
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাখ্যান মহিলা জামায়াতের
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : এপ্রিল ২৪, ২০২৫
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম নারী সমাজের প্রত্যাশার সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে জামায়াতে ইসলামীর মহিলা শাখা। আজ বুধবার দলটির সেক্রেটারি নূরুন্নিসা সিদ্দিকা বিবৃতিতে এ কথা জানান।
নূরুন্নিসা সিদ্দিকা বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেওয়া প্রতিবেদনের সুপারিশে এমন কিছু গর্হিত বিষয় নিয়ে আসা হয়েছে, যাতে সামাজিক মূল্যবোধে চরমভাবে আঘাত করা হয়েছে। যা পবিত্র কোরআন ও হাদিসেরও সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। নারীর জন্য সবচেয়ে অবমাননাকর হলো, যৌনকর্মকে পেশা হিসেবে সামাজিক স্বীকৃতি দিতে বলা।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “অভিন্ন পারিবারিক আইনের মাধ্যমে সব ধর্মের নারীদের জন্য বিয়ে, তালাক ও উত্তরাধিকারের সমান অধিকারের সুপারিশ সব ধর্মের মতামত ও মুল্যবোধকে উপেক্ষা করা হয়েছে। যা চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন। ইসলাম সমঅধিকার নয়, ন্যায্য অধিকারের ঘোষণা দেয়। এই চেতনাই সর্বস্তরের মুসলমানরা ধারণ করে। আল্লাহর আইন কেউ ব্যক্তিগতভাবে না মানতে পারে, কিন্তু তার অধিকার নেই এই আইনে হাত দেওয়ার।”
মহিলা জামায়াতের সেক্রেটারি বলেন, “কমিশনে যাদের সদস্য করা হয়েছে তারা সমাজের সব শ্রেণির নারীদের প্রতিনিধিত্ব করে না। বিশেষ করে এই কমিশনে ইসলামের জ্ঞানসম্পন্ন নারী প্রতিনিধি দেখতে পাইনি। ইসলামের পূর্ণ জ্ঞানসম্পন্ন নারীদের কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিবেদনটি পুনর্লিখনের আহ্বান জানাচ্ছি।”