি মেলা পর্যন্ত বাংলা একাডেমি প্রকাশিত নতুন বইগুলোর মধ্যে রয়েছে, শেখ মুজিবুর রহমানের `কারাগারের রোজনামচা`, গোলাম মুস্তফা সম্পাদিত `বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ/আবদুল হক`, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী সম্পাদিত `সংস্কৃতি কথা/মোতাহের হোসেন চৌধুরী`, হায়াৎ মামুদ সম্পাদিত `কালের পুতুল/বুদ্ধদেব বসু`, মোহাম্মদ আবদুল কাইউম সম্পাদিত `মানব মুকুট/এয়াকুব আলী চৌধুরী`, মোহাম্মদ আলীর `মুসলিম লিপিকলা`. কাজী মো. মোস্তাফিজুর রহমানের `পুঠিয়ার রাজবংশ:ইতিহাস ও স্থাপত্য` এবং মোস্তাক আহমাদ দীনের `কাজী আবদুল ওদুদের মনোবিশ্ব`।

ধ্রুপদী সাহিত্যের ইংরেজি অনুবাদও এনেছে বাংলা একাডেমি। এর মধ্যে মীর মশারফ হোসেনের `বিষাদ-সিন্ধু`র ইংরেজি অনুবাদ `ওশান অব সরো` করেছেন ফকরুল আলম; নীলিমা ইব্রাহিমের `আমি বীরাঙ্গনা বলছি`র ইংরেজি অনুবাদ `এ ওয়ার হিরোইন` করেছেন ফায়েজা হাসনাত। এছাড়া নতুন প্রকাশিত `বাংলা একাডেমি:ফোকলোর সংগ্রহমালা` ১১৬ থেকে ১৩৪ খণ্ডের উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। এছাড়া তিনটি স্মারকগ্রন্থও এনেছে বাংলা একাডেমি।